জন্মজয়ন্তী
যে শহরের বাতাসে ছড়িয়ে রয়েছে সুভাষের সুবাস

শ্রয়ণ সেন
“মৃত্যুর আগে পর্যন্তও আমার দাদু নেতাজির কথা বলতেন। আমরা তাঁকে তাঁর যোগ্য সম্মানটা দিতে পারিনি, এই বলে বার বার আপশোশ করতেন তিনি।”
ষাটোর্ধ্ব ইন্দরবীর সিংহ যখন এই কথাগুলি বলছিলেন, নিজের মধ্যে কী রকম অনুভূতি হচ্ছিল ঠিক বলে বোঝাতে পারব না। হিমাচলের ডালহৌসি যে নেতাজি স্মৃতিধন্য, সে তো জানতাম, কিন্তু স্বয়ং নেতাজির এক সঙ্গীর নাতির সঙ্গে এ ভাবে কথা বলব ভাবতেই পারিনি।
ভাগ্য অতি প্রসন্ন না হলে এই অসাধারণ মুহূর্তটা আসতও না অবশ্য।
ডালহৌসির দু’টি মূল কেন্দ্র, সুভাষ চক এবং গান্ধী চক। এই দু’টি চকের মাঝামাঝি একটি জায়গায় হিমাচল পর্যটনের গীতাঞ্জলি হোটেলে আমাদের ঠাঁই। দুপুরের মধ্যাহ্নভোজনের পর কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যেই চলে এসেছিলাম গান্ধী চক।
গান্ধী চকের একটা কোণায় রয়েছে মূল মার্কেট। রয়েছে হরেক রকমের দোকানপাট, তবে বেশিটাই শীতবস্ত্রের। এমনই অনেক দোকান ঘুরে দেখার পরে নভেল্টি স্টোর্সে ঢুকে পড়লাম। দোকানে বসে রয়েছেন বছর তিরিশের এক তরুণ।
কেনাকাটি করার ফাঁকেই দোকানে চলে এলেন এক শিখ প্রৌঢ়। সম্বোধনে বুঝলাম ওই তরুণের বাবা। কেনাকাটির মধ্যেই চোখ গেল একটি ছবিতে। দোকানের দেওয়ালে ছবিটি এমন ভাবে লাগানো, যাতে সবার চোখ পড়বেই।

বুঝতে কোনো অসুবিধা হল না যে ছবিতে মধ্যমণি রয়েছেন নেতাজি। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন একাধিক মানুষ। ছবিটির ওপরে উর্দুতে অনেক কিছুই লেখা। শুধু তারিখটি ছাড়া কিছুই বুঝতে পারলাম না। ১৯৩৭ সালের ৫ মে তোলা হয়েছিল ছবিটি।
এই ছবির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে জড়িত গর্বের এক ইতিহাসের কথা বললেন দোকানের মালিক এই প্রৌঢ় ইন্দরবীর সিংহ। ১৯৩৭ সালে এই ডালহৌসিতেই এসেছিলেন নেতাজি। তখন তাঁর সব সময়ের সঙ্গী হয়েছিলেন ইন্দরবীরের দাদু গোপাল সিংহ।
লাহোরে ইন্দরবীরদের আদি বাড়ি হলেও, দেশভাগের আগেই ভারতে চলে আসেন তাঁরা। পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন ডালহৌসিতে। এই নভেল্টি স্টোর্সও তাঁর তৈরি করা। তবে নেতাজি যখন এসেছিলেন তখন এই দোকান ছিল সুভাষ চকে। পরে অবশ্য গান্ধী চকে চলে আসেন তাঁরা।

