মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২২৮-৫ (রোহিত শর্মা ৮১, জনি বেয়ারস্টো ৪৭, সাই কিশোর ২-৪২, প্রসিধ কৃষ্ণ ২-৫৩)
গুজরাত টাইটান্স: ২০৮-৬ (সাই সুদর্শন ৮০, ওয়াশিংটন সুন্দর ৪৮, ট্রেন্ট ২-৫৬)
গুজরাত টাইটান্স: জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে দলের ৩ রানেই বিদায় নিলেন অধিনায়ক শুভমন গিল। তবু চেষ্টা করলেন ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলে প্রথম সুযোগ সুদর্শন। ঝড় তুললেন তিনি। কিন্তু লাভ হল না। শেষ পর্যন্ত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে মাত্র ২০ রানে হেরে এবারের আইপিএল থেকে বিদায় নিল। ফাইনলে যাওয়ার জন্য এবার ‘কোয়ালিফায়ার ২’-এ পঞ্জাব কিংস-এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে মুম্বইকে। রবিবার অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং পঞ্জাব কিংস মুখোমুখি হবে।
জীবন পেয়ে ঝড় তুললেন মুম্বইয়ের রোহিত
শুক্রবার নিউ চণ্ডীগড়ের মহারাজা যাদবিন্দ্র সিংহ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ইনিংসের একেবারে গোড়ার দিকে প্রসিধ কৃষ্ণের বলে লোপ্পা ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের অন্যতম ওপেনার রোহিত শর্মা। কিন্তু সেই সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গেরাল্ড কোয়েৎজে। কার্যত তারই খেসারত দিল গুজরাত টাইটান্স। ৫০ বলে ৪টি ছয় ও ৯টি চারের মাধ্যমে ৮১ রান করে রোহিত যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন মুম্বই তখন পৌঁছে গিয়েছে ১৮৬ রানে।
তখনও মুম্বইয়ের হাতে ছিল ৩.২ ওভার এবং ৭ উইকেট। শেষ পর্যন্ত তারা ইনিংস শেষ করল ৫ উইকেটে ২২৮ রানে। আগাগোড়াই ব্যাটিং-এ ঝড় তুলে, গুজরাতের বোলারদের তোয়াক্কা না করে রোহিত শর্মা, জনি বেয়ারস্টোরা দলকে পৌঁছে দিল জয়ের দোরগোড়ায়। ২২ বলে ৪৭ রান করলেন বেয়ারস্টো। পাশাপাশি সহায়তা করলেন সূর্যকুমার যাদব (২০ বলে ৩৩ রান), তিলক বর্মা (১১ বলে ২৫ রান) এবং অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য (৯ বলে ২২ রান নট আউট)।
শুরুতেই আউট শুভমন, বিপাকে গুজরাত
জয়ের জন্য গুজরাতের দরকার ছিল ২২৯ রান। এবারের আইপিএল-এর ম্যাচগুলিতে গুজরাতের জয়ের পিছনে মূল অবদান ছিল সাই সুদর্শন আর শুভমন গিলের ওপেনিং জুটির। কিন্তু এ দিন দলের ৩ রানের মাথায় মাত্র ১ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে শুভমন এলবিডব্লিউ আউট হতেই গুজরাত সমর্থকদের মনে সংশয় জাগল, জিততে কি পারব তাদের দল। সেই সংশয়ই বাস্তব হল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৬ রান করে মুম্বইয়ের চেয়ে ২০ রান পিছনে থেকে ইনিংস শেষ করল গুজরাত।
আপ্রাণ চেষ্টা করলেন সাই সুদর্শন। কুশল মেন্ডিস (১০ বলে ২০ রান), ওয়াশিংটন সুন্দর (২৪ বলে ৪৮ রান) এবং শেরফেন রাদারফোর্ডকে (১৫ বলে ২৪ রান) সঙ্গী করে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে দলের রান পৌঁছে দিলেন ১৭০-এ। রিচার্ড গ্লেসনের বলে বোল্ড হয়ে সুদর্শন যখন ফিরে গেলেন তখনও জয় থেকে ৫৯ রান দূরে গুজরাত, হাতে ৪.২ ওভার। শেষ পর্যন্ত জয় এল না। আর মাত্র ৩৮ রান যোগ করে গুটিয়ে গেল গুজরাত। ‘কোয়ালিফায়ার ২’-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করল মুম্বই। এ দিনের ম্যাচে স্বাভাবিক ভাবেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন রোহিত শর্মা।