ভারতের অন্যতম টেলিকম সংস্থা ভারতী এয়ারটেল দেশের প্রথম নেটওয়ার্কভিত্তিক, AI-চালিত স্প্যাম সনাক্তকরণ সমাধান চালু করেছে। স্প্যাম কল ও মেসেজের ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবিলা করার লক্ষ্যে এটি একটি অত্যাধুনিক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নতুন টুলটি গ্রাহকদের রিয়েল টাইমে সন্দেহজনক স্প্যাম কল ও এসএমএস সম্পর্কে সতর্ক করবে।
এই পরিষেবাটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং এটি সমস্ত এয়ারটেল গ্রাহকের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে। সার্ভিস রিকোয়েস্ট বা অ্যাপ ডাউনলোডের মাধ্যমে এই ফিচারের সুবিধা পাওয়া যাবে।
ভারতী এয়ারটেলের এমডি এবং সিই ও গোপাল ভিত্তলের মতে, “গ্রাহকদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্প্যাম। আজকের দিনটি একটি মাইলফলক, কারণ আমরা দেশের প্রথম AI-চালিত স্প্যাম-মুক্ত নেটওয়ার্ক চালু করছি, যা আমাদের গ্রাহকদের অযাচিত এবং বাধাদানকারী যোগাযোগ থেকে রক্ষা করবে।”
সংস্থা জানিয়েছে, গত এক বছর ধরে এই টুলটি তৈরি করা হয়েছে, যেখানে একটি “ডুয়াল-লেয়ার প্রোটেকশন” সিস্টেম গঠন করা হয়েছে—একটি নেটওয়ার্ক স্তরে এবং অন্যটি আইটি সিস্টেম স্তরে।
এই টুলটি কলার বা প্রেরকের ব্যবহার প্যাটার্ন, কল/এসএমএসের ফ্রিকোয়েন্সি এবং সময়কাল সহ বিভিন্ন ফ্যাক্টর মূল্যায়ন করে, যা পরিচিত স্প্যাম আচরণের বিরুদ্ধে ক্রস-রেফারেন্স করে। এর ফলে, সিস্টেমটি সন্দেহজনক স্প্যাম সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও, AI-চালিত এই সমাধানটি ব্যবহারকারীদের এসএমএসের মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্ভাব্য ক্ষতিকর লিঙ্ক সম্পর্কে সতর্ক করে। এয়ারটেল একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস তৈরি করেছে ব্ল্যাকলিস্টেড URL-গুলির জন্য। এতে প্রতিটি এসএমএসকে রিয়েল টাইমে স্ক্যান করা হয় সন্দেহজনক লিঙ্ক সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হবে।
এই টুলটি আইএমইআই পরিবর্তনের মতো অস্বাভাবিক কার্যকলাপ সনাক্ত করতে সক্ষম, যা প্রতারণামূলক কাজের একটি সাধারণ বিষয়। এয়ারটেলের নতুন স্প্যাম সনাক্তকরণ সিস্টেমটি গ্রাহক সুরক্ষা বৃদ্ধির এবং এ দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীদের স্প্যাম সমস্যার মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভারতে কোনো টেলিকম সংস্থা হিসাবে এই পরিষেবা নিয়ে এল ভারতী এয়ারটেল। যা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্প্যাম কল ও এসএমএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রাখবে।