Home প্রযুক্তি এআই কি বাম হাতে লেখা আঁকতে পারে না? প্যারিস সামিটে মোদীর পর্যবেক্ষণ...

এআই কি বাম হাতে লেখা আঁকতে পারে না? প্যারিস সামিটে মোদীর পর্যবেক্ষণ ঘিরে চর্চা

প্যারিসে অনুষ্ঠিত এআই অ্যাকশন সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) একটি অপ্রত্যাশিত সীমাবদ্ধতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি জানান, এআই-জেনারেটেড ছবি তৈরি করার সময় যদি কাউকে বাম হাতে লিখতে বলা হয়, তবে এআই প্রায়শই ডান হাতে লেখার ছবি তৈরি করে

এআই কেন এই ভুল করে?

প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যাখ্যা করেন, এআই মডেলগুলি প্রধানত ডানহাতি মানুষের ডেটার ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষিত হয়, ফলে এ ধরনের পক্ষপাত সৃষ্টি হয়। এটি এআই সিস্টেমের মধ্যে থাকা গভীর পক্ষপাতের একটি উদাহরণ, যা প্রশিক্ষণ ডেটার মাধ্যমে মানুষের আচরণের প্রতিফলন ঘটায়।

মোদীর এই পর্যবেক্ষণ সত্য কিনা তা পরীক্ষা করতে সংবাদমাধ্যমগুলি বেশ কিছু জনপ্রিয় এআই প্ল্যাটফর্মে চিত্র তৈরি করার চেষ্টা করে। দেখা যায়, বাম হাতে লেখা ব্যক্তির চিত্র তৈরির অনুরোধ জানালেও, এআই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডান হাতে লেখার ছবি তৈরি করে

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

এআই বিশেষজ্ঞ জসপ্রীত বিন্দ্রা, যিনি AI&Beyond-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, এই বিষয়টিকে একটি সঠিক পর্যবেক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন—

“প্রধানমন্ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত দিয়েছেন যে কীভাবে এআই মডেলগুলি মানবিক পক্ষপাত প্রতিফলিত করে। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ ডান হাতে লেখেন এবং এআই যে বিশাল ডেটাসেট ব্যবহার করে তা সেই চিত্রই বেশি ধারণ করে। তাই, যখন বাম হাতে লেখার ছবি তৈরি করতে বলা হয়, তখনও এআই ডান হাতে লেখার ছবি তৈরি করে।”

বিন্দ্রা আরও বলেন, এআই-এর পক্ষপাত কেবল হাতের ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়, বরং জাতি, লিঙ্গ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে

এআই নৈতিকতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন

এই ঘটনা এআই নৈতিকতার গুরুত্বের প্রতি নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই সিস্টেম থেকে পক্ষপাত দূর করার প্রচেষ্টা চলছে, তবে এটি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, কারণ এটি মানব-সৃষ্ট ডেটার ওপর নির্ভরশীল

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই মন্তব্য কেবল একটি মজার পর্যবেক্ষণ নয়, বরং এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। আগামী দিনে এআই প্রশিক্ষণ ডেটার বৈচিত্র্য বাড়ানো না হলে, এমন আরও পক্ষপাত সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে বিশ্ব বলে মনে করছচেন বিশেষজ্ঞরা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version