ফুটবল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল রেয়াল মাদ্রিদ, আটকে গেল জুভেন্তাস

ওয়েবডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল রেয়াল মাদ্রিদ। প্যারিস সাঁ জাঁর কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল জিদানের দল। অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে আটকে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জুভেন্তাস। আর সহজ জয় পেয়ে অভিযান শুরু করল বায়ার্ন মিউনিখ এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
নির্বাসনের কারণে রেয়ালের বিরুদ্ধে ম্যাচে ছিলেন না নেইমার। তাঁর অভাব অবশ্য ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের টেরই পেতে দিলেন না আঙ্খেল দি মারিয়া। জোড়া গোল করলেন এই আর্জেন্তাইন তারকা। অন্য দিকে স্ট্রাইকারদের একের পর এক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল রেয়ালকে। পিএসজির হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন তমা মুনিয়ে।
আরও পড়ুন বিরাট ব্যাটে ভর করে টি২০ সিরিজে খাতা খুলল ভারত
ঘরের মাঠে সার্বিয়ার দল রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৩-০ গোলে হারাল বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্নের হয়ে গোলগুলি করেন কিংসলে কোমান, রবার্ট লেওয়ানডস্কি এবং টমাস মুলার। সেই সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি হারিয়েছে ইউক্রেনের শাখতার দানেৎস্ককে। খেলার ফল ৩-০।
ফুটবল
শেষ মুহূর্তের গোল নর্থইস্টের, এগিয়ে থেকেও প্রথম সেমিফাইনাল ড্র এটিকে মোহনবাগানের

নর্থ ইস্ট ১ (ইদ্রিসা সাইলা) এটিকে মোহনবাগান ১ ( ডেভিড উইলিয়ামস)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: আধ ঘণ্টা এগিয়ে থাকার পর ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে গিয়ে ড্র করল এটিকে মোহনবাগান। ফলে দুই দলের সেমিফাইনালের প্রথম দফাটি শেষ হল অমীমাংসিত ভাবেই।
ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করতে শুরু করে। আন্তোনিও লোপেজ আবাসের দলকে ছেড়ে কথা বলছিল না খালিদ জামিলের দল। মাঝমাঠ দখলের লড়াই চলছিল। ম্যাচের প্রথম কুড়ি মিনিটে মনবীর, রয় কৃষ্ণ ও মার্সেলিনহো গোলের মরিয়া চেষ্টা করলেও পাহাড়ি দলের রক্ষণের সামনে আটকে পড়ছিল।
২৪ মিনিটে খাবি হার্নান্দেজ মাঝমাঠ থেকে লম্বা বল বাড়ালে বক্সে থাকা রয় কৃষ্ণ একক দক্ষতায় গোল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর ডান পায়ের ভলি নেটের বাইরে লাগে। ছয় মিনিটের মাথায় বিপক্ষের রক্ষণকে বোকা বানিয়ে বল নিয়ে বক্সের কাছে এগিয়ে গেলেন মনবীর। কিন্তু প্রয়াসটা ব্যর্থ হয়।
৩৪ মিনিটে কেল্লা ফতে সবুজমেরুনের। রয় কৃষ্ণর পাস থেকে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। চলতি আইএসএলে চতুর্থ গোল করলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা এই স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধের শেষে দুরন্ত সেভ করেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। আশুতোষ মেহতার শট বাঁচিয়ে দলের পতন রোধ করেন অরিন্দম। বল তাঁর হাতে লেগে ক্রসবারে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেও আক্রমণের ধাঁচ বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণকে আটকানোর চেষ্টা করেন নর্থইস্টের রক্ষণ। তবে পাহাড়ের দলও গোল করতে ব্যর্থ। সন্দেশ জিঙ্ঘন না থাকা সত্ত্বেও সবুজমেরুনের রক্ষণ ভরসা জোগাচ্ছিল কোচ আবাসকে।
৬৬ মিনিটে গোলের খোঁজে জোড়া বদল করেন খালিদ জামিল। বেঞ্জামিন ল্যাম্বটের বদলে মাঠে এলেন স্ট্রাইকার ইদ্রিসা সাইলা। নিম দর্জির পরিবর্তে নামলেন ডিফেন্ডার মাশুর শারিফ। ৭৪ মিনিটে ফের বদল। এ বার ভিপি সুহেরকে তুলে নিয়ে আর এক ভারতীয় স্ট্রাইকার ব্রিটো পিএমকে মাঠে নামিয়ে দেন খালিদ।
৮১ মিনিটে বদল আনলেন আবাস। শেষ মুহূর্তে রক্ষণে জোর বাড়ানোর জন্য ব্রাজিলীয় মার্সেলিনহোর পরিবর্তে মাঠে এলেন প্রণয় হালদার। ৩ মিনিট পর অদ্ভুত বিপদে পড়ে এটিকে মোহনবাগান। মাথা গরম করে রেফারিদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে বেঞ্চে বসেই হলুদ কার্ড দেখেন এটিকে মোহনবাগানের সহকারী কোচ সঞ্জয় সেন।
প্রথম সেমিফাইনাল জিতে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়েই থাকত সবুজমেরুন বাহিনী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ম্যাচে ফিরে আসে পাহাড়ি ফল। অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ মিনিটে গোল করে নর্থইস্টের হয়ে সমতা ফিরিয়ে দেন ইদ্রিসা সাইলা। সুপার সাবে পরিণত হন তিনি।
ফুটবল
দু’ দু’ বার এগিয়ে গিয়েও মুম্বইয়ের সঙ্গে ড্র করল গোয়া
লিগ শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের সঙ্গে চতুর্থ স্থানে থাকা গোয়ার ম্যাচ ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকল।

