খবর অনলাইন ডেস্ক: গত বার আইপিএল-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। সেই দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে ছেড়ে দিলেও রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, হর্ষিত রানা প্রমুখ ১১ জনকে রেখে দিয়েছিল কেকেআর। এর পর নিলাম থেকে প্রয়োজনীয় ক্রিকেটারদের তুলে নিয়ে নিজেদের ঘর ভালোই গুছিয়ে নিল তারা।
উইকেটরক্ষক-ওপেনার
উইকেটরক্ষক-ওপেনার ফিল সল্টকে ছেড়ে দিয়েছিল কেকেআর। এ বার সেই স্থান পূরণ করবেন সাউথ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক কুইন্টন ডি’কক। তাঁকে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনল কেকেআর। সুনীল নারাইনের সঙ্গে তাঁকেই সম্ভবত ওপেন করতে দেখা যাবে এ বার। পরিবর্ত উইকেটরক্ষক-ওপেনার হিসাবে কেকেআর আবার তুলে নিল আফগানিস্তানের রহমানুল্লা গুরবাজ়কে। কেকেআরের হয়ে গত দু’টি মরসুমে খেলেছেন তিনি। এ ছাড়া আর একজন উইকেটরক্ষক-ওপেনারকে কিনেছে কেকেআর। তিনি লভনীত সিসোদিয়া।
ব্যাটিং-এ ৩ নম্বর থেকে মিডল্ অর্ডার
পুরনো ক্রিকেটারদের কয়েক জনকে ফিরিয়ে নিয়েছে কেকেআর। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেঙ্কটেশ আয়ার। তাঁকে ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ফের কিনল কেকেআর। এ বারের নিলামে যে তিন জন ক্রিকেটার ২০ কোটি টাকার উপর দর পেলেন তাঁদের মধ্যে তৃতীয় জন এই বেঙ্কটেশ আয়ার। বাকি দু’ জন হলেন ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আয়ার। বেঙ্কটেশ আয়ার সম্ভবত তিন নম্বরে ব্যাট করবেন। বলও করেন। অলরাউন্ডার এই ক্রিকেটারকে এত দাম দিয়ে ফিরিয়ে আনার নিশ্চয় কিছু উদ্দেশ্য আছে কেকেআর-এর। তাঁকে সম্ভবত অধিনায়ক করা হতে পারে। দেড় কোটি টাকা দিয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার অজিঙ্ক রাহানেকে কিনেছে কেকেআর। তাঁকেও তিন নম্বরে খেলানো হতে পারে।
(বাঁ দিক থেকে) বেঙ্কটেশ আয়ার, সুনীল নারাইন এবং বরুণ চক্রবর্তী।
মিডল্ অর্ডারে ব্যাট করার জন্য কলকাতা এ বার নিয়ে এল অভিজ্ঞ মণীশ পাণ্ডে, মুম্বইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের রভমন পাওয়েলকে। এ ছাড়া কেকেআর-এর বহু যুদ্ধের নায়ক আন্দ্রে রাসেল তো আছেনই। তাঁকে দলে রেখে দিয়েছিল কেকেআর। রাসেল যেমন মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন, তেমনই প্রয়োজনে বল করতে পারেন। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। আর শেষ বেলায় দ্রুত রান তোলার জন্য কেকেআর তো রিঙ্কু সিংহ এবং রমনদীপ সিংহকে রেখেই দিয়েছিল।
স্পিন-পেস বোলিং
এ বার বোলিং-এ আসা যাক। আছেন সুনীল নারাইন। যেমন ওপেন করতে পারেন, তেমনই নির্ভরযোগ্য স্পিনার। রয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। নারাইনের মতো তাঁকেও ছাড়েনি কেকেআর। এর উপর নিলাম থেকে কেনা হয়েছে ইংল্যান্ডের স্পিনার মইন আলিকে, যাঁকে প্রয়োজনে তিন নম্বরে ব্যাটও করাতে পারে কলকাতা। এ ছাড়াও এ বার আরও দুই স্পিনারকে কিনেছে কেকেআর। তাঁরা হলেন অনুকূল রায় এবং মায়াঙ্ক মরকন্ডে। অনুকূলকে ৪০ লক্ষ টাকা আর মায়াঙ্ককে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছে কেকেআর।
স্পিন থেকে পেস। হর্ষিত রানাকে ৪ কোটি টাকা দিয়ে রেখে দিয়েছিল কেকেআর। এর উপর তারা আরও কয়েক জন পেসারকে কিনেছে নিলাম থেকে। তাঁরা হলেন হিমাচলের বৈভব আরোরা, জম্মু-কাশ্মীরের উমরান মালিক, দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিখ নোখিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার স্পেন্সার জনসন।
এ বারের কেকেআর
বেঙ্কটেশ আয়ার, রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), সুনীল নারাইন, এনরিখ নোখিয়ে, হর্ষিত রানা, রমনদীপ সিংহ, কুইন্টন ডি’কক, অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, স্পেন্সার জনসন, রহমানুল্লা গুরবাজ়, মইন আলি, বৈভব আরোরা, অজিঙ্ক রাহানে, রভমন পাওয়েল, উমরান মালিক, মণীশ পাণ্ডে, অনুকূল রায়, মায়াঙ্ক মরকন্ডে এবং লভনীত সিসোদিয়া।