আমেরিকা, রাশিয়াকে এক কদম পেছনে ফেলে আরও কয়েক কদম এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে চিন। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সুপার পাওয়ার হওয়ার পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে তারা। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন পরীক্ষামূলক ভাবে হাইপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান উড়িয়েছে। এই বিশেষ বিমানের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৫ হাজার কিলোমিটার। মাত্র ৭ ঘণ্টায় এটি গোটা বিশ্ব প্রদক্ষিণ করতে পারে। অর্থাৎ কারওর যদি খুব দ্রুত বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছোনোর দরকার পড়ে তবে তা তিনি করে ফেলতে পারবেন মাত্র ৭ ঘণ্টায়।
বেজিংয়ের সংস্থা স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন সফল পরীক্ষা করেছে ইউনজিং প্রোটোটাইপ বিমানের। এই বাণিজ্যিক বিমান ঘণ্টায় প্রায় ৫ হাজার কিমি গতিতে উড়তে পারে। ফরাসি-ব্রিটিশ সংস্থা কনকর্ড বিমানের চেয়ে হাইপারসনিক বিমানের গতি হবে দ্বিগুণেরও বেশি। শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উড়তে পারত কনকর্ড বিমান। গতি ছিল ঘণ্টায় ২ হাজার কিমি। ১৯৭৬ সালে দ্রুত গতিতে অতলান্তিক মহাসাগর পার করে দ্রুত যাত্রী পরিবহণে নজির গড়েছিল কনকর্ড। ২০০৩ সালে কনকর্ডের বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।
বেজিংয়ের সংস্থা লিংকং তিয়ানজিং টেকনোলজি নামক সংস্থা তৈরি করেছে এই হাইপারসনিক বিমান। ২০২৭ সালের মধ্যে সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমানের পরিষেবা পুরোদস্তুর চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিমান পুরোদস্তুর চালু হলে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক পৌঁছোনো যাবে মাত্র দেড় থেকে ২ ঘণ্টায়। চিনের এই প্রকল্প রূপায়ণে আরও সময় ও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে। ব্রিটেনের ভার্জিন গ্যালাটিক ও আমেরিকার বুম এভারচার নামক সংস্থাও দ্রুত গতিতে চলা যাত্রীবাহী বিমান তৈরির কাজ করছে।