খবর অনলাইন: রিও অলিম্পিক্সে রাশিয়ার পতাকা উড়বে। ডোপ কেলেঙ্কারির দায়ে রাশিয়াকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছিল, তা মান্যতা পেল না ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির বৈঠকে। তবে সব খেলায় রাশিয়া যোগ দিতে পারবে না। কোন কোন খেলায় রাশিয়ার কোন কোন অ্যালথিট নামবেন তা সেই সেই খেলার ফেডারেশন ঠিক করবে।
আইওসি-র একজিকিউটিভ বোর্ডের সদস্যরা রাশিয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার বৈঠকে বসে। তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠকের পর আইওসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়াকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে রাশিয়ার প্রতিযোগীদের সংখ্যা অনেক কম হবে। রাশিয়ার কোন প্রতিযোগী কোন খেলায় যোগ দিতে পারবে তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্ব স্ব খেলার ফেডারেশনগুলিকে। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রতিযোগীদের ক্ষেত্রে অলিম্পিক্সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার শর্ত হিসাবে কিছু যোগ্যতাসূচক মাপকাঠিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আইওসি-র প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রতিযোগীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু যোগ্যতাসূচক মাপকাঠি তৈরি করা হয়েছে। সে দেশের কোনও প্রতিযোগী যদি অলিম্পিক্সে যোগ দিতে চান তা হলে তাঁকে সেই মাপকাঠি পূরণ করতে হবে।
এর অর্থ, রাশিয়ার ঠিক কত জন প্রতিযোগী এ বারের অলিম্পিক্সে যোগ দিচ্ছেন এবং এঁদের মধ্যে কত জনের পদক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তার হিসেব ৫ আগস্টের আগে জানা যাবে না।
উল্লেখ্য, কানাডার আইন বিষয়ক অধ্যাপক রিচার্ড ম্যাকলারেনের এক রিপোর্টের ভিত্তিতে রিও অলিম্পিক্সে রাশিয়ার যোগদান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাশিয়ায় রাষ্ট্রের মদতে ডোপিং কর্মসূচি চলেছিল। ম্যাকলারেনের রিপোর্টের ভিত্তিতেই রিও অলিম্পিক্সে রাশিয়ার ট্র্যাক ও ফিল্ড অ্যাথলিটদের যোগদান আগেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইওসি-র প্রেসিডেন্ট বলেন, “কে কী আশা করছে তা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিশ্ব জুড়ে পরিচ্ছন্ন অ্যাথলিটদের প্রতি ন্যায়বিচার করার কথা ভাবা হয়েছে। এ ভাবেই রাশিয়ান অ্যাথলিটদের জন্য উঁচু মাপকাঠি বেঁধে দিয়ে আমরা পরিচ্ছন্ন অ্যাথলিটদের স্বার্থ রক্ষা করেছি। দু’ পক্ষের সবাইকে হয়তো খুশি করা সম্ভব হল না।”
আইওসি-র এই সিদ্ধান্ত জানার পর জোরালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে দু’ পক্ষ থেকেই। রাশিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী ভিতালি মুক্তো বলেছেন, আইওসি-র সিদ্ধান্ত ‘বস্তুনিষ্ঠ’, তবে ‘বড়ো কঠিন’। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ইউসাডা) বলেছে, “আইওসি নির্ণায়ক নেতৃত্ব দিতে পারল না।”
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।