গুজরাত ১৯২-৪ (হার্দিক ৮৭ অপরাজিত, আভিনব ৪৩, পরাগ ১-১২)
রাজস্থান ১৫৫-৯ (বাটলার ৫৪, হেটমেয়ার ২৯, ফার্গুসন ৩-২৩)
মুম্বই: আগের ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল গুজরাত। তবে বৃহস্পতিবার ফের জয়ে ফিরল তারা। এ দিন রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৭ রানে হারিয়ে দিল হার্দিক পাণ্ড্যর দল। ব্যাট-বলে-ফিল্ডিংয়ে মাতিয়ে দিলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক নিজে। পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেল গুজরাত।
এ দিন টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। প্রথম দিকে তাদের বোলারদের বেশ দাপটও ছিল। গুজরাত শুরুতেই হারায় ম্যাথু ওয়েডকে। শুরুতেই ড্রেসিং রুমের পথ দেখেন ম্যাথু ওয়েড এবং বিজয় শঙ্কর। ৫০ পেরনোর পরেই গুজরাত হারিয়ে ফেলল শুভমন গিলকেও।
চারে নেমে প্রথম থেকেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেলেন তরুণ অভিনব মনোহরকে। ২৮ বলে ৪৪ করেছেন মনোহর। চারটি চার এবং দু’টি ছক্কা মেরেছেন। তবে চাপের মুখে যে পরিণত মানসিকতা নিয়ে তিনি খেললেন, তা বহু দিন মনে থেকে যেতে বাধ্য। অনভিজ্ঞের মতো শট না মারলে হয়তো প্রথম অর্ধশতরানও পেয়ে যেতেন তিনি।
হার্দিক ক্রমশ নিজেকে যেন পরের টি-২০ বিশ্বকাপের দাবিদার হিসেবে প্রমাণ করে চলেছেন। একে তো অধিনায়ক হিসেবে তরতর করে এগোচ্ছেন দল নিয়ে। তেমনই ব্যাট, বল এবং ফিল্ডিংয়েও মাতিয়ে দিচ্ছেন। গত ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এই ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামেই অর্ধশতরান করেছিলেন। এ দিন মরসুমের দ্বিতীয় পঞ্চাশ এল তাঁর ব্যাট থেকে।
জবাবে জস বাটলারের সৌজন্যে শুরুটা দুরন্ত করেছিল রাজস্থান। বাটলারকে দেখে মনে হচ্ছিল খেলা যেন অনেক দ্রুত শেষ করতে চান। দেবদত্ত পাড়িক্কল প্রথম বলেই ফিরে যান। এর পরেই সবাইকে অবাক করে ক্রিজে আসতে দেখা যায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। গুজরাতকে চাপে রাখার খেলা খেলতে চেয়েছিল রাজস্থান। কিন্তু ফাটকা কাজে লাগল না। অশ্বিন মাত্র আট রানে ফিরলেন।
লকি ফার্গুসনকে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করলেও পরের বলেই তাঁর বুদ্ধির কাছে ঠকে গিয়ে ৫৪ রানে ফিরলেন বাটলার। দুরন্ত থ্রোয়ে সঞ্জুকে ফিরিয়ে দেন হার্দিকও। ওখানেই রাজস্থানের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। মাঝে তবু শিমরন হেটমেয়ার একটু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও ২৯ রানে ফিরে যান।
শেষের দিকে পুরো হালটাই ছেড়ে দিয়েছিল রাজস্থান। তাই তারা হেরে গেল বিশাল বড়ো ব্যবধানে।