ফেলে দেওয়া বাতিল জিনিসপত্র দিয়েই একেবারে হিউমানয়েড রোবট তৈরি করে অসাধ্য সাধন করলেন উত্তর প্রদেশের কৃষ্ণা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (কেআইইটি)-র একদল পড়ুয়া। বেদের ধারণার ওপর নির্ভর করে এই হিউমানয়েড রোবট তৈরি করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৫ জন পড়ুয়া আর অধ্যাপকরা মিলে এই রোবট তৈরি করেছেন। রোবট তৈরি করতে খরচ পড়েছে আনুমানিক ২ লাখ টাকা যা অন্য রোবট তৈরির খরচের চেয়ে অনেক কম বলে মনে করা হচ্ছে। নয়া হিউমানয়েড রোবটের নাম দেওয়া হয়েছে অনুষ্কা।
আপাতত অনুষ্কাকে রোবোটিক রিসেপশনিস্ট হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব। এই হিউমানয়েড রোবট মানুষকে স্বাগত জানাতে ও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। তবে অধ্যাপক ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের পরিকল্পনা ভবিষ্যতে একে স্বাস্থ্য পরিষেবা বা কনসালটিং পরিষেবার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা।
ফেলে দেওয়া বাতিল জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি হিউমানয়েড রোবট অনুষ্কার মুখাবয়ব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও শৈল্পিক চিন্তাভাবনার মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে। মুখের মধ্যে থ্রি ডি প্রিন্টেড অংশ রয়েছে। আর ফ্লেক্সিবল সিলিকন স্কিন আছে যা তৈরি করেছে ভারতের মাদাম তুসোর টিম। ঐতিহাসিক ফরাসি রাজকন্যার আদল দেওয়া হয়েছে মুখে। জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তা আরও মসৃণ করে তোলা হয়েছে। রোবটের নড়াচড়া করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট হিসাবে আছে ইন্টেল আই ৭ প্রসেসর। এটি মাইক্রোকন্ট্রোলার আর সার্ভো মোটরকে নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিউনিকেশনের জন্য হিউমানয়েড রোবট অনুষ্কা ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (এনএলপি)-র ওপর নির্ভরশীল। এর মাধ্যমে মানুষের বলা কথা ইন্টারপ্রেট করতে পারে রোবট। পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সাহায্যে ভয়েজ কমান্ড ডিজিটাল সিগনালে বদলে প্রসেস করা হয়।
হিউমানয়েড রোবট কথা শুনতে, বুঝতে পারে ও বলতে পারে আর সে অনুযায়ী নড়াচড়া করতে পারে। অনুষ্কা ৬১টি ভাষা বোঝে। ৫০ রকমের হাত নাড়ানোর ভাষা আর ৩০ রকমের চোখের ভাষা বুঝতে পারে।