ফুটবল
জিদান ডাকলেও যাবেন না, বললেন বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার
ওয়েবডেস্ক: ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছিলেন এনগোলো কান্তে। সারা টুর্নামেন্টে জুড়েই নিজের সেরাটা দিয়েছিলেন। চেলসির মাঝমাঠের স্তম্ভ তিনি। বর্তমানে ক্লাব দলে সতীর্থ জরজিনহো থাকার ফলে নিজের পছন্দের পজেশনের কিছুটা বাইরে খেলছেন তিনি। শোনা যাচ্ছিল তাঁকে দলে নিতে আগ্রহী ইউরোপের বেশ কয়েকটি হেভিওয়েট ক্লাব। যাঁদের মধ্যে অন্যতম রেয়াল মাদ্রিদ। রেয়ালে কোচ হয়ে দ্বিতীয় […]

ওয়েবডেস্ক: ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছিলেন এনগোলো কান্তে। সারা টুর্নামেন্টে জুড়েই নিজের সেরাটা দিয়েছিলেন। চেলসির মাঝমাঠের স্তম্ভ তিনি।
বর্তমানে ক্লাব দলে সতীর্থ জরজিনহো থাকার ফলে নিজের পছন্দের পজেশনের কিছুটা বাইরে খেলছেন তিনি। শোনা যাচ্ছিল তাঁকে দলে নিতে আগ্রহী ইউরোপের বেশ কয়েকটি হেভিওয়েট ক্লাব।
যাঁদের মধ্যে অন্যতম রেয়াল মাদ্রিদ। রেয়ালে কোচ হয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন জিদান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারের তালিকা তৈরি করেছেন তিনি। ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর অনুযায়ী সেই তালিকায় রয়েছেন কান্তেও।

কান্তে
এ বার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কান্তে। তিনি জানান, “বর্তমানে আমি চেলসিতে রয়েছি। এখানে আমার এখনও অনেক স্বপ্ন রয়েছে। কোথায় কী কথা হচ্ছে সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি জিদানও আমাকে ফোন করে, সেটাও না। চেলসিতে রয়েছি এবং সেটা নিয়েই ফোকাস করতে চাই”।
Uncategorized
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান
এই ম্যাচের পর এটিকে মোহনবাগান লিগের দ্বিতীয় স্থানেই থাকল। ১১ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা গোয়ার ১২ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ১৯।

এটিকে মোহনবাগান ১ (এদু গার্সিয়া) এফসি গোয়া (ঈশান পণ্ডিতা)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: রবিবার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইএসএল-এ (ISL 2020-21) এটিকে মোহনবাগান বনাম এফসি গোয়ার ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকল। দুটি দলই প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। দু’টি দলেরই ক্ষেত্রে শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
অচলাবস্থা ভাঙে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। পরে গোল শোধ করে ম্যাচে সমতা ফেরায় এফসি গোয়া (FC Goa)।
বাধা যখন ক্রসবার
গোল করার প্রথম সুযোগ পায় এটিকে মোহনবাগান। ডান দিক থেকে দৌড়ে এসে গোয়ার বক্সে ঢুকে পড়া প্রবীর দাসকে লব করে বল পাস করেন কার্ল ম্যাকহাগ। প্রবীর গোল লক্ষ্য করে শট করেন, কিন্তু নবীন কুমার দুর্দান্ত সেভ করেন।
২৭ মিনিটে ডান দিক থেকে কর্নার করেন এটিকে মোহনবাগানের এদু গার্সিয়া। গার্সিয়ার কর্নার কিকে মাথা ছোঁয়ান শুভাশিস বোস। কিন্তু তাঁর হেড গোয়ার ক্রসবারে লেগে নিরাপদে গোলকিপারের হাতে চলে যায়।
তিন মিনিট পরেই সুযোগ পেয়ে যায় গোয়া। এ ক্ষেত্রেও ক্রসবারই গোল হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ ডান দিকে পাস বাড়ান সতীর্থ সেরিটন ফার্নান্ডেজকে। সেরিটন বক্সের ঠিক বাইরে আলবার্তো নোগুয়ারেকে বল পাস করেন। স্প্যানিশ খেলোয়াড় আবার সেরিটনকে বল বাড়িয়ে দেন। কিন্তু সেরিটনের ক্রস ক্রসবার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে বলের দখল গোয়ারই ছিল। কিন্তু তারা গোল করতে পারেনি। ৭৫ মিনিটে অচলাবস্থা ভাঙে এটিকে মোহনবাগান। গোয়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এদু গার্সিয়া।
ম্যাচে সমতা ফিরে আসে ৯ মিনিট পরে। কর্নার কিক থেকে গোয়ার গোল করার চেষ্টা প্রথমে ব্যর্থ করেন প্রীতম কোটাল। কিন্তু বল চলে যায় ঈশান পণ্ডিতার কাছে। ঈশান গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি।
নির্ধারিত সময়ের মিনিট খানেক আগে জয়সূচক গোল করার সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু একটা ফ্রি-কিক থেকে মনবীর সিংযের হেড গোয়ার ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। অতিরিক্ত সময়ে গোয়াও গোল করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
এই ম্যাচের পর এটিকে মোহনবাগান লিগের দ্বিতীয় স্থানেই থাকল। ১১ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা গোয়ার ১২ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ১৯।
আরও পড়ুন: সুন্দর-শার্দূলের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরল ভারত

