নিরাপত্তাহীনতা থেকে জলদূষণ, চাপে অলিম্পিক-আয়োজকরা

0

কাউন্টডাউন প্রায় শেষের পথে। আজ বাদে কাল কাঠি পড়বে অলিম্পিকের ঢাকে। কিন্তু রিও-তে সমস্যার শেষ নেই। গেমস ভিলেজে চুরি হওয়া থেকে শুরু করে ট্র্যাফিক জ্যাম, জলদূষণ, নিকাশির করুণ হাল। সব মিলিয়ে ভালোয় ভালোয় অলিম্পিকটা উতরে দেওয়ায়ই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে আয়োজকদের কাছে।

রিও-র বেহাল দশা নিয়ে আয়োজকদের উদ্দেশে কটাক্ষ করেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির (আইওসি) সভাপতি থমাস বাক। তাঁর কথায়, “আমরা এখানে আনন্দ করতে এসেছি, কিন্তু কতটা আনন্দ করতে পারব সেটা এখন আন্দাজ করা কঠিন”।

অলিম্পিক আয়োজক কমিটির সভাপতি কার্লোস নুজম্যান আর চিফ একজিকিউটিভ অফিসার সিডনি লেভির ওপর ক্ষোভ উগরে দেন বাক। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির তরফ থেকে সেখানে উপস্থিত প্রায় শ’খানেক অধিকর্তাকে আশ্বস্ত করতে থাকেন নুজম্যান আর লেভি।

মনাকোর যুবরাজ আলবার্ট জলদূষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই জল দূষণের জন্য সেলিং, রোয়িং, ক্যানোয়িং, ট্রায়াথেলন এবং সাঁতারের ইভেন্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রিও শহরে যে বিপুল বর্জ্য রোজ তৈরি হয় তার অর্ধেক এই জলে ফেলে রিও-র প্রশাসন। যদিও এতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে আশ্বাস দেন আয়োজকদের মুখপত্র মারিও আন্দ্রাদা।

আইওসিতে সুইৎজারল্যান্ডের সদস্য ডেনিস অসওয়াল্ড রিও-র ট্র্যাফিক জ্যাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, “কিছু কিছু খেলার কেন্দ্রে যেতে গিয়ে ট্র্যাফিকের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছে খেলোয়াড় আর আধিকারিকদের”। এই অভিযোগ মেনে নিয়ে দ্রুত পরিস্থিতিতে বদল আনার প্রতিশ্রুতি দেন রিও-র এক আধিকারিক লিও গ্রিনার। তিনি বলেন “খেলোয়াড় আর আধিকারিকদের জন্য বিশেষ অলিম্পিক লেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এতে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যেই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব”।

পুলিশ আর সেনাবাহিনী মিলিয়ে মোট ৮৫০০০ জনের ফোর্স থাকলেও নিরাপত্তাই যে রিও-র প্রধান সমস্যা সে ব্যাপারে মনে করিয়ে দেন আইওসি সদস্য অ্যালেক্স গিলাদি। উল্লেখ্য বুধবারই গেমস ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন, জামাকাপড় আর আইপ্যাড চুরি যাওয়ার অভিযোগ করা হয় ডেনমার্কের তরফ থেকে। গত ১৮ জুলাই থেকে গেমস ভিলেজে রয়েছে ডেনমার্ক। বিভিন্ন অব্যবস্থা নিয়ে আগেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। চুরির অভিযোগটি গেমস ভিলেজে নিরাপত্তাকে বড়োসড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিল। গত শুক্রবার একটি ল্যাপটপ আর টিম জার্সি চুরি যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শেফ দ্য মিশন কিটি চিলার।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ভাবে আয়োজকরা ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এই ব্যাপারে মারিও আন্দ্রাদা বলেন “আমরা সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। চুরি হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা চলছে”। পাশাপাশি রিও-তে আসা সকলের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা, “রাস্তায় টাকা গুনবেন না। আপনার কাছে যদি দামি ক্যামেরা থাকে প্রয়োজনের সময়ে বার করুন, আর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ব্যাগে ঢুকিয়ে দিন। খারাপ লোকেরা আপনার অসাবধানতার সুযোগ নিতে চাইবে। আপনি সজাগ থাকুন আর ওদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিন”।   

dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন