মুম্বই: ১৬৫-৪ (সূর্যকুমার ৪৩, ক্রুনাল ৪১ অপরাজিত, ওয়াটসন ২-২৯)
চেন্নাই: ১৬৯-৯ (ব্রাভো ৬৮, কেদার ২৪, মার্কাণ্ডেয় ৩-২৩)
মুম্বই: প্রত্যেক বছরের আইপিএলই কোনো নতুন আনকোরা ক্রিকেটারকে উপহার দেয়। সেই ট্র্যাডিশন এ বারও বজায় থাকল। উদয় হলেন ময়াঙ্ক মার্কাণ্ডেয়। তাঁর স্পিনের জালে জড়িয়ে গেলেন স্বয়ং ধোনি। সেই সঙ্গে ধরা পড়লেন আরও দু’জন। কিন্তু সেই জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে ডোয়েন ব্রাভো যে ব্রাভাডো দেখালেন, তাতেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে গেল চেন্নাই।
২০১৫ সালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল চেন্নাই। তার পর দু’ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে তাদের প্রথম ম্যাচেই মধুর প্রতিশোধ নিয়ে নিল চেন্নাই। এমন একটা জায়গা থেকে যেখানে তাদের ওপরে কোনো আশাই রাখা যাচ্ছিল না। চোটগ্রস্ত কেদার যাদবও যে অসীম সাহস দেখিয়ে ম্যাচ জেতালেন তা এক কথায় অসাধারণ।
দু’বছরের নির্বাসন যে তাঁদের বোলিং বিভাগে বিশেষ প্রভাব ফেলেইনি সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন চেন্নাইয়ের বোলাররা। বিশেষ করে ডোয়েন ব্রাভো এবং দীপক চাহর, যাঁদের সাতটা অসাধারণ ওভারের জন্য হাতে উইকেট থাকা সত্ত্বেও বেশি দূর যেতে পারেনি মুম্বই।
এ দিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে শুরুতেই বিপদে পড়ে মুম্বই। ফিরে যান ইভান লুইস এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তৃতীয় উইকেটে বড়ো পার্টনারশিপের সৌজন্যে মুম্বইকে ম্যাচে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন ঈশান কিষান এবং কেকেআরের প্রাক্তনী সূর্যকুমার যাদব। দু’জনে পালটা আঘাত হানলেও মোক্ষম সময়ে দু’জনের আউট হয়ে যাওয়া আবার কিছুটা চাপে ফেলে দেয় মুম্বইকে।
অন্য দিনের থেকে এ দিন অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। কিছুতেই ব্যাটে বলে হচ্ছিল না তাঁর। মাত্র ১১০-এর স্ট্রাইক রেটে ২২ রান করেন তিনি। অন্য দিকে তাঁর দাদা ক্রুনাল যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ছিলেন। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসের জন্যই ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছোয় মুম্বই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে বলার মতো কিছুই করতে পারেনি চেন্নাই। লেগ স্পিনার মার্কেণ্ডেয়র জালে জড়িয়ে ফিরে যান রায়ুড়ু, ধোনি এবং দীপক চাহর। একটি উইকেট নেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমনও। এর পরেই উদয় হলেন ডোয়েন ব্রাভো। দলের স্কোর যখন আট উইকেটে ১১৮, সেখান থেকেই ম্যাচ ধরে ফেলেন ব্রাভো। জেতার জন্য তখন চেন্নাইয়ের দরকার ২১ বলে ৪৮। ব্রাভো যখন আউট হন তখন দরকার শেষ ওভারে মাত্র ৭। পায়ে চোট নিয়ে সাহস দেখিয়ে কেদার দলকে যে ভাবে ম্যাচ জেতালেন তার প্রশংসা করতেই হয়।
যাই হোক প্রথম দিনেই যা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরিচয় আইপিএল দিল, টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ যে কী হবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
Khub valo post…..erokom aro post chai…
Khub valo post