কেরল ১ (জর্ডান মারে) ইস্টবেঙ্গল ১ (স্কট নেভিল)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: গোটা ম্যাচে পিছিয়ে থেকে, শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে সমতা ফিরিয়ে হার এড়াল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার, এই ফলাফলের ফলে অন্তত একটা পয়ন্ট নিশ্চিত করে মুখ রক্ষা হল রবি ফাউলারের।
এ দিন ম্যাচের প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছিল কেরল। ইস্টবেঙ্গলের ভুল পাসের সুযোগ নিয়ে শুরুতেই গোলের কাছাকাছি চলে এসেছিল কেরল। শেষ মুহূর্তে গোল বাঁচান লালহলুদ ডিফেন্ডাররা। তবে আচমকা দশম মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের হরমনের সামনে। যদিও কেরল গোলকিপার অ্যালবিনো গোমেজ তা বাঁচিয়ে দেন।
তবে দশ মিনিটের পর থেকে ম্যাচের মোড় কিছুটা ইস্টবেঙ্গলের অনুকূলে ঘুরতে শুরু করে। মাঝে মাঝেই সুযোগ পেয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে ফিনিশ করতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা। ব্রাইট, মাঘোমার দ্রুত সেই সব মুভমেন্ট শুরু থেকে দেখা যায়নি। একটা শট ব্রাইট নিলেও সেটা পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
গোলশূন্য ভাবেই বিরতিতে যায় ম্যাচ। বলের দখল প্রায় সমান-সমান থাকলেও প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কোনো ঝাঁজ লক্ষ্য করা যায়নি। ব্রাইট, মাঘোমারা আক্রমণ তুলে আনলেও বেশিরভাগ সময়েই বক্সের বাইরেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের আক্রমণ।
প্রথমার্ধের ঝাঁজ বজায় রেখেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। দুরন্ত সেভ করতে হয় দেবজিৎ মজুমদারকে। এই ম্যাচে একাধিকবার তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। মাঝমাঠে বারবার ভুল করেছে ইস্টবেঙ্গল।
বিরতির পর ইস্টবেঙ্গলের মিলন সিংহের জায়গায় নামেন অজয় ছেত্রী। এসেই মাঝমাঠের হাল ধরার মরিয়া চেষ্টা করেন তিনি। যদিও এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথায় বাজ পড়ে লালহলুদের। ৬৪তম মিনিটে অ্যালবিনো গোমেজের গোলকিক থেকে লম্বা বল সোজাসুজি ধরে কেরল ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দেন জর্ডান মারে।
ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। অ্যালবিনো গোলকিক করার সময় রানা ঘরামি দাঁড়িয়েছিলেন জর্ডান মারের সামনে। তাঁকে মার্কিংই করতে পারেননি। লম্বা দৌড়ে ঠিক ভাবে মারে গোলে না ঠেলতে পারলেও তা দেবজিৎকে পরাস্ত করে।
৭২ মিনিটে দলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করান রবি ফাউলার। মাঠি স্টেনম্যানের বদলে নামেন অ্যান্টনি পিলকিংটন। দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফেরেন তিনি। এই স্ট্রাইকারকে দিয়ে গোল তুলে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেন ফাউলার।
৮০ মিনিটের একটু আগে পিলকিংটন দুরন্ত শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু কেরলের ডিফেন্ডার কোস্তা তা সহজেই ক্লিয়ার করে দেন। পরবর্তী ১৫ মিনিট কার্যত গোলের জন্য হাতড়ে বেড়াচ্ছিল লালহলুদ শিবির।
কিন্তু কথাতেই তো বলে, ওস্তাদের মার শেষ। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে ব্রাইট এনোবাখারের কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেডের জন্য মূল্যবান এক পয়েন্ট এনে দেন স্কট নেভিল।
ফুটবল
নর্থইস্টকে আটকে রেখে হারের লজ্জা এড়াল বেঙ্গালুরু

