মৌ বসু
প্রযুক্তি, বিজ্ঞান যেমন একদিকে আমাদের কিছুটা হলেও যন্ত্রনির্ভর করে তুলছে তেমনি প্রযুক্তির হাত ধরেই জীবনযাপনও সহজতর হয়ে উঠছে। যেমন, কবজিতে বাঁধা অ্যাপলের স্মার্টওয়াচই জীবনরক্ষা করল দিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকোগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এক মহিলা বিমানযাত্রীর।
গত ২ জুলাই বছর ৫৬-র ওই মহিলা বিমানযাত্রী দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চেপে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে যাচ্ছিলেন। বিমানে তাঁর সহযাত্রী ছিলেন কেরলের রাজাগিরি হাসপাতালের মেডিক্যাল অধিকর্তা ডাক্তার গিগি ভি কুরুত্তুকুলাম। তিনিই একমাত্র চিকিৎসক ছিলেন ওই বিমানে। আচমকাই মাঝ-আকাশে ঘটে বিপত্তি। ওই মহিলা বিমানযাত্রী আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানে মহিলা যাত্রীর রক্ষাকর্তা হিসাবে এগিয়ে আসেন কেরলের ডাক্তার। তিনি নিজের সচিত্র পরিচয়পত্র বিমানকর্মীদের দেখান। নিয়ম অনুযায়ী, চলন্ত বিমানে কোনো যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে কেউ চিকিৎসক আছেন কি না তার খোঁজ করা হয়। কিন্তু সচিত্র পরিচয়পত্র না দেখালে রোগীর চিকিৎসা করার অনুমতি মেলে না।
দিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকোগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেও এমনই ঘটনা ঘটে। কেরলের ডাক্তার গিগি ভি কুরুত্তুকুলামের কাছে কোনো মেডিক্যাল কিট ছিল না। তাই তিনি অসুস্থ মহিলাকে শুয়ে পড়তে বলেন। মহিলার কবজিতে বাঁধা ছিল অ্যাপল স্মার্টওয়াচ। এর সাহায্যেই কেরলের চিকিৎসক ওই অসুস্থ মহিলা যাত্রীর হার্টবিট ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন মেপে দেখেন। এমনকি স্মার্টওয়াচের সাহায্যে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষাও করেন ওই চিকিৎসক। পরীক্ষায় দেখা যায়, মহিলার অক্সিজেন মাত্রা খুব কম। তবে রক্তচাপ বেশি। বিমানে থাকা মেডিক্যাল কিটে ইনজেকশনের সাহায্যে প্রাথমিক ভাবে মহিলা যাত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা সম্ভব হয়।
বিমানচালক বিমান ঘুরিয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কেরলের চিকিৎসকই তাঁকে আশ্বস্ত করে জানান যে আপাতত মহিলা যাত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাই সান ফ্রান্সিসকোতে বিমান নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সান ফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে বিমান নামতেই আগে থেকে প্রস্তুত থাকা মেডিক্যাল টিম অসুস্থ মহিলা যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন
নিরাপত্তায় জোর, গুগুল ম্যাপ সহ ইথার এনার্জি কলকাতায় লঞ্চ করল ইলেকট্রিক স্কুটার RIZTA