হায়দরাবাদ: ২১২-৬ (ওয়ার্নার ৮১, পাণ্ডে ৩৬, অশ্বিন ২-৩০)
পঞ্জাব: ১৬৭-৮ (কেএল রাহুল ৭৯, অগ্রবাল ২৭, রশিদ খান ৩-২১)
ওয়েবডেস্ক: ইতিমধ্যেই অন্তিম লগ্নের লগ্নে পৌঁছে গিয়েছে দ্বাদশ আইপিএল। আর কয়েকটা ম্যাচ, তার পরেই প্লে অফের লড়াই শুরু। ইতিমধ্যেই চেন্নাই এবং দিল্লি প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে। বাকি দু’টি জায়গা। তৃতীয় স্থানে অ্যাডভান্টেজ মুম্বই। তবে চতুর্থ জায়গারর জন্য লড়াই তুঙ্গে। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুই দল হায়দরাবাদ এবং পঞ্জাব।
গত ম্যাচে ঘরের মাঠে রাজস্থানের কাছে হেরে এই লড়াইয়ে বেশ কিছুটা ধাক্কা খায় সানরাইজার্স। তবে সোমবার ঘরের মাঠে জয়ে ফিরে চতুর্থ স্থানে আসার ব্যাপারে নিজেদের কিছুটা মজবুত করলেন কেইন উইলিয়ামসনরা। রবিবারের ম্যাচে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে দু’শোর গণ্ডি পেরিয়ে যায় নাইট রাইডার্স। এ দিনও একই চিত্র। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে দু’শোর ওপর রান করে সানরাইজার্স। টি২০-তে এত রান যে কোনো ম্যাচেই অক্সিজেন জোগানোর জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: ফ্রেঞ্চ কাপ ফাইনালে হেরে সমর্থককে ঘুষি নেইমারের, পরে দুঃখ প্রকাশ, ভিডিও ভাইরাল
প্রথমে ব্যাট করে শুরুটা ভালোই করে হায়দরাবাদ। সৌজন্যে ডেভিড ওয়ার্নার এবং বঙ্গতনয় ঋদ্ধিমান সাহা। চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম ওপেনিংয়ে নামেন ঋদ্ধি। এই মুহূর্তে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানাধিকারী ওয়ার্নার। ম্যাচে করলেন অর্ধশতক। তবে এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ। কারণ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাঁকে। ফলে শেষ ম্যাচে দলের হয়ে ৮১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে গেলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ঝকঝকে ইনিংস ঋদ্ধির। এই দু’জন ফিরে গেলেও, পাণ্ডে এবং নবির ক্যামিও ব্যাটিংয়ে ভর করে দু’শোর গণ্ডি পেরিয়ে যায় হায়দরাবাদ।
যে কোনো টি২০ ম্যাচে দু’শো রান তাড়া করতে গেলে দলের তারকা খেলোয়াড়ের অনেকটা দায়িত্ব বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তেমন দাগ কাটতে ব্যর্থ পঞ্জাবের গেল। চার রানে ফিরে যান তিনি। তবে কেএল রাহুল এবং মায়াঙ্ক অগ্রবাল চেষ্টা চালান। কিন্তু যোগ্য সঙ্গ পেতে ব্যর্থ রাহুল। আইপিএলে তাঁর ফর্ম রীতিমতো আশাপ্রদ। যা বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি ভারতীয় দলের পক্ষে। অর্ধশতক করে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালালেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি রাহুল।
ম্যাচে ৪৫ রানে জয় হায়দরাবাদের। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে হায়দরাবাদ। ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে কলকাতা।