খবর অনলাইন ডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। এখনও পর্যন্ত নিজের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এবং ওটিপি যাচাইয়ের পদ্ধতি ভারতে সব থেকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে মোবাইল ফোনের মেসেজে আসা ওটিপি থেকেই চরম অনর্থক কিছু ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট, লগ-ইন বা ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য ওটিপি মেসেজ পেয়ে থাকেন গ্রাহক। বর্তমানে এই পদ্ধতি নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে।
কারণ, এখন আবার সাইবার অপরাধীরা ওটিপির মাধ্যমে মানুষকে টার্গেট করছে। সাইবার অপরাধীরা মানুষকে নতুন ভাবে তাদের নিজস্ব জালিয়াতির শিকার করছে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি কী ভাবে করা হচ্ছে, আসুন তা জেনে নেওয়া যাক।
কী ভাবে ওটিপি জালিয়াতি করা হয়?
অনেক সময় এমন অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হতে হয়, যখন ফোনে ওটিপি আসে না। তখন আমরা মনে করি, হয়তো নেটওয়ার্কের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় জালিয়াতির কারণেও এটা ঘটতে পারে। অর্থাৎ, সাইবার অপরাধীরা আপনার ফোন হ্যাক করে নিতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে আপনার ফোনের মেসেজ অন্য ফোনে ডাইভার্ট করা হতে পারে। অর্থাৎ, হ্যাকাররা সেই মেসেজ দেখতে পাচ্ছে অথচ, আপনি তা পাচ্ছেন না।
এ ভাবেই হ্যাকাররা আপনার ওটিপি মেসেজের সাহায্যে লেনদেন করে এবং আপনি তা জানতেও পারেন না। তবে ব্যাঙ্কিং লেনদেনে এই কাজটি খুব কঠিন, কিন্তু অন্য কোনো যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় এটাকে কাজে লাগাতে পারে হ্যাকাররা। ফলে আপনার সতর্ক হওয়া দরকার।
ওটিপি প্রতারণা কী ভাবে এড়ানো যাবে?
এই ধরনের জালিয়াতি এড়ানোর উপায় হল যতটা কম মেসেজ পরিষেবাটি ব্যবহার করা উচিত। সব সময়ই টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার করা উচিত। চেষ্টা করতে হবে যাতে ই-মেলের মাধ্যমে ওটিপি পাওয়া যায়। এতে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে।
আরও পড়তে পারেন: স্মার্টফোনে নতুন বিপদ! লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি যেতে পারে আপনার গোপন তথ্য
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।