যাওয়া-আসার দু’পথেই মৃত্যুভয়। তবুও পাহাড়প্রেমী মানুষ বারবার পৌঁছে গিয়েছেন হিমালয়ের বুকে। আসলে হিমালয়ে অভিযান চালানো মানে পাহাড়রাজকে পদানত করা নয়। আসল কাজ নগাধিরাজকে চেনা। তাই এই চেনার পথে পা বাড়িয়ে শিখর মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাব ৩৫ বছর ধরে ৪১টি অভিযান করেছে।
সম্প্রতি শিখরের অভিযানটি ছিল হিমাচল হিমালয়ের স্পিতি অঞ্চলের চেম্মা শৃঙ্গ (৬১০৫ মিটার)। ৩০ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় চেম্মা শিখরে জাতীয় পতাকা ও ক্লাবের পতাকা ওড়ান সুপ্রতিম মজুমদার। চারজনের দলে ছিলেন কাজল দে, সুপ্রতিম মজুমদার, শেরপা নীলাকরণ নেগী ও পীতাম্বর চৌহান। ৪৮০০ মিটার উচ্চতায় বেস ক্যাম্পে থেকে যান কাজল দে ও ঘোড়াওয়ালা। দুই শেরপাকে সঙ্গী করে সুপ্রতিম এগিয়ে যান চূড়ান্ত গন্তব্যের দিকে। বাতাল থেকে বেরিয়ে কিছুটা যাওয়ার পরে সামনে আসে তীব্র বেগবান কড়চা নালা। ভয়ংকর বোল্ডারের মধ্য দিয়ে প্রায় বুকসমান জল ভেঙে এগিয়ে যাওয়া। পরে আরও কয়েকটি নালা পার হতে হয়। হাঁটা পথ সবটাই ছিল গ্লেসিয়ার ফিল্ডের। তার ওপর দিয়ে হেঁটে সামিট ক্যাম্পে (৫৬০০ মিটার) পৌঁছোনো। পরের দিন সাড়ে পাঁচটা থেকে আরও উত্তেজনা ও উদ্দীপনা। প্রায় ১৮০ মিটার হার্ড আইস ওয়াল ও দুটি হাম্প পার হয়ে শৃঙ্গে পৌঁছোন সুপ্রতিম ও দুই শেরপা।
শিখরের কাহিনি শিখর থেকে শিখরে ওঠার কাহিনি। অতীতের পাতায় আছে গাড়োয়াল হিমালয়ের শ্রীকৈলাস, স্বর্গারোহিণী ৪, কামেট, আবি গামিন, পূর্ব হিমালয়ের রাতোং, লাডাকের গুলাপ কাংরি, শিব শৃঙ্গ, কাংলা টারবো, চন্দ্রভাগা ১২ সহ আরও অনেক। ২০১৫-তে ছিল বেহালি জোত।
ছবি : নীলাকরণ নেগী
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।
Is that summit picture, talking about first one?
Is that summit picture, talking about first one?