মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৫৫-৮ (উইল জ্যাক্স ৫৩, সূর্যকুমার যাদব ৩৫, সাই কিশোর ২-৩৪, গেরাল্ড কোয়েৎজে ১-১০)
গুজরাত টাইটান্স: ১৪৭-৭ (১৯ ওভার) (শুবমন গিল ৪৩, জোস বাটলার ৩০, জসপ্রীত বুমরাহ ২-১৯, ট্রেন্ট বোল্ট ২-২২)
মুম্বই: ভাগ্য খারাপ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ঘরের মাঠে হেরে যেতে হল গুজরাত টাইটান্সের কাছে। মঙ্গলবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে ৩ উইকেটে জিতে ম্যাচ বার করে নিল শুভমন গিলের গুজরাত টাইটান্স। এর ফলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পরে গুজরাত টাইটান্স পৌঁছে গেল আইপিএল-এর প্লে অফের দরজায়।
কে কে যেতে পারে প্লে অফে
১১ ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল গুজরাত। আরসিবি-রও পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১৬। কিন্তু নেট রানরেটের হিসাবে তারা থাকল দ্বিতীয় স্থানে। আর ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থাকল চতুর্থ স্থানে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পঞ্জাব কিংস, তাদের সংগ্রহ ১১ ম্যাচ থেকে ১৫ পয়েন্ট।
এখনও পর্যন্ত কোনো দলই পাকাপাকি ভাবে প্লে অফে জায়গা পায়নি। তবে চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্লে অফে যাওয়ার লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেকেআর-এরও প্লে অফে যাওয়ার। তাদের সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। বুধবার ইডেনে তাঁদের খেলা চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে।
লিগ টেবিলে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছে মুম্বই। দিল্লি ক্যাপিটালস রয়েছে পাঁচ নম্বরে, তাদের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১৩। দিল্লি ও মুম্বইয়ের নিজেদের মধ্যে ম্যাচ রয়েছে। ফলে একটি দল আবার পয়েন্ট নষ্ট করবে। কলকাতা যদি বুধবার চেন্নাইকে হারিয়ে দেয় তা হলে অজিঙ্ক রাহানেদের পয়েন্ট হবে ১২ ম্যাচে ১৩। সে ক্ষেত্রে কেকেআরের প্রথম চারে চলে আসার সম্ভাবনা থাকবে।

‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ শুবমন গিল। ছবি Indian Premier League ‘X’ থেকে নেওয়া।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দু’ পক্ষে
মঙ্গলবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাত এবং প্রথম ফিল্ডিং করার ফায়দাও তুলে নেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৫ রান করে তারা। গুজরাতের বোলারদের ঠিকভাবে মোকাবিলাই করতে পারেননি মুম্বইয়ের ব্যাটাররা উইল জ্যাক্স (৩৫ বলে ৫৩) এবং কিছুটা সূর্যকুমার যাদব (২৪ বলে ৩৫) এবং করবিন বশ (২২ বলে ২৭) ছাড়া। বাকি ব্যাটারদের রান এক অঙ্কের ঘর ছাড়ায়নি।
কিন্তু জয়ের লক্ষ্যে রান তাড়া করতে নেমে দলের মাত্র ৬ রানে সাই সুদর্শন ফিরে যান প্যাভিলিয়নে, ট্রেন্ট বোল্টের বলে রিকেল্টনকে ক্যাচ দিয়ে। এর পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শুবমন গিল এবং জোস বাটলার। তারা রজান নিয়ে যান ৭৫-এ। ব্যক্তিগত ৩০ রানের মাথায় অশ্বিনী কুমারের বলে রিকেল্টনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাটলার। শুভমন গিলের সঙ্গী হন শেরফেন রাদারফোর্ড। দলের ১১৩ রানে গিল (৪৬ বলে ৪৩ রান) বিদায় নেন বুমরাহের বলে বোল্ড হয়ে। এর পরেই ধস নামে গুজরাতের ইনিংসে।

বিঘ্ন ঘটাল বৃষ্টি। ছবি Indian Premier League ‘X’ থেকে নেওয়া।
ফয়সালা ডিএলএস-এ, জিতে গেল গুজরাত
গুজরাতের রান তখন ১৮ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২। বৃষ্টি নামল তুমুল জোরে। খেলা বন্ধ। সাড়ে ১২টায় ফের খেলা শুরু হল। ডিএলএস পদ্ধতিতে ফয়সালার সিদ্ধান্ত হল। ১৯ ওভারের খেলা, লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়াল ১৪৭। অর্থাৎ হাতে রয়েছে ৬ বল। গুজরাতকে রান করতে হবে ১৫।
বল হাতে দীপক চাহর। ব্যাটে রাহুল তেওয়াটিয়া। প্রথম বলে ৪। দ্বিতীয় বলে রাহুল নিলেন ১ রান। স্ট্রাইকে গেরাল্ড কোয়েৎজে। চাহরের তৃতীয় বলে কোয়েৎজের ছক্কা। চতুর্থ বল নো বল। গুজরাতের ঘরে জমা হল আরও ১ রান। তবু কোয়েৎজে ১ রান নিলেন। এখনও হাতে ৩ বল। পরের বলে তেওয়াটিয়া ১ রান নিলেন। স্কোর সমান সমান। জয়ের জন্য গুজরাতের চাই ১ রান। হাতে ২ বল। পঞ্চম বলে কোয়েৎজে আউট, নমন ধীরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। চাহরের শেষ বলে ১ রান নিয়ে দলকে জিতিয়ে দিলেন আর্শাদ খান। ডিএলএস পদ্ধতিতে গুজরাত জিতে গেল ৩ উইকেটে। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন শুবমন গিল।