ফুটবল
ষষ্ঠ ব্যালন ডি’ওর জয়ের লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ মরশুমে সাফল্যের তালিকা প্রকাশ রোনাল্ডোর

ওয়েবডেস্ক: শেষ হওয়া ফুটবল মরশুমে দাপিয়ে খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ইতালির জুভেন্তাসে যোগ দিয়ে সিরিএ খেতাব জিতেছেন। একইসঙ্গে সুপার কোপা ইতালিয়া ট্রফিও জিতেছেন। লিগে ২১ গোল করেছেন। শুধু তাই নয়, মরশুমের শেষে পর্তুগাল জার্সিতে ফের একবার ট্রফি জিতেছেন। উয়েফার নবনির্মিত টুর্নামেন্টে নেশনস লিগ। সেই টুর্নামেন্টে শীর্ষ গোলদাতাও হয়েছেন।
অতীতে পাঁচবার ব্যালন’ ডিওর খেতাব জিতেছেন। আগামীদিনে ষষ্ঠবার এই খেতাব জিততে পারেন কি না তাতো সময়ই বলবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০১৮-১৯ মরশুমে নিজের সাফল্যের তালিকা লিখে পোস্ট করে সি আর সেভেন।
পোস্ট তিনি লিখে জানান, “কী দুর্দান্ত মরশুম। নতুন অভিজ্ঞতা, দুর্দান্ত ক্লাব, সুন্দর শহর, রেকর্ড ভাঙা এবং তিনটি ট্রফি জয়। জুভেন্তাস সমর্থকদের ধন্যবাদ আমাকে ইতালিতে স্বাগত এবং ভালোবাসা দেওয়ার জন্য। সাড়া বিশ্ব এবং বিশেষ করে পর্তুগালের মানুষদের ধন্যবাদ পর্তুগালের জয়ের জন্য। আপনারা সবসময় আমার হৃদয়ে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এই মরশুমটা ভুলতে পারব না”।
তিনি জানান, “সিরিএতে ২১ গোল, সেরা ফুটবলার এবং খেতাব জয়। নেশনস লিগে জয় এবং হ্যাটট্রিক, প্রথম ফুটবলার হিসাবে দশটি উয়েফা খেতাব জয়, প্রথম ফুটবলার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০০ গোল এবং ১২৫ ম্যাচে জয়। আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে, নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন স্বপ্ন নিয়ে”।

কেরল ১ (জর্ডান মারে) ইস্টবেঙ্গল ১ (স্কট নেভিল)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: গোটা ম্যাচে পিছিয়ে থেকে, শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে সমতা ফিরিয়ে হার এড়াল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার, এই ফলাফলের ফলে অন্তত একটা পয়ন্ট নিশ্চিত করে মুখ রক্ষা হল রবি ফাউলারের।
এ দিন ম্যাচের প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছিল কেরল। ইস্টবেঙ্গলের ভুল পাসের সুযোগ নিয়ে শুরুতেই গোলের কাছাকাছি চলে এসেছিল কেরল। শেষ মুহূর্তে গোল বাঁচান লালহলুদ ডিফেন্ডাররা। তবে আচমকা দশম মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের হরমনের সামনে। যদিও কেরল গোলকিপার অ্যালবিনো গোমেজ তা বাঁচিয়ে দেন।
তবে দশ মিনিটের পর থেকে ম্যাচের মোড় কিছুটা ইস্টবেঙ্গলের অনুকূলে ঘুরতে শুরু করে। মাঝে মাঝেই সুযোগ পেয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে ফিনিশ করতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা। ব্রাইট, মাঘোমার দ্রুত সেই সব মুভমেন্ট শুরু থেকে দেখা যায়নি। একটা শট ব্রাইট নিলেও সেটা পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
গোলশূন্য ভাবেই বিরতিতে যায় ম্যাচ। বলের দখল প্রায় সমান-সমান থাকলেও প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কোনো ঝাঁজ লক্ষ্য করা যায়নি। ব্রাইট, মাঘোমারা আক্রমণ তুলে আনলেও বেশিরভাগ সময়েই বক্সের বাইরেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের আক্রমণ।
প্রথমার্ধের ঝাঁজ বজায় রেখেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। দুরন্ত সেভ করতে হয় দেবজিৎ মজুমদারকে। এই ম্যাচে একাধিকবার তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। মাঝমাঠে বারবার ভুল করেছে ইস্টবেঙ্গল।
বিরতির পর ইস্টবেঙ্গলের মিলন সিংহের জায়গায় নামেন অজয় ছেত্রী। এসেই মাঝমাঠের হাল ধরার মরিয়া চেষ্টা করেন তিনি। যদিও এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথায় বাজ পড়ে লালহলুদের। ৬৪তম মিনিটে অ্যালবিনো গোমেজের গোলকিক থেকে লম্বা বল সোজাসুজি ধরে কেরল ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দেন জর্ডান মারে।
ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। অ্যালবিনো গোলকিক করার সময় রানা ঘরামি দাঁড়িয়েছিলেন জর্ডান মারের সামনে। তাঁকে মার্কিংই করতে পারেননি। লম্বা দৌড়ে ঠিক ভাবে মারে গোলে না ঠেলতে পারলেও তা দেবজিৎকে পরাস্ত করে।
৭২ মিনিটে দলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করান রবি ফাউলার। মাঠি স্টেনম্যানের বদলে নামেন অ্যান্টনি পিলকিংটন। দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফেরেন তিনি। এই স্ট্রাইকারকে দিয়ে গোল তুলে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেন ফাউলার।
৮০ মিনিটের একটু আগে পিলকিংটন দুরন্ত শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু কেরলের ডিফেন্ডার কোস্তা তা সহজেই ক্লিয়ার করে দেন। পরবর্তী ১৫ মিনিট কার্যত গোলের জন্য হাতড়ে বেড়াচ্ছিল লালহলুদ শিবির।
কিন্তু কথাতেই তো বলে, ওস্তাদের মার শেষ। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে ব্রাইট এনোবাখারের কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেডের জন্য মূল্যবান এক পয়েন্ট এনে দেন স্কট নেভিল।
ফুটবল
নর্থইস্টকে আটকে রেখে হারের লজ্জা এড়াল বেঙ্গালুরু

নর্থইস্ট ১ (মাচাদো) বেঙ্গালুরু ১ (রাহুল ভেকে)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ এবং সপ্তম দলের মধ্যে লড়াই শেষ হল অমীমাংসিত ভাবে। তবে এই লড়াই খুব আরামসেই জিততে পারত নর্থইস্ট ইউনাইটেড। তবুও তারা যে নর্থইস্টকে ১-১-এ আটকে রাখতে পারল, সেই ব্যাপারটা বেঙ্গালুরুর কাছে যথেষ্ট কৃতিত্বের।
ম্যাচের শুরুটা কোনো দলই সে ভাবে ভালো করে করতে পারেনি। খুব অগোছালো খেলা চলছিল দুই দলের মধ্যেই। তবুও শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি সুযোগ আসে বেঙ্গালুরুর কাছে। দু’বারই গোলের মুখ দেখতে ব্যর্থ হন সুনীল ছেত্রী। ২৪ মিনিটে অপসেটের হেডার বাঁচিয়ে দেন নর্থইস্টের গোলরক্ষক গুরমীত।
বেঙ্গালুরুর এই দাপট আচমকা শেষ হয়ে যায় ২৭তম মিনিটে, যখন সব হিসেব পালটে দিয়ে গোল করে ফেলেন নর্থইস্টের মাচাদো। মাঝমাঠ থেকে দেমাস দেলগাদোর একটি লুজ বল দখল করেন ফেদ্রিকো গায়েগো। এর পর তিনি একাই বলটাকে গোলের দিকে নিয়ে গিয়ে বক্সের ঠিক বাইরে মাচাদোকে পাস দেন তিনি, যা মাচাদো বেঙ্গালুরুর জালে জড়াতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি।
গোল হজম করে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে বেঙ্গালুরুরর ওপরে। এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা। আইএসএলের অন্যতম দুর্দান্ত দল বেঙ্গালুরুর এই টুর্নামেন্টটা খুবই খারাপ যাচ্ছে। এর ওপরে হাইল্যান্ডার্সের বিরুদ্ধে গোল হজম করাটা বড্ড চাপের হয়ে গিয়েছিল তাদের কাছে।
তবে বিরতির ঠিক পরেই গোল শোধ করে বেঙ্গালুরু। রাহুল ভেকে বাঁ পায় দূরপাল্লার শট নিলেও সেটা গুরমীতের পক্ষে রক্ষা করা খুব একটা অসুবিধার কিছু ছিল না। তবুও অপেক্ষাকৃত সহজ সেভ করতে ব্যর্থ হন তিনি। যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে বেঙ্গালুরু।
গোলটা পেয়ে যেন নতুন জীবন পায় বেঙ্গালুরু। বার বার নর্থইস্টের ডিফেন্স ভেদ করে আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। পিছিয়ে ছিল না নর্থইস্টও। তারাও বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছিল জয়সূচক গোলটি পাওয়ার জন্য। কিন্তু দক্ষ হাতে বেঙ্গালুরুর গোল সামলেছেন তাদের গোলরক্ষক।
১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়া এই ম্যাচের পর বেঙ্গালুরুর ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট রয়েছে। নর্থইস্ট ১১ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে।
ফুটবল
ওগবেচের গোলে জিতল মুম্বই, আইএসএলের দ্বিতীয় হার এটিকে-মোহনবাগানের

মুম্বই ১ (ওগবেচে ১) এটিকে মোহনবাগান ০
