একেই বলে, এত কাছে তবুও কত দূরে! কোটি কোটি দেশবাসীর আশীর্বাদ সত্ত্বেও সোনার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল পুরসালা বেঙ্কট সিন্ধুর, ম্যাচের প্রথম গেম জিতেও। আসলে ভারতবাসীর প্রত্যাশা, সঙ্গে বিশ্বের এক নম্বরের মুখোমুখি হওয়া, এই দুইয়ের চাপে নিজের স্নায়ু ধরে রাখতে পারলেন না হায়দরাবাদের তরুণী। তবুও তিনি যা করেছেন তা এতটুকু খাটো করে দেখার নয়। অলিম্পিকে কোনও ভারতীয় ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার যা করতে পারেননি, সিন্ধুই করে দেখিয়েছেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই এ দিন দাপট দেখানো শুরু করেন বিশ্বের এক নম্বর, স্পেনের কারোলিনা মারিন। প্রথম গেমের ‘মিড-গেম’ ব্রেকের সময়ে মারিন এগিয়ে ছিলেন ১১-৬ ব্যবধানে। তবে বিরতির পর গেমে দুর্দান্ত কামব্যাক ঘটান সিন্ধু। ১৬-১৯ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও পর পর পাঁচটি পয়েন্ট পেয়ে ২১-১৯-এ প্রথম গেম দখল করেন সিন্ধু। দ্বিতীয় গেমের শুরুতে আবার দাপট দেখাতে শুরু করেন মারিন। এ বার আরও ভয়ঙ্কর। পর পর পয়েন্ট পেয়ে সিন্ধুর ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছিলেন মারিন। প্রথম গেমে যে ভাবে কামব্যাক করেছিলেন সিন্ধু, দ্বিতীয় গেমে তার ছিটেফোঁটাও পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় গেমটি মারিন জেতেন ২১-১২ ব্যবধানে।
প্রথম দু’টি গেম সমান সমান, তৃতীয় গেম যাঁর সোনার পদক তাঁর, এই অবস্থায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন দু’জনেই। তবে যথারীতি, আগের দু’টি গেমের মতোই শুরু করেন মারিন। ক্রমশ এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তবে সিন্ধুও চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কামব্যাক ঘটানোর। তৃতীয় গেমটির বিরতির সময়ে স্কোর ছিল মারিনের পক্ষে ১১-১০। বিরতির পর মারিন আর সিন্ধুকে ম্যাচে ফিরতেই দেননি। তৃতীয় গেমে মারিনের জয়ের ব্যবধান ২১-১৫।
তবে সোনা হারলেও, জমাটি ম্যাচ উপহার দিয়ে দেশবাসীর মন জয় করলেন সিন্ধু। আবার চার বছরের অপেক্ষা।
Saw d finals on tv with my mom and told her I hv a picture with Sindhu . Proud . pic.twitter.com/Ka9JHvnsjT
— Salman Khan (@BeingSalmanKhan) August 19, 2016
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।