সানি চক্রবর্তী :
মোহনবাগান : ১ চার্চিল ব্রাদার্স : ০
প্রায় গোটা একটা মরশুম চোটের জেরে থাকতে হয়েছিল মাঠের বাইরে। কয়েক দিন আগে অনুশীলনেও ফের চোট পাওয়ায় আশঙ্কাটা বেড়েছিল। যদিও সেই চোট গুরুতর না হওয়ায় প্রথম ম্যাচের আগে পুরো ম্যাচফিট হয়ে উঠেছিলেন। কোচ সঞ্জয় সেনও তাঁর উপরে ভরসা রেখে স্থান দিয়েছিলেন প্রথম একাদশে। আর কোচের ভরসার দাম পুরো মাত্রায় রেখে প্রত্যাবর্তনে গোল করে আই লিগের প্রথম ম্যাচে দলকে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দিলেন বলবন্ত সিং। এগারো মাস পরে মাঠে ফিরেই গোল পেলেন তিনি।
তবে মোহনবাগানের থেকে প্রত্যাশাটা ঠিক যতটা ছিল, মোটেই ততটা ধারালো হল না তাদের আই লিগ শুরুর অভিযান। জিততে যদিও তাতে কোনো রকম অসুবিধা তাতে হয়নি। বিদেশিহীন চার্চিল ব্রার্দাসকে তারা হারাল ১-০ ব্যবধানে। ম্যাচের প্রথমার্ধের মাঝামাঝি একমাত্র গোলটি বলবন্ত সিংয়ের। ডানপ্রান্ত থেকে প্রীতম কোটালের ঠিকানা লেখা ক্রসে জোরালো গোলার মতো হেডে গোল করেন বলবন্ত। তাঁকে ফিট করে তোলার পিছনে সব থেকে বড়ো ভূমিকা নেওয়া গার্সিয়া, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদও দিয়ে গেলেন স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে। সবাইকে ধন্যবাদ দেওয়ার মাঝে জানিয়ে গেলেন, “এই গোল আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।”
বলবন্ত ও ডাফিকে নিয়ে দুই স্ট্রাইকার নামিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মোহনবাগান। দুই উইং বেয়ে বারবার তারা আক্রমণে উঠলেও সে ভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেনি খুব বেশি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে আবার অনূর্ধ্ব-২২ ফুটবলার শুভাশিস বোস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখলে বাকি সময়টা দশ জনে খেলতে হয়েছে মোহনবাগানকে। যদিও সঞ্জয় সেনের হাতে বিকল্প অনেক থাকায়, আক্রমণাত্মক খোলস ছেড়ে প্রবীর, প্রণয়, বিক্রমজিতদের নামিয়ে রক্ষণাত্মক হতে বেশি সময় লাগেনি। তবে রেফারির সিদ্ধান্তে যে বাগানশিবির খুশি নয় সেটা পরিষ্কার। অধিনায়ক কাটসুমি যেমন ইঙ্গিতে বুঝিয়েই দিলেন সেই কথা। বলছিলেন, “রেফারি যেটা মনে করেছেন সেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ ছাড়া কিছু বলতে চাই না।”
চার্চিল ম্যাচের শেষ দিকে বেশ কিছু আক্রমণ শানালেও তা থেকে বড়ো বিপদ কিছু ঘটেনি। একটি ক্ষেত্রে তাদের একটি প্রয়াস ক্রসপিসে লেগে প্রতিহত হয়। পাশাপাশি মোহনবাগানের খেলাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছিল সাদামাটা। এত কিছু নিয়ে না ভেবে সঞ্জয় সেন যদিও বলছেন, “হ্যাঁ, দল ভালো সে ভাবে খেলতে পারেনি মানছি। তবে তিন পয়েন্ট পাওয়াটাই আসল। আর প্রথম ম্যাচ সব সময় কঠিন হয়, সময় গেলে দলের বোঝাপড়া আরও বাড়বে।” পাশাপাশি চার্চিলের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর বক্তব্য, “সারাক্ষণ রক্ষণে লোক বাড়িয়ে দৃষ্টিকটুভাবে তো খেলে গেল ওরা। সব প্রতিপক্ষ তো এতটা রক্ষণাত্মক খেলবে না, সেখানে আমাদের দলের খেলাও আরও খুলবে।”
মোহনবাগান : দেবজিত, প্রীতম, কিংশুক, আনাস, শুভাশিস, শেহনাজ, শৌভিক চক্রবর্তী, কাটসুমি, কেন (প্রবীর), বলবন্ত (প্রণয়), ডাফি (বিক্রমজিত)।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।