নেতাজিকে নিয়ে কিছুক্ষণ জমে উঠল আমাদের কথোপকথন। কিন্তু তখনও জানি না, কিছুক্ষণের মধ্যে আরও একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকব।
এক সুখস্মৃতি সঙ্গে নিয়ে বিদায় জানালাম ইন্দরবীর এবং তাঁর ছেলে তরুণপ্রীতকে।
গান্ধী চক থেকে সুভাষ চকের রাস্তাটি মল রোড হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা এই রাস্তাকে আবার ‘ঠান্ডী সড়ক’ বলে। বোধহয় এই রাস্তায় রোদের দেখা বেশি মেলে না তাই তার এ রকম নাম।
এই রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতেই চোখে পড়ল মেহর হোটেল। এই হোটেলে নেতাজি থাকতেন, এটা কিছু দিন আগেই জেনেছি। নেতাজি যে ঘরে থাকতেন সেটা দেখা যাবে, এই আশাতেই কিছু চিন্তা না করেই ঢুকে পড়লাম হোটেলের ভেতর। ম্যানেজারকে নেতাজির ঘর দেখানোর আবদার করতেই তা মিটে গেল। যে ঘরে নেতাজি থাকতেন, সেই ঘরে তিনি আমাদের নিয়ে গেলেন। ঘরটা দেখতে দেখতে শরীর লোম প্রায় খাড়া হয়ে যায়! একটা দারুণ অভিজ্ঞতা তো ছিলই, কিন্তু আরও ভালো লাগা একটা জিনিস ঘটল একটু পরেই।
হোটেলে না থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন অবলীলায় আমাদের নেতাজির ঘর দেখিয়ে দিলেন? এই প্রশ্ন করাতে উত্তর এল, “নেতাজি বলে কথা! তাঁর ঘর যদি বাইরের কেউ দেখতে চান, সেটা তো আমাদের কাছে গর্বের ব্যাপার।” বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে আরও একটা কথা বললেন তিনি, “ডালহৌসিতে আপনার পরিচিত যিনিই আসবেন, তাঁকে একবার আমাদের হোটেলে ঘুরে যেতে বলবেন।”
কিন্তু এই দু’টি সুখের স্মৃতির পর হঠাৎ করে তাল কেটে গেল সুভাষ বাউলি দেখে। ডালহৌসির প্রধান তিনটে দ্রষ্টব্য স্থানের অন্যতম এই সুভাষ বাউলি। এটি আসলে একটা প্রস্রবণ। ১৯৩৭-এ নেতাজি প্লুরেসিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাওয়া পরিবর্তনের জন্য চিকিৎসকরা তাঁকে ডালহৌসিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কথিত আছে, ডালহৌসিতে থাকার সময়ে প্রতি দিন নেতাজি এখানে আসতেন আর এই প্রস্রবণের জল খেতেন। এর পরেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন নেতাজি।
কিন্তু এ কি অবস্থা সুভাষ বাউলির। সব কিছু ভেঙে চুড়ে গেছে। জায়গাটিকে সংরক্ষণ করার কোনো উদ্যোগই নেই। হিমাচলের প্রতি পাঁচ বছর সরকার পালটে যায়, কিন্তু সুভাষ বাউলির হাল যে বদলায় না, সেটা এই ছবিটা দেখেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।

এ সবের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে ভারত বিকাশ পর্ষদ নামক স্থানীয় একটি সংস্থা। তাদের উদ্যোগে তাও এখনও টিকে রয়েছে এই বাউলি। পর্ষদকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতে কোনো সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হবে এই আশায় ডালহৌসি থেকে বিদায় নিলাম।

২৪ ঘণ্টাও থাকলাম না ডালহৌসিতে। কিন্তু একটা জিনিস ভালো করে বুঝে গেলাম। সুভাষের সুবাসে এখনও মম করছে এ শহরের বাতাস।
(নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে আরও কিছু খবর জানার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
জন্মজয়ন্তী
নেতাজির অনুগামী ছিলেন গুমনামি বাবা: রিপোর্ট

ওয়েবডেস্ক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান নিয়ে একাধিক অনুমান ছড়িয়ে রয়েছে। কারও মতে, তিনি ১৯৪৫ সালে জাপানের তাইহোকু বিমানবন্দরের দুর্ঘটনায় মারা যান। কেউ মনে করেন, নেতাজি রাশিয়ায় ছিলেন। আবার কারও মতে, উত্তরপ্রদেশের ‘গুমনামি বাবা’ই নেতাজি। তবে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে গঠিত কোনো কমিশনই গুমনামি বাবাকে নেতাজি হিসাবে মেনে নেয়নি। তবুও তা নিয়ে জড়িয়ে রয়েছে জল্পনা।
উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে (বর্তমানে অযোধ্যা) থাকতেন গুমনামি বাবা ওরফে ভগবানজি। তাঁকেই কেউ কেউ নেতাজি বলে ধারণা করেন।
২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব প্রাক্তন বিচারপতি বিষ্ণু সহায়ের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট গুমনামি বাবাকে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতেই সেই কমিশন গঠিত হয়।
ওই কমিশন বছর তিনেক বাদে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। বিধানসভায় রিপোর্টটি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
কমিশনের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি তথ্য তুলে ধরা হয়। যেগুলির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি-
১. গুমনামি বাবা একজন বাঙালি। তিনি বাংলা, ইংরাজি এবং হিন্দি জানতেন।
২. তিনি ছিলেন বিরল প্রতিভার অধিকারী।
৩. গুমনামি বাবার রামভবন থেকে বাংলা, ইংরাজি এবং হিন্দিতে লেখা একাধিক বই উদ্ধার করা হয়।
৪. যুদ্ধ, রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনা প্রসঙ্গে অগাধ জ্ঞান ছিল গুমনামি বাবার।
৫. কারও মতে, গুমনামি বাবার কণ্ঠস্বর অনেকটাই নেতাজির মতোই।
৬. গুমনামি বাবার অসীম ধৈর্য্য ক্ষমতা ছিল।
৭. অযোধ্যায় তিনি প্রায় ১০ বছর লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন।
৮. আধ্যাত্মিকতা এবং যোগের মধ্যেই সময় কাটাতেন গুমনামি বাবা।
৯. গান শোনা, সিগার এবং খাওয়া ছিল তাঁর পছন্দের।
১০. গুমনামি বাবা নিজে নেতাজির অনুগামী ছিলেন, কিন্তু তাঁকে নিয়ে খবর ছড়িয়ে পড়তেই তিনি নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করে নেন।
সহায় কমিশন রিপোর্টের সমাপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমনামি বাবা একজন মেধাবী মানুষ এবং তাঁর মতো মানুষ খুবই বিরল, যাঁরা নিজের পরিচয়ের গোপনীয়তা প্রকাশের পরিবর্তে মৃত্যু পছন্দ করেন। তবে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াটি এমন ভাবে আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে শুধুমাত্র ১৩ জন নিয়েছিল। গুমনামি বাবার পরিচয় এখনও অচিহ্নিত।
এ কথা বলেছে খোদ বিষ্ণু সহায় কমিশনের রিপোর্ট। এ ব্যাপারে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুস্নাত দাশ বলেন, “নেতাজি একজন বিশাল ব্যক্তিত্ব। কোনো মাপকাঠিতেই তাঁকে মাপা সম্ভব নয়। ফলে তাঁর মতো বিরল ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে রসালো গল্প-উপন্যাস লেখা হতেই পারে”।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত নেতাজিকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে, সেগুলির কোনোটাতেই বলা হয়নি, ‘গুমনামি বাবা’ই নেতাজি”!
উঃ ২৪ পরগনা
‘আইএনএ-তে যতটা অবদান নেতাজির, ততটাই শাহনওয়াজ খানের’, সিএএ বিরোধী মিছিলে উঠল আওয়াজ

বরানগর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৩তম জন্মদিবস উদ্যাপনের পাশাপাশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিলেন কয়েকশো মানুষ। বৃহস্পতিবার বরানগরের মল্লিক কলোনির নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ডানলপ মোড়ে ভগৎ সিংয়ের মূর্তির কাছে গিয়ে শেষ হয় এই প্রতিবাদ মিছিল।
এ দিনের মিছিলে অংশ নেয় বরানগর এবং সংলগ্ন কাশীপুরের বেশ কয়েকটি সংগঠন। নো এনআরসি/সিএএ, বরানগরের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলটি বনহুগলি, আলমবাজার, অশোকগড়-সহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠলেও ছিল না কোনো রাজনৈতিক পতাকা। মূলত ভারতের জাতীয় পতাকা হাতেই মিছিলে অংশ নেন প্রতিবাদকারীরা।
বিশ্বজিত হাজরা নামে এক প্রতিবাদকারী বলেন, “আজকের দিনটা বিশেষ একটা দিন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। তিনি ভারতের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। ঠিক একই ভাবে শাহনওয়াজ খান, লক্ষ্মী সায়গলরাও স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন”।
[ আরও পড়ুন: প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে গেরুয়া শিবিরকে আটকানোর কথা বলেছিলেন নেতাজি ]
বিশ্বজিতবাবুর কথায়, “ভারতের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি আজাদহিন্দ বাহিনী (আইএনএ) গঠন করেছিলেন। ওই লড়াইয়ে নেতাজির অবদান যতটা, শাহনওয়াজ খান, লক্ষ্মী সায়গলের অবদানও কম নয়। আবার ভগৎ সিং-সহ অন্যান্য স্বাধীনতাকেও কেউ খাটো করতে পারবে না। এই দেশ সবার”।
জন্মজয়ন্তী
নেতাজির জন্মদিনে নাম না করে মোদীকে বিঁধলেন মমতা!

ওয়েবডেস্ক: হিন্দু মহাসভার বিভেদের রাজনীতির বিরোধিতা করে ধর্মনিরপেক্ষ এবং ঐক্যবদ্ধ ভারতের জন্য লড়াই করেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজির জন্মদিনে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এহেন মন্তব্য করার পাশাপাশি নাম না করে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও।
মমতা বলেন, “নেতাজি তাঁর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সমস্ত ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধার বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর ঐক্যবদ্ধ ভারত গঠনের লড়াইকে আজকের দিনে শ্রদ্ধা জানাই। একই সঙ্গে তিনি ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানান”।
তিনি বলেন, “নেতাজি হিন্দু মহাসভার বিভেদের রাজনীতির বিরোধিতা বরাবর করে গিয়েছেন। তিনি এক ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের হয়ে লড়াই করেছিলেন। আর এখন যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতার সমর্থন করেন, তাঁদের দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে কেন্দ্রের অনীহা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা”।
[ আরও পড়ুন: প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে গেরুয়া শিবিরকে আটকানোর কথা বলেছিলেন নেতাজি ]
এ দিন তিনি নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কটাক্ষ ছুড়ে দেন। বলেন, “যিনি সবাইকে নিয়ে চলেন, তিনিই নেতাজি। কিন্তু এখন সেটা নিয়েই গা-জোয়ারি চলছে”।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মমতা দার্জিলিংয়ে নেতাজির ১২৩তম জন্মদিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
-
কলকাতা2 days ago
ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ, সতীর্থের মৃত্যু
-
হাওড়া2 days ago
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
কেন খাবেন মটরশুঁটি, জেনে নিন এর উপকারিতা
-
জীবন যেমন3 days ago
কম বয়সে মুখে বলিরেখা? রান্না ঘরেই আছে এর সমাধান, একমাসে