সবটাই ছিল সময়ের অপেক্ষা। সন্দেহ ছিল না তেমন কারও মনে। তবু এর আগের দু’টো দৌড় ছিল তাঁর নিজের আর এটা রিলে অর্থাৎ টিম ইভেন্ট। তাই সামান্য অনিশ্চয়তা। দৌড়ের আগে বোল্ট দলের বাকিদের বলে দিয়েছিলেন, “যদি না হয়, তা হলে আমি তোমাদের সবাইকে পেটাব”।
না। পেটাতে হল না। দিব্যি অনায়াসেই অলিম্পিকে অমর হয়ে গেলেন জামাইকার উসেইন বোল্ট। পর পর তিনটি অলিম্পিকে তিনটে করে সোনা জিতলেন তিনি। ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ৪ x ১০০ মিটার রিলে। শুক্রবারের রিলে রেসে ৩৭.২৭ সেকেন্ড সময় করে সোনা জিতল জামাইকা, সঙ্গে বোল্টও। শেষ ল্যাপে বোল্ট যখন বেটন হাতে নিচ্ছে, তখন সামান্যই এগিয়ে ছিল জামাইকা। দ্বিতীয়-র সঙ্গে সেই তফাতটা অনেকটাই বাড়িয়ে নিলেন বোল্ট, যেমনটা তিনি বরাবর করে থাকেন। বোল্টের চেয়ে বেশি সোনাজয়ী অলিম্পিকে এক জনই, সাঁতারু মাইকেল ফেল্পস।
“মানসিক ভাবে মুক্ত লাগছে, এটা হয়ে গিয়েছে। আমি খুশি, নিজেকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে। এটা সত্যি হল। প্রচণ্ড চাপ ছিল। আমি কাজটা ঠিকঠাক শেষ করতে পেরেছি”। খেলাধুলোর ইতিহাসে চিরস্থায়ী আসনটা দখল করার পর আর কী-ই বা বলতে পারতেন ৩০ বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো এই স্প্রিন্টার ?
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।