মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২০৩-৬ (সূর্যকুমার যাদব ৪৪, তিলক বর্মা ৪৪, জনি বেয়ারস্টো ৩৮, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ২-৪৩)
পঞ্জাব কিংস: ২০৭-৫ (১৯ ওভার) (শ্রেয়স আয়ার ৮৭ নট আউট, নেহাল ওয়াধেরা ৪৮, জোশ ইংলিস ৩৮, অশ্বনী কুমার ২-৫৫)
অহমদাবাদ: এবারের আইপিএলের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম পঞ্জাব কিংস-এর লড়াই। এর পিছনে বিরাট অবদান অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের। গত বছর অধিনায়ক হিসাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ফাইনালে তুলেছিলেন শ্রেয়স। সেই শ্রেয়সকে ছেড়ে দেয় কেকেআর। এবার পঞ্জাব কিংস-এর অধিনায়ক হয়ে দলকে ফাইনালে তুললেন। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে এই অহমদাবাদেই আগামী মঙ্গলবার।
যে বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে কলকাতা থেকে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অহমদাবাদে, রবিবার সেই বৃষ্টির কারণেই আইপিএলের ‘কোয়ালিফায়ার ২’-এর ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের সোয়া দু’ ঘণ্টা পরে। প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স করে ৬ উইকেটে ২০৩ রান। জবাবে ১ ওভার বাকি থাকতেই পঞ্জাব কিংস করে ৫ উইকেটে ২০৭ রান। সৌজন্যে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের ব্যাটিং ঝড়ে অপরাজিত ৮৭। পঞ্জাব জিতে যায় ৫ উইকেটে। স্বাভাবিক ভাবেই প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন শ্রেয়স আয়ার।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠায় পঞ্জাব। ইনিংসের শুরুতে রোহিত শর্মা ৭ বলে ৮ রান করে ফিরে গেলেও মুম্বই খুব একটা বিপাকে পড়েনি। পঞ্জাবের বোলাররা খুব একটা বেকায়দায় ফেলতে পারেননি মুম্বইয়ের ব্যাটারদের। দলের ১৯ রানে রোহিত চলে যেতেই জনি বেয়ারস্টো (২৪ বলে ৩৮ রান) এবং তিলক বর্মা (২৯ বলে ৪৪ রান)। এর পর সূর্যকুমার যাদব (২৬ বলে ৪৪ রান) এবং নমন ধীরের (১৮ বলে ৩৭ রান) ব্যাটিং সৌজন্যে মুম্বই পৌঁছে যায় ৬ উইকেটে ২০৩ রান। লড়াই করার মতো রান, সন্দেহ নেই।
একার হাতে দলকে ফাইনালে তুললেন শ্রেয়স
জয়ের রান তাড়া করতে গিয়ে ৭২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় পঞ্জাব কিংস। দুই ওপেনার প্রভসিমরন সিং এবং প্রিয়াংশ আর্য। কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জোশ ইংলিস (২১ বলে ৩৮ রান)। পঞ্জাব সমর্থকরা তখন কিছুটা হতাশ। জয় তখনও ১৩২ রান দূরে। তবে সান্ত্বনা হাতে ছিল ১২.১ ওভার। এর পরই খেলা দেখালেন দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। এক প্রান্তে অবিচল থেকে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। সঙ্গে পাশে পেলেন নেহাল ওয়াধেরা।
২৯ বলে ৪৮ রান করে নেহাল যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন তখনও জয় ৪৮ রান দূরে, হাতে ৪.২ ওভার অর্থাৎ ২৬টা বল। কার্যত একার হাতেই জয় এনে দিলেন শ্রেয়স। কারণ দলের ১৫৬ রানে নেহাল ফিরে যাওয়ার পর নামলেন শশাঙ্ক সিংহ। তাঁর অবদান ২ রান। দলের ১৬৯ রানে শশাঙ্ক ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে এলেন মার্কাস স্টয়নিস। তাঁরও অবদান ২ রান। ৮টা ছয় আর ৫টা চার মেরে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকলেন শ্রেয়স। দলকে তুলে দিলেন ফাইনালে।