এ বার বারোয়ারি পুজোমণ্ডপের মতো বনেদিবাড়ির পুজোতেও স্বাস্থ্য সচেতনতায় কোনো ফাঁক রাখা হয়নি।
কোথাও সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আবার কোথাও দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারছেন তবে রয়েছে নানা বিধিনিষেধ।
যশোরে ছোটোকালিয়া গ্রামের জমিদার চন্দ্রকান্ত সেনগুপ্ত যে বাড়িতে থাকতেন, তার নাম বদ্যিবাটী। সেই বদ্যিবাটীতেই আরাধনা হত দেবী মহিষাসুরমর্দিনীর।
এই পরিবারের ব্যবসা ছিল বন্দুকের, তাই উত্তর কলকাতার এই ঐতিহ্যমণ্ডিত বনেদিবাড়িকে অনেকেই ‘বন্দুকওয়ালা বাড়ি’ বলেই চেনেন।
দাঁ বাড়িতে দেবী অসুরদলনী দশভুজা নন, এখানে তিনি দ্বিভূজা, প্রসন্নবদনা এবং সিংহাসীনা।
পুজোর সব ক’টি দিনে অন্নভোগ দেওয়া হলেও সন্ধিপূজার সময় লুচিভোগ দেওয়া হয় দেবীকে এবং এই সময়ে একটি বিশেষ পূজা হয়।
এই পরিবারে প্রতিমার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল দেবীর ডান দিকে থাকেন লক্ষ্মী ও কার্তিক এবং বাঁ দিকে থাকেন সরস্বতী ও গণেশ।
জমিদারের অনুরোধ ফেলতে না পেরে শম্ভুনাথ মুখোপাধ্যায় পূজা শুরু করেন।
দেবীর দুই হাত, এক হাতে তিনি বরদাত্রী এবং অন্য হাতে তিনি অভয়দায়িনী।
রাজীবলোচন রায় পরবর্তীকালে ‘রাজা’ উপাধি পেয়েছিলেন এবং তাঁর হাত ধরেই দুর্গাপুজোর সূচনা হয় জাড়া রাজবাড়িতে।