ভারত ১৫০ এবং ১৭২/০ (যশস্বী ৯০ অপরাজিত, রাহুল ৬২ অপরাজিত)
অস্ট্রেলিয়া ১০৪
খবর অনলাইনডেস্ক: বহু, বহু দিন পর টেস্ট ক্রিকেটে টেস্ট ক্রিকেটের মতোই ব্যাটিং দেখার সুযোগ হল। সৌজন্যে কেএল রাহুল এবং যশস্বী জয়সওয়াল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চালিয়ে খেলতে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ, কিংবা তার আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর শনিবার প্রকৃত টেস্ট ব্যাটিং দেখা গেল ভারতের দুই ওপেনারের মধ্যে।
দীর্ঘদিন পর বিদেশের মাটিতে ভারতের ওপেনিং জুটিকে দেখতে অসাধারণ লাগল। দু’জনেই অর্ধশতরান পেলেন। দিনের শেষে অপরাজিতও থাকলেন।
টেস্ট ক্রিকেটে কী শট মারব, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোন বল ছাড়ব তা বুঝতে পারা। লাল বলের ক্রিকেটের ধৈর্য, সংযম, পড়ে থাকার মানসিকতা জরুরি। ভাল বলকে প্রাপ্য সম্মান দিতে হয়। সাদা বলের রঙিন ক্রিকেটের দাপটে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে রঙিন বলের সাদা ক্রিকেট। পার্থের ২২ গজ সেই গ্রহণ মুক্ত করল ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে। ২০০৪ সালে সিডনি টেস্টে ওপেনিং জুটিতে ১২৩ রান করেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ এবং আকাশ চোপড়া। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের আরও একটা শতরানকারী ওপেনিং জুটি পেতে ২০ বছর চলে গেল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্মের পর প্রথম বার।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস ১০৪ রানে শেষ হওয়ায় জসপ্রীত বুমরাহর দল ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড নেয়। তবে পার্থের ২২ গজ শনিবার প্রথম দিনের মতো সবুজ ছিল না। শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে ঘাস। পিচের রং কিছুটা ধুসর দেখিয়েছে। নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া ঘাসের উপর প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউডদেরও নিস্তেজ দেখাল। ভারতকে বেকায়দায় ফেলেও সুবিধা ধরে রাখতে না পারার হতাশা স্পষ্ট ছিল কামিন্সদের চেহারায়। সেই সুযোগ নিখুঁত ভাবে কাজে লাগালেন ভারতের দুই ওপেনার।
মারার মতো বল পেলে যশস্বী যেমন পুল করতে দ্বিধা করেননি, তেমন বল ছেড়েছেন সাবলীল ভাবে। রাহুল ছিলেন আরও সতর্ক। ঝুঁকিহীন থাকার চেষ্টা করেছেন সারাক্ষণ। যশস্বী-রাহুলকে পুরস্কৃত করল ধৈর্য। যথাযথ সম্মান পেতেই তাঁদের ব্যাটে রান ফিরিয়ে দিল লাল বল। লাভবান হল ভারতও।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ১৭২। এগিয়ে ২১৮ রানে। হাতে ১০ উইকেট। যশস্বী অপরাজিত ৯০ রানে। রাহুল খেলছেন ৬২ রানে। ম্যাচের এখনও তিন দিন বাকি। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এই টেস্টে জয় ভারতেরই হবে, এই আশাতেই বুক বাঁধছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।