এফসি গোয়া ২ (আঙ্গুলো, গামা) মুম্বই সিটি এফসি ২ (বৌমাস, ফল)
খবর অনলাইন ডেস্ক: এ বারের আইএসএল-এ (ISL 2020-21) প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে কোনো ফল হল না। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দু’ বারই এগিয়ে গেল গোয়া। কিন্তু সেই এগিয়ে যাওয়া তারা ধরে রাখতে পারল না।
শুক্রবার ফাতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে লিগ শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের সঙ্গে চতুর্থ স্থানে থাকা গোয়ার ম্যাচ ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকল।
প্রথমার্ধে ১-১
ম্যাচের ২০ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন গোয়ার আইগর আঙ্গুলো। নিজেদের বক্সে এফসি গোয়ার (FC Goa) জর্জে ওরতিজকে ফেলে দিয়েছিলেন মুম্বই সিটি এফসির (Mumbai City FC) মন্দর দেশাই। তারই খেসারত দিল তারা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি আঙ্গুলো।
৩৯ মিনিটের মাথায় নিজের আগের দলের বিরুদ্ধে গোল করে মুম্বইয়ের হয়ে সমতা ফেরান হুগো বৌমাস।
মিনিট পাঁচেক পরে মুম্বইয়ের দু’ জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে পড়ে যান ওরতিজ। রেফারি পেনাল্টি দেননি। গোয়া রেফারির সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি হয়নি।
৪৫ মিনিটে গোয়ার গোল লক্ষ্য করে মুম্বইয়ের ওগবেচে যে নিখুঁত হেডটি করেন, তা দুর্দান্ত ভাবে বাঁচান গোয়ার গোলকিপার ধীরাজ সিং।
শেষ পর্যন্ত ফল ২-২
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হওয়ার চার মিনিটের মধ্যেই গোল করার সুযোগ পায় মুম্বই। ৪৯ মিনিটে গোয়ার বক্সে অরক্ষিত ওগবেচেকে বল পাস করেন বৌমাস। ওগবেচে গোয়ার গোল লক্ষ্য করে যে শট নেন তা ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
কিন্তু ৫৯ মিনিটে ফের গোল করে এগিয়ে যায় গোয়া। নিজেদের হাফ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান সেভিয়ার গামা। পৌঁছে যান মুম্বইয়ের বক্সে। তার পর যে নিচু শট মারেন তা নেটে জড়িয়ে যায়। মুম্বইয়ের অমরিন্দর বলে হাত লাগানোর সুযোগ পাননি।
দু’ মিনিট পরেই গোল শোধ করে দেয় মুম্বই। মুম্বইয়ের কর্নার ক্লিয়ার করে নিজেদের বক্সের বাইরে পাঠিয়ে দেন গোয়ার ডিফেন্ডাররা। বল চলে যায় আহমেদ জাহৌর কাছে। জাহৌর ইনসুইংগিং ডেলিভারি চলে যায় মুরতাদা ফলের কাছে। ফলের মাটি ঘেঁষা শট গোয়ার জালে জড়িয়ে যায়।
এর পর কোনো দলই গোল করার তেমন সুযোগ পায়নি।
আরও পড়ুন: শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
ফুটবল
হায়দরাবাদের সঙ্গে ড্র করে শেষ চারে চলে গেল গোয়া
এ বারের আইএসএল-এর লিগে ২০ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোয়া থাকল চতুর্থ স্থানে।

এফসি গোয়া ০ হায়দরাবাদ এফসি ০
খবর অনলাইন ডেস্ক: আসল কাজটা সারার জন্য ১টা পয়েন্ট দরকার ছিল গোয়ার। সেই কাজটাই তারা করল আজ। এবং শেষ চারেও চলে গেল তারা।
রবিবার ফাতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এফসি গোয়া (FC Goa) বনাম হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। শেষ চারে যাওয়ার জন্য হায়দরাবাদের দরকার ছিল জয়। সেই জয় অধরাই থাকল।
এ বারের আইএসএল-এর লিগে ২০ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোয়া থাকল চতুর্থ স্থানে। আর সমসংখ্যক খেলায় ২৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এ বারের মতো আইএসএল অভিযান শেষ করল হায়দরাবাদ।
এ দিনের খেলায় দুই দলই সমানে সমানে লড়ে গিয়েছে। তবে বলের দখলদারিতে গোয়া এগিয়ে ছিল। কিন্তু ৯৯ মিনিটের খেলায় (প্রথমার্ধে অতিরিক্ত ২ মিনিট এবং শেষার্ধে অতিরিক্ত ৭ মিনিট) কোনো দলই টার্গেট লক্ষ্য করে তেমন শট নিতে পারেনি।
খেলায় রীতিমতো উত্তেজনা ছিল। খেলার একেবারে শেষ দিকে দু’টি দলই রেড কার্ড দেখেছে। তবে হায়দরাবাদের লুই সাস্ত্রে দেখেছেন রিজার্ভ বেঞ্চে বসে, খেলা থেকে তাঁকে তুলে নেওয়ার পরে। আর গোয়ার আলবার্তো নগুয়েরা দেখেছেন দু’ বার হলুদ কার্ড দেখার খেরাসত হিসাবে।
তবে এরই মধ্যে একটা ইতিহাস তৈরি করে ফেলল গোয়া – টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। নতুন আইএসএল রেকর্ড।
-
রাজ্য2 days ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক3 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
রাজ্য2 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য1 day ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য