স্পেন: ২ (লামিনে ইয়ামাল, দানি ওলমো) ফ্রান্স: ১ (রান্দাল কোলো মুয়ানি)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ঠিক এক যুগ পরে ইউরো কাপের ফাইনালে উঠল স্পেন। এর আগে ২০১২-তে তারা ফাইনালে উঠেছিল। সেবার তারা ইতালিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তার আগে ২০০৮-এও ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন, জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে। বারো বছর পর আবার ফাইনালে তারা। এবার তারা মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে।
০-১ গোলে পিছিয়ে থেকে ফ্রান্সের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল স্পেন। আত্মসমর্পণ করল ফ্রান্স। ১-২ গোলে তারা পরাজয় স্বীকার করল স্পেনের কাছে। আর ইতিহাস রচনা করলেন স্পেনের রাইট উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল। স্পেনের হয়ে প্রথম গোল করে ইউরোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসাবে নাম লিখিয়ে ফেললেন ১৬ বছরের ইয়ামাল। এ দিন তিনিই হলেন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’।
মঙ্গলবার গভীর রাতে (ভারতীয় সময়) মিউনিখের ফুসবল আরেনায় আয়োজিত ম্যাচে ৩টি গোলই হয় প্রথমার্ধে। ৮ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। তারা তাদের এই এগিয়ে যাওয়া মাত্র ১৩ মিনিট ধরে রাখতে পেরেছিল। ম্যাচের ২১ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে এবং তার ৪ মিনিট পরেই জয়সূচক গোল করে বাজিমাত করল স্পেন। ফ্রান্সকে তারা ২-১ গোলে হারিয়ে দিল।
প্রথমার্ধেই ৩ গোল
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের ওপর দখলাদারি একটু বেশিই ছিল স্পেনের। ম্যাচের ৫ মিনিটেই তারা গোল করার সুযোগ পায়। ডানদিক থেকে বল পেয়ে ইয়ামাল তা উঁচু শটে তা পাঠিয়ে দেন ফ্রান্সের বক্সে থাকা ফাবিয়ান রুইজের কাছে। গোলের খুব কাছ থেকে পাক খাওয়া বলে মাথা ছোঁয়ান রুইজ। কিন্তু সময়ের একটু এদিক-ওদিক হয়ে যায়। বল অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
কিন্তু ৩ মিনিট পরেই গোল করে বসে ফ্রান্স। ওউসমানে ডেমবেলে বল বাড়িয়ে দেন ডান দিকে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এমবাপ্পে আলতো টোকায় বল পাঠিয়ে দেন স্পেনের বক্সের মধ্যে। বল পেয়ে যান রান্দাল কোলো মুয়ানি। মুয়ানি দুর্দান্ত হেডে বল জড়িয়ে দেন স্পেনের জালে। ফ্রান্স এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
দু’ পক্ষে সমানে সমানে লড়াই চলতে থাকে। তারই মধ্যে ম্যাচের ২১ মিনিটে গোল শোধ করে দেয় স্পেন। মাঠের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় বল পেয়ে যান ইয়ামাল। তাঁর বাঁ দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়ে ২৫ মিটার দূর থেকে যে দুর্দান্ত শট নেন তা ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনানকে পরাস্ত করে গোলে ঢুকে যায়। ১৬ বছর ৩৬২ দিন বয়সের ইয়ামাল ইউরোতে গোল করে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসাবে রেকর্ড করে ফেললেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল সুইৎজারল্যান্ডের ইয়োহান ফনলানথেনের দখলে। ২০০৪-এর ইউরোতে তিনি যখন গোল করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর ১৪১ দিন।
৪ মিনিট পরেই আবার গোল স্পেনের। ডান দিকে বল পেয়ে যান স্পেনের খেসুস নাবাস। তিনি ক্রস বাড়ালে ফ্রান্সের উইলিয়াম সালিবা তাতে হেড করে নিজেদের বিপন্মুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল চলে যায় স্পেনের দানি ওলমোর কাছে। তিনি ফ্রান্সের চাউয়ামেনিকে কাটিয়ে যে শট নেন তা ফ্রান্সেরই কুন্দের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিন্তু ওলমোর শট যেহেতু টার্গেটেই ছিল, তাই রেফারি ওলমোকেই গোলটা দেন। স্পেন এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
এর পর প্রথমার্ধের বাকি সময় এবং দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়টা ধরে ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করে ফ্রান্স। ওদিকে স্পেনও জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফল অপরিবর্তিতই থাকে।
আরও পড়ুন
কোপা আমেরিকা: এবারের টুর্নামেন্টে মেসির প্রথম গোল, কানাডাকে হারিয়ে আর্জেন্তিনা ফাইনালে