ফুটবল
প্রথম বিদেশি হিসেবে আইএসএলে অনন্য রেকর্ড করলেন সবুজ মেরুনের তিরি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: তাঁর পুরো নাম খোসে লুইস এসপিনোসা আরোয়ো হলেও ফুটবলমহল তাঁকে চেনে তিরি নামে। সেই তিরিই প্রথম বিদেশি হিসেবে আইএসএলে ময়দানে অনন্য একটি রেকর্ড করে ফেললেন শুক্রবার।
আপাতত তিরিই একমাত্র বিদেশি ফুটবলার যিনি আইএসএল-এ ৬টি মরশুমেই খেলার নজির গড়লেন। ২০১৪ সালে, অর্থাৎ আইএসএলের প্রথম মরশুমে তিরি ছিলেন না। কিন্তু তার পরের বছরই এটিকেতে যোগ দেন এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। এটিকের নাম তখন ছিল আতলেতিকো দে কলকাতা।
প্রথম দু’টি মরশুম তিনি এটিকের হয়ে নামেন। এর পর পড়শি রাজ্যের জামশেদপুরে পাড়ি জমান তিনি। ষষ্ঠ মরশুমে আবার তিরি ফিরে এসেছেন তাঁর প্রথম আইএসএল ক্লাবে। তবে দলের নাম এ বার বদলে গিয়েছে।
২০১৫ সালে কলকতার হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেন তিনি। পরের মরশুমে এটিকের হয়ে মাঠে নামেন ১১টি ম্যাচে। জামশেদপুরের হয়ে তিনটি মরশুমে মোট ৪৮টি ম্যাচ খেলেন তিরি। ৩টি গোলও করেন এই তারকা ডিফেন্ডার।
আপাতত এক বছরের চুক্তিতে তিরিকে সই করিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। চুক্তির পরে ক্লাবের সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞপ্তিতে তিরি জানিয়েছিলেন, “এমন একটা ক্লাব ও শহর, যেখানে আমার দারুণ স্মৃতি রয়েছে, সেখানে ফিরতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। আমি আগেও এই ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এবং আবার চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
জিতলেও দলের পারফর্মান্সে খুশি নন আন্তোনিও লোপেজ আবাস
ফুটবল
ATK Mohun Bagan: আন্তোনিও লোপেজ আবাস আরও একটা মরশুম সবুজ মেরুনে
রয় কৃষ্ণ, মনবীর, ডেভিড উইলিয়ামস, প্রীতম কোটালদের ফাইনাল পর্যন্ত তুলে আনার পিছনে আবাসের ভূমিকা কিছু কম নয়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যা আশা করা হয়েছিল, তা-ই হল। আরও একটা মরশুমের জন্য এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) প্রধান কোচ (Head Coach) হিসাবে থেকে গেলেন আন্তোনিও লোপেজ আবাস (Antonio Lopez Habas)।
সদ্য শেষ হওয়ায় আইপিএল-এ (ISL 2020-21) এটিকে মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও এই স্প্যানিশ কোচের তত্ত্বাবধানে থেকে আগাগোড়া ভালো খেলে এসেছে। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) কাছে হেরে গেলেও রয় কৃষ্ণ, মনবীর, ডেভিড উইলিয়ামস, প্রীতম কোটালদের ফাইনাল পর্যন্ত তুলে আনার পিছনে আবাসের ভূমিকা কিছু কম নয়।
তাঁর সেই ভূমিকাকে মনে রেখেই প্রধান কোচ হিসাবে তাঁর সঙ্গে চুক্তি আরও এক বছর বাড়িয়ে নেওয়া হল। ২০২১-২২ মরশুমের রণনীতি ঠিক করার দায়িত্ব দু’ দু’ বার আইএসএল জয়ীর কাঁধেই চাপিয়ে দিলেন সবুজ-মেরুনের কর্তারা।
আরও একটা মরশুমের জন্য দায়িত্ব পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি আবাস। বললেন, “একই দল ধরে রাখার পাশাপাশি একই কোচদের রেখে দেওয়ার জন্য কর্তাদের অনেক ধন্যবাদ। আসন্ন এএফসি কাপ ও আইএসএলে সবাই একসঙ্গে থাকলে মনোবল বাড়বে। আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য এনে দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “গত মরশুমে খুব অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে। আগামী মরশুম শুরু হওয়ার আগে ভুল শুধরে মাঠে নামব। কারণ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে।”
আগামী মরশুমে আইএসএল ছাড়াও এএফসি কাপের খেলা রয়েছে। এটিকে মোহনবাগানের কর্মকর্তা ও সমর্থকদের বড়ো ভরসা আন্তোনিও লোপেজ আবাস। দেখা যাক তাঁর প্রশিক্ষণে থেকে আগামী মরশুমে কেমন ফল করে দল।
ফুটবল
ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ২৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ওমানের সঙ্গে ১-১ ড্র করল ভারত
ফিফার তালিকায় ওমানের স্থান ৮১তম স্থানে, আর ভারত রয়েছে ১০৪তম স্থানে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ভারতের ফুটবলের পক্ষে সুখবর। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পরে আয়োজিত কোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে ভারত ড্র করল। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মৈত্রী ম্যাচে ওমানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল ভারত। এই ম্যাচে উপসাগরের দলের আধিপত্য বেশি থাকলেও সম্মান রক্ষা করেছে ভারত।
আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দোল ওমান। ২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে দুটি লেগেই ভারতকে হারিয়েছিল ওমান। ফিফার তালিকায় ওমানের স্থান ৮১তম স্থানে, আর ভারত রয়েছে ১০৪তম স্থানে।
এ দিন ওমানের গোলটি ভারতেরই আত্মঘাতী। ৪২ মিনিটে ভারতের বক্সের মধ্য থেকেই গোল লক্ষ্য করে শট নেন ওমানের জাহির আল আখবারি। গোলকিপার অমরিন্দর সিং বলটা ঠিকমতো ধরতে পারেননি। বল ভারতের ডিফেন্ডার চিংলেনসানা সিংয়ের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
৫৫ মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরান মনবীর সিং। ওমানের বক্সের ডান দিকে বিপিন সিংকে পেয়ে যান আশুতোষ মেহতা। বিপিন বল পেয়েই ক্রস করেন। তাতে মাথা ছুঁইয়ে ওমানের গোলে ঢুকিয়ে দেন এটিকে মোহনবাগানের মনবীর সিং।
এ দিনের ম্যাচে ১০ জন খেলোয়াড়কে আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম নামার সুযোগ দেন ভারতের প্রধান কোচ আইগর স্টিম্যাক। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে তিনি বলেন, বড়ো ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তিনি আজ যত জন সম্ভব খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ দেবেন।
এ দিনের ম্যাচের প্রথমার্ধে ওমান অবিরাম আক্রমণ চালিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের গোলে একটাও শট নেওয়ার সুযোগ পায়নি ভারত। ২৭ মিনিটে একটি পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করে ওমান। আবদুল আজিজ আল মকবলির শট ধরে ফেলে অমরিন্দর,
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক ভালো খেলে ভারত। এই অর্ধে বলের উপর ভারতেরই দখলদারি বেশি ছিল। তারই সুবাদে ৫৫ মিনিটে তারা সমতা ফেরায়।
আগামী সোমবার ভারত তার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মৈত্রী ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (ইউএই) সঙ্গে। ২০২২-এর বিশ্বকাপ এবং ২০২৩-এর এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের প্রস্তুতি হিসাবে এই মৈত্রী ম্যাচগুলি খেলা হচ্ছে।
ফুটবল
ISL Final: গোল বাতিল নিয়ে ক্ষোভ, সাংবাদিক সম্মেলন বয়কট করে বিপুল জরিমানার মুখে এটিকে মোহনবাগান
ছয় লক্ষ টাকা দিতে হবে সবুজমেরুনকে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শনিবার আইএসএলের ফাইনালে এটিকে মোহনবাগানের একটি গোল বাতিলকে কেন্দ্র করে মহাবিতর্ক তৈরি হয়েছে। ‘জঘন্য’ রেফারিংয়ের প্রতিবাদ করে ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলন বয়কট করেন আবাস। এর জেরে বিপুল অঙ্কের জরিমানার সম্মুখীন দল।
শনিবার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৮ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামস গোল করে এটিকে-মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলেন আবাস। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে থমথমে মুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে না আসার ফলে ছ’ লক্ষ টাকা জরিমানা হচ্ছে এটিকে-মোহনবাগানের। ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠক না করে আবাসের ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ০-২ হারের পরে একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি।
এর জন্য দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এটিকে-মোহনবাগানকে। সেই সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হবে। শনিবারের ঘটনার জন্য চার লক্ষ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে এটিকে-মোহনবাগানকে। এর সঙ্গে যোগ হবে আগের দুই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, মোট ছয় লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে সবুজ-মেরুনকে। এ দিন ম্যাচের পরে কথা বলেননি এটিকে-মোহনবাগানের ফুটবলারেরাও।
সবুজমেরুনের প্রতিবাদ ন্যায্য গোল বাতিলকে কেন্দ্র করে। ম্যাচের ৬০ মিনিটে খাবি এর্নান্দেজের ফ্রি-কিক মুম্বইয়ের মহম্মদ রকিপের হাঁটুতে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিন্তু লাইন্সম্যান গোল বাতিল করেন। তাঁর যুক্তি, অফসাইডে ছিলেন রয় কৃষ্ণ। সবুজ-মেরুনের কেউই অবশ্য তা মানতে রাজি নন।
এর বিরুদ্ধে মাঠের মধ্যেই প্রতিবাদ জানান রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিংহরা। কিন্তু লাইন্সম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে গোল বাতিল করেন রেফারি। তবে মুম্বইয়ের দু’টি গোলের ক্ষেত্রেই সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা দায়ী করছেন অরিন্দম ভট্টাচার্যকে। ম্যাচের পরে মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এটিকে-মোহনবাগানের গোলরক্ষক। তাঁকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন আবাস ও সতীর্থরা।
সপ্তম আইএসএলে এটিকে-মোহনবাগানের ফাইনালের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর অরিন্দমও। ২৩টি ম্যাচে ৫৯টি গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। সপ্তম আইএসএলের সেরা গোলরক্ষক হিসেবে সোনার গ্লাভসও পেলেন। কিন্তু মুম্বইয়ের কাছে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা হয়তো সব সময়ই কাঁটার মতো বিঁধে থাকবে অরিন্দমের মনে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
-
ধর্মকর্ম2 days ago
অন্নপূর্ণাপুজো: উত্তর কলকাতার পালবাড়ি ও বালিগঞ্জের ঘোষবাড়িতে চলছে জোর প্রস্তুতি
-
ভিডিও2 days ago
Bengal Polls 2021: বিধাননগরে মুখোমুখি টক্কর সুজিত বসু-সব্যসাচী দত্তর, ময়দানে জোট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
ক্রিকেট19 hours ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান