সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২৮৬-৬ (ইশান কিশন ১০৬ নট আউট, ট্র্যাভিস হেড ৬৭, তুষার দেশপাণ্ডে ৩-৪৪, মহীশ থিকশানা ২-৫২)
রাজস্থান রয়্যালস: ২৪২-৬ (ধ্রুব জুরেল ৭০, সঞ্জু স্যামসন ৬৬, হর্ষল পটেল ২-৩৪, সিমরজিৎ সিংহ ২-৪৬)
হায়দরাবাদ: আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-এরই আছে, গত বছরের। রবিবার সেই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ এসেছিল তাদেরই কাছে। কিন্তু মাত্র ১ রানের জন্য নিজেদের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ হাতছাড়া করল হায়দরাবাদ। কিন্তু এ দিন তারা যা করল, তা-ই বা কম কী! নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৬ রান। আর এই স্কোর করার পিছনে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন ইশান কিশন। বঞ্চনার জবাব দিলেন ইশান কিশন।
ভারতীয় দল থেকে আজ বেশ দূরে ইশান কিশন। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার কারণে ভারতীয় দল থেকে রাহুল দ্রাবিড়ের জমানায় বাদ পড়েছিলেন। সেই যে বাদ পড়েছিলেন, আজও ফেরা হয়নি। বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতে আজও তিনি নেই। এই বঞ্চনার জবাব দেওয়ার তাঁর সামনে একমাত্র জায়গা আইপিএল। সেই জবাব ফিনি দিলেন। প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের হয়ে সেঞ্চুরি করে ব্যাট হাতে মাঠে বেশ খানিকটা ঘুরে যে ভাবে হুঙ্কার দিলেন, তাতে বোঝা গেল ক্ষোভ- হতাশা তাঁর মধ্যে জমে রয়েছে।
রবিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান। সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে হায়দরাবাদ। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। প্রতিপক্ষের বলের কোনো তোয়াক্কাই করেননি তাঁরা। আর এতে নেতৃত্ব দেন ইশান কিশন। নট আউট থেকে ৪৭ বলে করেন ১০৬ রান। কিশনের সঙ্গী ছিলেন ট্র্যাভিস হেড (৩১ বলে ৬৪ রান), হাইনরিখ ক্লাসেন (১৪ বলে ৩৪ রান), নীতিশ কুমার রেড্ডি (১৫ বলে ৩০ রান), অভিষেক শর্মা (১১ বলে ২৪ রান)। কোনো ব্যাটারেরই রানের গড় ২০০-র কম নয়।
জয়ের জন্য রাজস্থানের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮৭ রানের। হাল ছেড়ে দেয়নি তারা। গোড়াতে দ্রুত ৩টি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে তারাও রানের ঝড় তুলল। এই ঝড়ের মূলে ধ্রুব জুরেল (৩৫ বলে ৭০ রান), সঞ্জু স্যামসন (৩৭ বলে ৬৬ রান), শিমরন হেটমেয়ার (২৩ বলে ৪২ রান) এবং শুভম দুবে (১১ বলে ৩৪ নট আউট)। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না রাজস্থান। ৬ উইকেটে ২৪২ রান করে ৪৪ রানে হেরে গেল তারা। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন ইশান কিশন।