পঞ্জাব কিংস: ১০১ (১৪.১ ওভার) (মার্কাস স্টয়নিস ২৬, সুযশ শর্মা ৩-১৭, জোশ হ্যাজলউড ৩-২১, যশ দয়াল ২-২৬)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১০৬-২ (১০ ওভার) (ফিল সল্ট ৫৬ নট আউট, ময়াঙ্ক আগরওয়াল ১৯, কাইল জেমিসন ১-২৭)
মুল্লানপুর (পঞ্জাব): এবারের আইপিএল-এ প্রথম দল হিসাবে ফাইনালে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তথা আরসিবি। বৃহস্পতিবার ‘কোয়ালিফায়ার ওয়ান’-এর খেলায় তারা পঞ্জাব কিংসকে হারাল ৮ উইকেটে। পঞ্জাবের এখনও সুযোগ আছে ফাইনালে যাওয়ার। শুক্রবার ‘এলিমিনেটর’-এ মুখোমুখি হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাত টাইটান্স। এই ম্যাচের বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে পঞ্জাব ‘কোয়ালিফায়ার টু’-এ। যে দল জিতবে তারাই ফাইনালে আরসিবি-র মোকাবিলা করবে।
সহজেই গুঁড়িয়ে গেল পঞ্জাব
মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে পঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠায় বেঙ্গালুরু। বেঙ্গালুরুর বোলারদের মোকাবিলাই করতে পারলেন না পঞ্জাবের ব্যাটাররা। মাত্র ১৪.১ ওভারে শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। মাত্র ১০১ রান উঠল। নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট পড়ল। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে পঞ্জাবের কোনো উইকেটের জুটিতেই কোনো রকম প্রতিরোধ তৈরি হল না। তিন জন দু’ অঙ্কের রানে গেলেন – প্রভসিমরন সিং, মার্কাস স্টয়নিস এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের। তার মধ্যে সর্বোচ্চ রান স্টয়নিস, ১৭ বলে ২৬ রান। সুযশ শর্মা ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট, জোশ হ্যাজলউড ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট এবং যশ দয়াল ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন।
১০ ওভার বাকি থাকতেই জয় বেঙ্গালুরুর
খুব সহজেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। ১০ ওভার বাকি থাকতেই তারা তুলে নেয় ১০৬ রান। বিনিময়ে হারায় মাত্র ২ উইকেট। এ দিন বিরাট কোহলি (১২ বলে ১২ রান) বিশেষ কিছু করতে পারেননি। কিন্তু তাতে কোনো অসুবিধা হয়নি। ওপেন করতে নেমে আগাগোড়া নট আউট থাকলেন ফিল সল্ট। নিজের অর্ধশত রান পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৩টে ছয় এবং ৪টে চার মেরে ২৭ বলে ৫৬ রান করে নট আউট থাকেন। সল্টকে সাহায্য করেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল (১৩ বলে ১৯ রান) এবং অধিনায়ক রজত পাটীদার (৮ বলে ১৫ নট আউট)। ৮ উইকেটে জিতে যায় আরসিবি। ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন আরসিবির সুযশ শর্মা।