অ্যাথলিট ও পি জাইসার অভিযোগের তদন্ত করতে দু’ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করলেন ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েল। এই তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অলিম্পিকে ম্যারাথনে দৌড়নোর সময় জল দেওয়ার জন্য কোনও ভারতীয় কর্মী উপস্থিত ছিলেন না — রিও থেকে ফিরে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন বেঙ্গালুরুর অ্যাথলিট ও পি জাইসা। সোমবার রাতেই তাঁর অভিযোগকে অস্বীকার করে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের (এএফআই) আধিকারিক জানিয়ে দেন, রেস চলার সময় তাঁকে জল দেওয়া হয়েছিল কিন্তু জাইসা এবং তাঁর কোচ তা নিতে অস্বীকার করেন। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাইসা আবার জানিয়ে দেন, তিনি মিথ্যা কথা বলছেন না। পুরো বিষয়টির ‘তদন্ত’ দাবি করেন তিনি।
জাইসার অভিযোগ ছিল, অলিম্পিক্সে প্রচণ্ড রোদে ম্যারাথনে দৌড়নোর সময় প্রচুর জল তেষ্টা পায়। সেই সময় প্রত্যেক দেশের প্রতিযোগীরা প্রতি আড়াই কিলোমিটার অন্তর উপস্থিত নিজের দেশের কর্মীদের কাছ থেকে সব রকম সহযোগিতা পেলেও, ভারতের কেউই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। শুধু তা-ই নয়, ৪২ কিলোমিটারের দৌড় শেষ করার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পালসও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। জাইসার অভিযোগ, তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে রিওতে উপস্থিত ভারতের অফিসিয়ালরা কিছুই জানতেন না। তাঁকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ৩ ঘণ্টা পরে তাঁরা সেখানে খবর নিতে যান। জাইসা জানান, জাতীয় পতাকা প্রতিযোগীদের উৎসাহ জোগায়। কিন্তু ওই গোটা রাস্তায় একটাও ভারতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়নি।
দেশের ফেরার পর চিকিৎসকেরা জাইসার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি বাড়ি যেতে চান।
৩৩ বছরের এই প্রতিযোগীর আরও অভিযোগ, তিনি মোটেই ম্যারাথনে আগ্রহী ছিলেন না। ম্যারাথনে মানুষ যায় টাকার জন্য। কিন্তু তিনি ১৫০০ মিটারের মতো কম দূরত্বে স্বচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু তাঁর কোচ তাঁকে বাধ্য করেন রিও ম্যারাথনে নাম দিতে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ভারতীয় প্রতিযোগীরা খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে রিওতে গেছে। দু-এক জন ব্যতিক্রম ছাড়া, কেউই কোনও রকম সঠিক পরিকাঠামো ও পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধে পাননি।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।