সাইনা নেহওয়াল
ব্যাডমিন্টন
২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সাইনা নেহওয়াল। তিনিই প্রথম ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় যিনি অলিম্পিকে পদক জেতেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের ৫ নম্বর সাইনাকে ঘিরে পদকের স্বপ্ন দেখছে ভারত। গত বছর বিশ্বের এক নম্বরে পৌঁছে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদ তনয়া। এ বছরের শুরুতে চোটে ভুগলেও পরে সেরে উঠে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন সুপার সিরিজ খেতাবটি ধরে রাখতে সক্ষম হন সাইনা। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জও জেতেন। এবার দেখা যাক রিও তার জন্য কী নিয়ে অপেক্ষা করছে।
পি ভি সিন্ধু
ব্যাডমিন্টন
পিভি সিন্ধুই একমাত্র ভারতীয় মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় যিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মেডেল জেতেন। ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। যদিও চোটের জেরে মাঝখানে ধাক্কা খায় তার কেরিয়ার। এই মুহূর্তে বিশ্বের ১০ নম্বর সিন্ধু এ বছর মাত্র একটি টুর্নামেন্টেই জিতেছেন। মালয়েশিয়া মাস্টার্স। তবু তিনি নিঃসন্দেহে রিও-য় ভারতের অন্যতম ডার্কহর্স।
শ্রীকান্ত কিদাম্বি
ব্যাডমিন্টন
গত ২ বছর মারাত্মক ফর্মে রয়েছেন শ্রীকান্ত। তিনিই প্রথম ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় যিনি সুইস ওপেন গ্র্যান্ড প্রিক্স জিতেছেন, তারপরই জিতে নিয়েছেন ইন্ডিয়ান ওপেন সুপার সিরিজ। চায়না ওপেন বরাবরই তার হ্যাপি হান্টিং গ্রাউন্ড, ২০১৪ সালে ব্যাডমিন্টন লেজেন্ড লিন ডান-কে হারান। এছাড়া শ্রীকান্তের ঝুলিতে রয়েছে থাইল্যান্ড ওপেন গ্র্যান্ড প্রিক্স। তাকে ঘিরে রিও-তে পদকের আশা দেখতেই পারেন ভারতবাসী।
দীপিকা কুমারী
তিরন্দাজি
রিও-য় ভারতের পদক জয়ের অন্যতম বড় আশা দীপিকা কুমারী। মহিলাদের রিকার্ভ ইভেন্টে আগে বিশ্বের ১ নম্বর ছিলেন দীপিকা। ২০১২-র বিশ্বকাপে সোনাও জেতেন। ২০১৩ সালের তিরন্দাজি বিশ্বকাপেও তিনি একটি সোনা জেতেন। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে তিনটি রুপো রয়েছে তার দখলে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে মহিলাদের রিকার্ভ ইভেন্টে বিশ্বরেকর্ডের সমান স্কোর করে রিও-র ছাড়পত্র পান দীপিকা।
বোম্বাইলা দেবী
তিরন্দাজি
বোম্বাইলার ডাক নাম বম। রিও-য় ব্যক্তিগত ইভেন্টে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বদেশের দীপিকা কুমারী। এ বছর সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে দলগত ইভেন্টে রুপো জেতেন বোম্বাইলা দেবী। এই নিয়ে তৃতীয় বার অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন বোম্বাইলা। নজর থাকবে তার দিকে।
লক্ষ্মীরানি মাঝি
তিরন্দাজি
লক্ষ্মীরানির এই প্রথম অলিম্পিক। গত বছর কোপেনহেগেনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যক্তিগত রিকার্ভ ইভেন্ট ও টিম ইভেন্টে রুপো জেতেন তিনি। তাতেই মেলে রিও-র ছাড়পত্র। তার দলে রয়েছেন দীপিকা কুমারী ও বোম্বাইলা দেবী। অনভিজ্ঞ হলেও তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও ধারাবাহিকতা আশা জাগানোর মতই।
ইরফান কোলোথুম ঠোডি
২০ কিমি রেসওয়াক
লন্ডন অলিম্পিক্সে ২০ কিমি রেসওয়াকে দশম স্থান পেয়েছেন ইরফান ওরফে কেটি। সেই থেকে তার নজরে আশা। ২০১৩ সালের আইএএএফ বিশ্ব ওয়াকিং চ্যালেঞ্জে তিনটি ফাউলের অভিযোগে ডিসকোয়ালিফাই করা হয় তাকে। ব্রোঞ্জ হাতছাড়া হয় তার। ইরফান ২০ কিমি ওয়াকিং-এ এই মুহূর্তে দাতীয় রেকর্ড ধারী। রিও-য় তার পদক সম্ভাবনা দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল।
টিনটু লুকা
মহিলাদের ৮০০ মিটার দৌড়
টিন্টু লুকা, পিটি উষার ছাত্রী। ২০১৫ সালে বেজিং-এ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ২.০০.৯৫ মিনিট সময় করে রিও যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্য়াম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটারে সোনা এবং ৪x৪০০ মিটার রিলেতে রুপো জেতেন টিন্টু।২০১৪ সালের এশিয়াডে ৮০০ মিটারে রুপো এবং ৪x৪০০ মিটারে সোনা জয়, তাকে নজরে রাখবে রিওতে।
বিকাশ গৌড়া
ডিসকাস
দুটি এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স সো রয়েছে বিকাশের দখলে। ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জেতেন তিনি। গত লন্ডন অলিম্পিক্সে অষ্টম স্থান পেয়েছিলেন বিকাশ। কাঁধে চোটের জন্য তার গেমসে যোগ দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও আপাতত মেঘ কেটে গিয়েছে। তাকে ঘিরে মেডেলের স্বপ্ন দেখছে ভারত।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।