খবরঅনলাইন ডেস্ক: টুর্নামেন্টের দুই সেরা দলের লড়াই ছিল সোমবার। সেই লড়াইয়ে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল মুম্বই সিটি এফসি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় হার সবুজমেরুনের জন্য।
সোমবার ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপট বেশি ছিল মুম্বইয়ের। প্রথম থেকেই আক্রমণে যাচ্ছিল আরব সাগরপাড়ের দলটি। পঞ্চম মিনিট বিপিন সিং’য়ের দুরন্ত ক্রস থ্রো-ইনের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিরি। এর ঠিক তিন মিনিটের মাথাতেই প্রতি-আক্রমণ থেকে এটিকে-মোহনবাগান রক্ষণে হানা দেয় মুম্বইয়ে। কিন্তু উগো বোউমাসের নির্বিষ শট সরাসরি অরিন্দমের হাতবন্দি হয়।
১১তম মিনিটে সব থেকে দুর্দান্ত সুযোগ চলে আসে মুম্বইয়ের কাছে এবং এতে এটিকে-মোহনবাগান রক্ষণ কার্যত হতচকিত হয়ে যায়। বিপজ্জনক আক্রমণ করে মুম্বইয়। গোলে ঢোকার ঠিক আগেই কোনো রকমে বল রক্ষা করেন অরিন্দম।
১৮তম মিনিটে মন্দার রাও দেশাইয়ের বামপ্রান্তিক ক্রস কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান সন্দেশ ঝিঙ্গান। কিন্তু এটিকে-মোহনবাগান রক্ষণে প্রতিহত হয় সেই কর্নার।
লড়াইটা ক্রমশ মুম্বইয়ের আক্রমণ বনাম সবুজমেরুনের ডিফেন্সের মধ্যে হয়ে যাচ্ছিল। মাঝমাঠে পাসিং ফুটবলের ফুলঝুরি মুম্বইয়ের। তবে এটিকে-মোহনবাগানের রক-সলিড ডিফেন্স ভেঙে সহজে অ্যাটাকিং থার্ডে সহজে ঢুকতে পারছিল না তারা।
প্রথমার্ধের শেষে অতিরিক্ত সময়ে পর পর দু’বার ফ্রি-কিক পায় মুম্বই। কিন্তু অসম্বব দক্ষতার সঙ্গে দুটোই রক্ষা করেন অরিন্দম। তবে প্রথম ফি-কিকটি বাঁচাতে গিয়ে কিছুটা চোটগ্রস্ত হন অরিন্দম। গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতিয়ার্ধের শুরুতে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে জোড়া পরিবর্তন করেন আন্তোনিও আবাস। মনবীরের পরিবর্তে দলে আসেন প্রবীর দাস। প্রণয় হালদার আসেন গ্লেন মার্টিন্সের পরিবর্তে। মাঠে নামার কয়েক সেকন্ডের মধ্যেই হলুদ কার্ড দেখেন প্রণয়।
৫৪তম মিনিটে নিজেদের বক্সের বাইরে উইলিয়ামসকে ফাউল করেন বোউমাস। ফ্রি-কিক মেরিনার্সদের অনুকূলে। এদু গার্সিয়ার দুরন্ত ফ্রি-কিক শরীর ছুঁড়ে রক্ষা করলেন অমরিন্দর। এর চার মিনিটের মধ্যেই দুরন্ত একটা সুযোগ আসে এদু গার্সিয়ার অনুকূলে। প্রতি-আক্রমণ থেকে প্রণয়ের থ্রু ধরে স্প্যানিয়ার্ডের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
ম্যাচ মোটামুটি সমান সমানই চলছি। কিন্তু ৬৯ মিনিটে বার্থোলোমিউ ওগবেচের গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় মুম্বই সিটি এফসি। প্রতি-আক্রমণ থেকে উগো বোউমাসের সাজানো বল থেকে দুর্দান্ত ফিনিশ করেন ওগবেচে। চার মিনিট পর ফের গোলের সুযোগ চলে এসেছিল মুম্বইয়ের কাছে। ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে পরিবর্ত লে ফন্ড্রের প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন অরিন্দম।
৮০ মিনিটের পর থেকে ম্যাচে কিছুটা প্রভাব ফেলতে শুরু করে সবুজমেরুন। সমতা ফেরানোর চেষ্টা করে তারা। ফ্রি-কিক থেকে ডেভিড উইলিয়ামসের দুরন্ত শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মোর্তাদা ফল। কিছুক্ষণের মধ্যেই দূরপাল্লার শটে অমরিন্দরকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন প্রবীর দাস। কিন্তু তাঁর শট ক্রসবারের অনেকটা উপর দিয়ে মাঠের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
ফলে ম্যাচে কোনো ভাবেই আর সমতা ফেরাতে পারেনি সবুজমেরুন। মুম্বইয়ের কাছে তিন পয়েন্ট খোয়াতে হল আবাসের দলকে।
-
রাজ্য7 hours ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ1 day ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
কলকাতা2 days ago
অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা, বাগবাজারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়