খেলাধুলো
বেঙ্গালুরুতে অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত, ইউবি সহ চার স্পনসর পেতে চলেছে বাগান
শৈবাল বিশ্বাস[/caption]
অবশেষে স্বস্তি পেতে চলেছেন মোহন-সমর্থকরা। তাঁদের ক্লাব এবার নয় নয় করেই ভালোই স্পনসর পাওয়ার দিকে এগোচ্ছে। পরিস্থিতি যে জায়গায় রয়েছে, তাতে বলাই যায়, আই লিগে মোহনবাগানের টিম কোনো ভাবেই আইএসএল-এর কোনো দলের থেকে খারাপ হবে না। মোহন-কর্তারা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছেন, এবার তাঁদের দল ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেক ভালো হবে। ইতিমধ্যে মোহনবাগান ১০ কোটি টাকার সংস্থান করে ফেলায়, আইএসএল-এ চলে যাওয়া বহু ফুটবলারই হাত কামড়াচ্ছেন।
ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত ও আরও দু’জন ঘাগু কর্মকর্তা। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকেও। তাঁরা ইউবি গ্রুপের নতুন মালিক পক্ষের সঙ্গে স্পনসরশিপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। জানা গেছে, ক্লাব তাঁদের পুরোনো ‘ম্যাকডাওয়েল মোহনবাগান’ তকমা ফিরে পেতে খুবই আগ্রহী। ইউবি গ্রুপের পক্ষে শর্ত একটাই, তাঁরা কোনো বকেয়া মেটাতে পারবেন না। তাছাড়া পুরো স্পনসর করাও তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁরা মোহনবাগানকে মেরেকেটে তিন কোটি টাকা দিতে পারেন। মোহনবাগান চাইছে সংখ্যাটা বাড়িয়ে চার কোটিতে পৌঁছতে।
মোহন-কর্তারা স্থির নিশ্চত, কিছুতেই এবার একটি স্পনসর নিয়ে দল চালানো সম্ভব হবে না। ক্লাবের পদত্যাগী সভাপতি টুটু বসুও ক্লাব কর্তাদের সেরকম পরামর্শই দিয়েছেন। তাঁর মত, অনেককে জড়ো করতে হবে, তাহলে একজন টাকা দিতে দেরি করলেও আরেকজনের কাছে থেকে টাকা নিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। এভাবে চললে ক্লাবের সার্বিক সম্মান বা ইমেজও বাড়বে। তাতে যদি প্রথমবার টাকার অঙ্ক কম হয়ে যায়, ক্ষতি নেই। কো-স্পনসর হিসেবে বাগানের সঙ্গে ইতিমধ্যেই রিলায়েন্স জিও, রেড চিলিজের সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা হবে একটি সিমেন্ট কোম্পানির সঙ্গেও। এ মাসের শেষের দিকে চিত্রটা একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই খবর।
টাকা আসা নিশ্চিত হওয়াতেই দ্রুত একের পর এক বিদেশি ঘেরে তোলা শুরু করেছে সবুজমেরুন।]]>
Uncategorized
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান
এই ম্যাচের পর এটিকে মোহনবাগান লিগের দ্বিতীয় স্থানেই থাকল। ১১ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা গোয়ার ১২ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ১৯।

এটিকে মোহনবাগান ১ (এদু গার্সিয়া) এফসি গোয়া (ঈশান পণ্ডিতা)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: রবিবার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইএসএল-এ (ISL 2020-21) এটিকে মোহনবাগান বনাম এফসি গোয়ার ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকল। দুটি দলই প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। দু’টি দলেরই ক্ষেত্রে শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
অচলাবস্থা ভাঙে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। পরে গোল শোধ করে ম্যাচে সমতা ফেরায় এফসি গোয়া (FC Goa)।
বাধা যখন ক্রসবার
গোল করার প্রথম সুযোগ পায় এটিকে মোহনবাগান। ডান দিক থেকে দৌড়ে এসে গোয়ার বক্সে ঢুকে পড়া প্রবীর দাসকে লব করে বল পাস করেন কার্ল ম্যাকহাগ। প্রবীর গোল লক্ষ্য করে শট করেন, কিন্তু নবীন কুমার দুর্দান্ত সেভ করেন।
২৭ মিনিটে ডান দিক থেকে কর্নার করেন এটিকে মোহনবাগানের এদু গার্সিয়া। গার্সিয়ার কর্নার কিকে মাথা ছোঁয়ান শুভাশিস বোস। কিন্তু তাঁর হেড গোয়ার ক্রসবারে লেগে নিরাপদে গোলকিপারের হাতে চলে যায়।