নর্থইস্ট ১ (মাচাদো) বেঙ্গালুরু ১ (রাহুল ভেকে)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ এবং সপ্তম দলের মধ্যে লড়াই শেষ হল অমীমাংসিত ভাবে। তবে এই লড়াই খুব আরামসেই জিততে পারত নর্থইস্ট ইউনাইটেড। তবুও তারা যে নর্থইস্টকে ১-১-এ আটকে রাখতে পারল, সেই ব্যাপারটা বেঙ্গালুরুর কাছে যথেষ্ট কৃতিত্বের।
ম্যাচের শুরুটা কোনো দলই সে ভাবে ভালো করে করতে পারেনি। খুব অগোছালো খেলা চলছিল দুই দলের মধ্যেই। তবুও শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি সুযোগ আসে বেঙ্গালুরুর কাছে। দু’বারই গোলের মুখ দেখতে ব্যর্থ হন সুনীল ছেত্রী। ২৪ মিনিটে অপসেটের হেডার বাঁচিয়ে দেন নর্থইস্টের গোলরক্ষক গুরমীত।
বেঙ্গালুরুর এই দাপট আচমকা শেষ হয়ে যায় ২৭তম মিনিটে, যখন সব হিসেব পালটে দিয়ে গোল করে ফেলেন নর্থইস্টের মাচাদো। মাঝমাঠ থেকে দেমাস দেলগাদোর একটি লুজ বল দখল করেন ফেদ্রিকো গায়েগো। এর পর তিনি একাই বলটাকে গোলের দিকে নিয়ে গিয়ে বক্সের ঠিক বাইরে মাচাদোকে পাস দেন তিনি, যা মাচাদো বেঙ্গালুরুর জালে জড়াতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি।
গোল হজম করে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে বেঙ্গালুরুরর ওপরে। এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা। আইএসএলের অন্যতম দুর্দান্ত দল বেঙ্গালুরুর এই টুর্নামেন্টটা খুবই খারাপ যাচ্ছে। এর ওপরে হাইল্যান্ডার্সের বিরুদ্ধে গোল হজম করাটা বড্ড চাপের হয়ে গিয়েছিল তাদের কাছে।
তবে বিরতির ঠিক পরেই গোল শোধ করে বেঙ্গালুরু। রাহুল ভেকে বাঁ পায় দূরপাল্লার শট নিলেও সেটা গুরমীতের পক্ষে রক্ষা করা খুব একটা অসুবিধার কিছু ছিল না। তবুও অপেক্ষাকৃত সহজ সেভ করতে ব্যর্থ হন তিনি। যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে বেঙ্গালুরু।
গোলটা পেয়ে যেন নতুন জীবন পায় বেঙ্গালুরু। বার বার নর্থইস্টের ডিফেন্স ভেদ করে আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। পিছিয়ে ছিল না নর্থইস্টও। তারাও বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছিল জয়সূচক গোলটি পাওয়ার জন্য। কিন্তু দক্ষ হাতে বেঙ্গালুরুর গোল সামলেছেন তাদের গোলরক্ষক।
১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়া এই ম্যাচের পর বেঙ্গালুরুর ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট রয়েছে। নর্থইস্ট ১১ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে।
-
রাজ্য1 day ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি2 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে