পঞ্জাব কিংস: ২১৯-৫ (নেহাল ওয়াধেরা ৭০, শশাঙ্ক সিংহ ৫৯ নট আউট, তুষার দেশপাণ্ডে ২-৩৭)
রাজস্থান রয়্যালস: ২০৯-৭ (ধ্রুব জুরেল ৫৩, যশস্বী জয়সোয়াল ৫০, হরপ্রীত ৩-২২, মার্কো ইয়ানসেন ২-৪১)
জয়পুর: নিজের ভুল শুধরে রানে ফিরেছিল ছেলেটা, ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী। করল ১৫ বলে ৪০ রান। শুধু সে-ই নয়, অর্ধশতরান করলেন ধ্রুব জুরেল আর যশস্বী জয়সোয়াল। তা সত্ত্বেও জয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১০ রান দূরে থেকে গেল রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব কিংস তোলে ৫ উইকেটে ২১৯ রান। সৌজন্যে নেহাল ওয়াধেরার ৭০ রান, শশাঙ্ক সিংহের ৫৯ নট আউট। রাজস্থান রয়্যালস শেষ করল ৭ উইকেটে ২০৯ রানে। পঞ্জাব জয় পেল ১০ রানে। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন হরপ্রীত ব্রার।
এই জয়ের ফলে পঞ্জাব কিংসের ১২ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ১৭। ও দিকে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে গুজরাত টাইটান্স প্লে অফে জায়গা করে নেওয়ায় পঞ্জাব জায়গা করে নিল প্লে অফে। আর রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ছিল এটা সম্মানরক্ষার লড়াই। কারণ তারা অনেক আগেই প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছে। কিন্তু রবিবারের লড়াইয়েও তাদের তরী তীরে এসে ডুবল। ১৩ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তারা থাকল লিগ টেবিলের নবম স্থানে।
টসে জিতে ব্যাট নিল পঞ্জাব
রবিবার জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্জাব। কিন্তু শুরুটা তাদের একদমই ভালো হয়নি। যে ওপেনিং স্ট্যান্ড পঞ্জাবের বড়ো ভরসা, সেই জুটিই আজ ব্যর্থ হল। ৩৪ রানের মধ্যে ফিরে গেলেন প্রিয়াংশ আর্য, মিচেল ওয়েন এবং প্রভসিমরন সিং। এর পর পঞ্জাবের অতি বড়ো সমর্থকও আশা করতে পারেননি তাদের দল দুশোর গণ্ডি পেরোবে।

অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের উচ্ছ্বাস। ছবি ‘X’ থেকে নেওয়া।
হাল ধরলেন নেহাল ওয়াধেরা ও অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তাঁরা দলের স্কোর নিয়ে গেলেন ১০.৩ ওভারে ১০১-এ। ২৫ বলে ৩০ রান করে রিয়ান পরাগের বলে যশস্বীকে ক্যাচ দিয়ে শ্রেয়স ফিরে যাওয়ার পরে নেহালের সঙ্গী হলেন শশাঙ্ক সিংহ। ব্যাটে ঝড় তুললেন দু’জনে। দলের ১৫৯ রানে বিদায় নিলেন নেহাল (৩৭ বলে ৭০ রান), আকাশ মাধওয়ালের বলে হেটমেয়ারকে ক্যাচ দিয়ে। বাকি কাজ সাঙ্গ করলেন শশাঙ্ক (৩০ বলে ৫৯ নট আউট) এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (৯ বলে ২১ নট আউট)। পঞ্জাব পৌঁছে গেল ৫ উইকেটে ২১৯ রানে।
শুরুটা ভালো করেও ব্যর্থ রাজস্থান
জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে আজ দারুণ শুরু করে রাজস্থানের বিস্ময়বালক বৈভব সূর্যবংশী এবং যশস্বী জয়সোয়াল। এই জুটি ৪.৫ ওভারে তুলে ফেলল ৭৬ রান। তখন মনে হচ্ছিল এই ম্যাচে রাজস্থানই জিতবে। যথারীতি ঝড় তুলল বৈভব। কিন্তু দলের ৭৬ রানে হরপ্রীত ব্রারের বলে জেভিয়ার ব্রাটলেটকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিল বৈভব। ৪টি ছয় এবং ৪টি চারের সাহায্যে তাঁর রান ৪০। মাত্র ১৫ বলে এই সংগ্রহ। তার পর যশস্বী জয়সোয়ালের সঙ্গী হলেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। রান ওঠার গতি কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেল। দলের স্কোর যখন ৮.৪ ওভারে ১০৯, বিদায় নিলেন যশস্বী (২৫ বলে ৫০ রান)। যশস্বীকেও তুলে নিলেন ব্রার।
জয় তখন ১১১ রান দূরে। হাতে ১১.২ ওভার। রান ওঠার যা গতি ছিল তাতে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোনো এমন কিছু কষ্টকর ছিল না রাজস্থানের কাছে। কিন্তু যশস্বী ফিরে যেতেই দলের স্কোরে ৫ রান যোগ হতেই ফিরে গেলেন সঞ্জু। দলের ১৪৪ রানে রিয়ান পরাগকে বোল্ড আউট করে দিলেন হরপ্রীত। এর পর ধ্রুব জুরেল (৩১ বলে ৫৩ রান) কিছুটা চেষ্টা করলেন। কিন্তু তেমন আর কাউকে সে ভাবে সঙ্গী পেলেন না। রাজস্থানে থেমে গেল ২০৯ রানে। ১০ রানে হেরে গেল তারা।