তিন মিনিট পরেই সুযোগ পেয়ে যায় গোয়া। এ ক্ষেত্রেও ক্রসবারই গোল হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ ডান দিকে পাস বাড়ান সতীর্থ সেরিটন ফার্নান্ডেজকে। সেরিটন বক্সের ঠিক বাইরে আলবার্তো নোগুয়ারেকে বল পাস করেন। স্প্যানিশ খেলোয়াড় আবার সেরিটনকে বল বাড়িয়ে দেন। কিন্তু সেরিটনের ক্রস ক্রসবার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে বলের দখল গোয়ারই ছিল। কিন্তু তারা গোল করতে পারেনি। ৭৫ মিনিটে অচলাবস্থা ভাঙে এটিকে মোহনবাগান। গোয়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এদু গার্সিয়া।
ম্যাচে সমতা ফিরে আসে ৯ মিনিট পরে। কর্নার কিক থেকে গোয়ার গোল করার চেষ্টা প্রথমে ব্যর্থ করেন প্রীতম কোটাল। কিন্তু বল চলে যায় ঈশান পণ্ডিতার কাছে। ঈশান গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি।
নির্ধারিত সময়ের মিনিট খানেক আগে জয়সূচক গোল করার সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু একটা ফ্রি-কিক থেকে মনবীর সিংযের হেড গোয়ার ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। অতিরিক্ত সময়ে গোয়াও গোল করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
এই ম্যাচের পর এটিকে মোহনবাগান লিগের দ্বিতীয় স্থানেই থাকল। ১১ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা গোয়ার ১২ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ১৯।
আরও পড়ুন: সুন্দর-শার্দূলের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরল ভারত
ক্রিকেট
সুন্দর-শার্দূলের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরল ভারত
ম্য়াচের গতি এবং উত্তেজনা দু’টোই বাড়িয়ে দিলেন সুন্দর-শার্দূল জুটি।

অস্ট্রেলিয়া ৩৬৯ (লাবুশানে ১০৮, পেন ৫০ নটরাজন ৩-৭৮, সুন্দর ৩-৮৯, শার্দূল ৩-৯৪) এবং ২১/০ (ওয়ার্নার ২০)
ভারত ৩৩৬ (শার্দূল ৬৭, সুন্দর ৬২, হেজলউড ৫-৫৭, স্টার্ক ২-৮৮)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ব্রিসবেনের গাব্বায় চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার থেকে মাত্র ৩৩ রানে পিছিয়ে রইল ভারত। মূলত ওয়াশিংটন সুন্দর এবং শার্দূল ঠাকুরের ব্যাটে ভর করেই প্রথম ইনিংসে রানের ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে রাখল রাহানে বাহিনী।
দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির জন্য খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার সময় ভারতের খাতায় ছিল ৬২/২। তৃতীয় দিনের শুরুটা অবশ্য বেশ নড়বড়ে ঠেকল। হেজলউড এবং স্টার্কের হাতে উইকেট তুলে দিয়ে ফেরত যেতে খুব একটা দেরি করলেন না চেতেশ্বর পুজারা (২৫) এবং অজিঙ্কে রাহানে (৩৭)। তাঁদের বিদায়ের পর মায়াঙ্ক অগ্রবাল (৩৮) এবং ঋষভ পন্ত (২৩) কিছুটা আলো দেখালেও পূর্বসূরিদের মতোই ফেরত গেলেন। মায়াঙ্ক এবং পন্ত, দু’জনকেই ফেরত যাওয়ার পথ দেখালেন হেজলউড।
তখনও দু’শো রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি ভারতীয় বাহিনী। স্বাভাবিক ভাবেই সংশয় দেখা দিল। কিন্তু এর পরই পটপরিবর্তন। জমে গেলেন সুন্দর এবং শার্দূল জুটি। দু’জনেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন।

সুন্দর নিজের টেস্ট অভিষেকে ১৪৪ বল খেলে করলেন ৬২, স্টার্কের বলে গ্রিনের তালুবন্দি হলেন। অন্যদিকে ১১৫ বলে শার্দূল করলেন ৬৭, কামিন্সের বলে বোল্ড হলেন শার্দূল। তাঁদের দৌলতেই ভারত তিনশো টপকালো। মোটামুটি লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া।
ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে হেজলউড বুঝিয়ে দিলেন তিনি এখন ফর্মের শীর্ষে রয়েছেন। তবে ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে গিয়ে ম্য়াচের গতি এবং উত্তেজনা দু’টোই বাড়িয়ে দিলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিনের শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ভারতের থেকে ৫৪ রানে এগিয়ে শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার হ্যারিস (১) এবং ওয়ার্নার (২০) প্রথম ইনিংসের ৩৩ রানের সঙ্গে যোগ করলেন আরও ২১। চতুর্থ দিনের শুরুতেই ব্যাট নিয়ে মাঠে নামতে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার জুটিকে। ততক্ষণ চলুক অপেক্ষা!
