হায়দরাবাদ: জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সন্তোষ ট্রফিতে সবচেয়ে সফল দল বাংলা। এ বার চলছে সন্তোষ ট্রফির ৭৮তম সংস্করণ। এর আগে যে ৭৭ বার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে ৪৬ বারই ফাইনালে খেলেছে বাংলা। তার মধ্যে ৩২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলার। গত ছ’ বছর তারা চ্যাম্পিয়নের ট্রফি ঘরে নিয়ে যেতে পারেনি। এর মধ্যে অবশ্য দু’ বার রানার্স আপ হয়েছে। ছ’ বছর পর আবার বাংলার সামনে সুযোগ এল।
সন্তোষ ট্রফির ৭৮তম সংস্করণে ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা এবং কেরল। ফাইনালে যাওয়ার পথে রবিবার হায়দরাবাদে আয়োজিত সেমিফাইনাল ম্যাচে গত বারের চ্যাম্পিয়ন সার্ভিসেসকে ৪-২ গোলে হারাল বাংলা। ফাইনালে বাংলা মুখোমুখি হবে কেরলের। এ দিন আর একটি সেমিফাইনাল ম্যাচে কেরল ৫-১ গোলে হারাল মণিপুরকে।
বাংলা ৪-২ গোলে জয়ী
প্রথমার্ধেই বাংলা এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। শুরু থেকেই সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে বাংলা দাপট দেখিয়েছে। আর তার ফল পেয়ে গেল ম্যাচের ১৭ মিনিটেই। বাংলার হয়ে প্রথম গোল করেন মনোতোষ মাজি। একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করে বাংলা এবং প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আরও দু’টি গোল করে ফেলে তারা। প্রথমে নরহরি শ্রেষ্ঠর কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন রবি হাঁসদা। সার্ভিসেস সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই বাংলার তিন নম্বর গোল। এ বার নরহরিরই পা থেকে।
দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎই তেড়েফুঁড়ে ওঠে সার্ভিসেস। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে একটা গোল শোধ করে তারা। সেই গোল আসে শ্রেয়স গোপালনের পা থেকে। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে নিজের দলকে বিপদে ফেলে দেন বাংলার জুয়েল মজুমদার। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে রবি হাঁসদার গোলে বাংলা নিশ্চিন্ত হয়। ৪-২ গোলে হারায় সার্ভিসেসকে।
জয়ের আনন্দে কেরল। ছবি সৌজন্যে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন।
কেরল ৫-১ গোলে জয়ী
হায়দরাবাদে আয়োজিত আর একটি সেমিফাইনাল ম্যাচে সাত বারের চ্যাম্পিয়ন কেরল হেলায় হারাল এক বারের চ্যাম্পিয়ন মণিপুরকে। খেলার ফল কেরলের পক্ষে ৫-১। কেরলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন মহম্মদ রোশল।
প্রথমার্ধে নসিব রহমানের গোলে ১-০ এগিয়ে গিয়েছিল কেরল। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করে মণিপুরের শঞ্জুনাথন রাগুই ম্যাচে সমতা নিয়ে আসেন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মহম্মদ আজসল গোল করে কেরলকে ২-১ ফলে এগিয়ে দেন।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মণিপুরকে কার্যত উড়িয়ে দেয় কেরল। ম্যাচের ২২ মিনিটের মধ্যে ৩টি গোল করে হ্যাটট্রিক করেন মহম্মদ রোশল এবং দলকে ৫-১ গোলে জিতিয়ে দেন।