দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৯৯-৩ (কে এল রাহুল ১১২ নট আউট, অভিষেক পোড়েল ৩০)
গুজরাত টাইটান্স: ২০৫-০ (১৯ ওভার) (সাই সুদর্শন ১০৮ নট আউট, শুভমন গিল ৯৩ নট আউট)
দিল্লি: টি২০ ক্রিকেটে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। গুজরাত টাইটান্সের ওপেনিং জুটি সাই সুদর্শন ও শুভমন গিল অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে পৌঁছে দিলেন জয়ে। সুদর্শন নট আউট থাকলেন ১০৮ রানে এবং শুভমন গিল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকলেন নট আউট হয়ে। দিল্লি ক্যাপিটালস-এর কে এল রাহুলের সেঞ্চুরি কাজে এল না। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে করাচিতে ইংল্যান্ডের ২০০ রানের জবাবে পাকিস্তান বিনা উইকেটে করেছিল ২০৩ রান।
১২ ম্যাচ থেকে ১৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এবারের আইপিএল-এর প্লে অফে চলে গেল গুজরাত টাইটান্স। আর এই ম্যাচের ফলের ভিত্তিতেই আরও দুটি দল প্লে অফে গেল – পঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এখন চতুর্থ স্থানটির জন্য লড়াই চলবে দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে।

জয়ের উচ্ছ্বাস গুজরাত টাইটান্সের। ছবি www.gujarattitansipl.com থেকে নেওয়া।
রাহুলের সেঞ্চুরি কাজে এল না
রবিবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাত টাইটান্স। দলের ১৬ রানের মাথায় ফাফ দু প্লেসি (১০ বলে ৫ রান) বিদায় নিতেই অভিষেক পোড়েলকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন কে এল রাহুল। তাঁরা দু’জনে স্কোর টেনে নিয়ে যান ১০৬-এ। ১৯ বলে ৩০ রান করে অভিষেক বিদায় নিতে রাহুলের সঙ্গী হন দলের অধিনায়ক অক্ষর পটেল। ১৬ বলে ২৫ রান করে অক্ষর যখন ফিরে যান তখন দলের রান ১৫১। এর পর ট্রিস্টান স্টাবসকে (১০ বলে ২১ রান নট আউট) নিয়ে বাকি কাজ সমাধা করেন রাহুল। ৪টে ছয় আর ১৪টা চারের মাধ্যমে ৬৫ বলে ১১২ রান করে নট আউট থাকেন রাহুল। দলের রান ওঠে ৩ উইকেটে ১৯৯।
সুদর্শন-শুভমনের ব্যাটিং ঝড়
জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০০ রান। গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমন গিল আর আরেক ওপেনার সাই সুদর্শনকে কোনোরকম বেগই দিতে পারলেন না দিল্লির বোলাররা। তাঁরা স্বচ্ছন্দে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন এবং এক বল বাকি থাকতেই পৌঁছে গেলেন লক্ষ্যমাত্রায়। উনিশতম ওভারে বিপরাজ নিগমের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে দলের স্কোর ১৯৯-এ নিয়ে যান শুভমন। ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন সুদর্শন। শুভমনের ৫৩ বলে ৯৩ রানে ছিল ৭টা ছয় আর ৩টে চার। আর সুদর্শনের ৬১ বলে ১০৮ রানে ছিল ৪টে ছয় ১২টা চার। স্বাভাবিক ভাবেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন সাই সুদর্শন।