আরও পড়তে পারেন: বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত, ভারতের সামনে ৩০৭
ক্রিকেট
বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত, ভারতের সামনে ৩০৭
প্রথম ইনিংসে তিনটি করে উইকেট তুলে নিলেন নটরাজন-সুন্দর-শার্দূল।

অস্ট্রেলিয়া ৩৬৯ (লাবুশানে ১০৮, পেন ৫০ নটরাজন ৩-৭৮, সুন্দর ৩-৮৯, শার্দূল ৩-৯৪)
ভারত ৬২/২ (রোহিত ৪৪, লায়ন ১-১০, কামিন্স ১-২২)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিন টিম পেন বাহিনী শেষে করেছিল ২৭৪-এ। শনিবার এর সঙ্গে ৯৫ রান যোগ করেই তাদের অলআউট হতে হল নটরাজন-সুন্দর-শার্দূল জোটের আক্রমণে।
নটরাজন এবং সুন্দরের এটাই প্রথম টেস্ট ম্যাচ। অভিষেকেই দু’জনে তুলে নিলেন তিনটে করে ইউকেট। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত দিলেন শার্দূল। তাঁর নামের পাশেও তিনটি উইকেট। অশ্বিন ও বুমরাহের অনুপস্থিতিতে ভারতে অনভিজ্ঞ বোলিং নিয়ে চিন্তা ছিল-ই। তবে টিম পেনদের জ্বলে ওঠার সুযোগ কেড়ে নিতে তাঁরা সফল হলেন এ দিন। কিন্তু অজিরা সাড়ে তিনশোর গণ্ডি পার করায় চাপ তো থাকছেই। ফলে এই চাপ কতটা কাটিয়ে উঠতে পারলেন নবাগতরা, সেটা ম্যাচের শেষেই স্পষ্ট হবে।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ৩৬৯ রান তাড়া করতে নেমে ভারত যে খুব একটা ভালো শুরু করল, সেটাও বলা গেল না। দলগত ১১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭ রানে ফিরতে হল শুভমনকে। আবার চা পান বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৭৪ বল খেলে রোহিত শর্মা ৪৪ রানে আউট হন। সব মিলিয়ে বিরতিতে ভারতের ঝুলিতে ২ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান।
তবে চা পান বিরতির পর ব্রিসবেনে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি থামলেও মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারতের তরফে ২৬ ওভার ব্যাটিংয়ের পর এ দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
নবাগত বোলারদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মজবুত ব্যাটিংকে মোটের উপর ভালোই ধাক্কা দিল ভারত। দুই ওপেনার ফেরত যাওয়ার পর বাকিটা এখন নির্ভর করছে পুজারা, রাহানে, মায়াঙ্ক অথবা ঋষভদের উপর। ভারতের সামনে এখন ৩০৭ রান। দিনের শেষে অপরাজিত পুজারা (৮) এবং রাহানে (২)।
একই সঙ্গে তৃতীয় দিনের আবহাওয়ার গতিবিধিও অন্যতম ফ্যাক্টর। জানানো হয়েছে, এ দিন বৃষ্টির জন্য খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার তৃতীয় দিনে আধঘণ্টা আগে খেলা শুরু হবে। ততক্ষণ চলুক অপেক্ষা!
আরও পড়তে পারেন: অভিষেকে লড়াকু নটরাজন, সুন্দর, অস্ট্রেলিয়া ২৭৪
-
রাজ্য1 day ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি2 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে