Home ভ্রমণ ভ্রমণের খবর ৭০০ বছরের পুরনো অসমের মৈদামকে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা

৭০০ বছরের পুরনো অসমের মৈদামকে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা

অসম: ৭০০ বছরের পুরনো অসমের মৈদামকে ইউনেসকোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’ বিশ্বের ঐতিহ‌্যবাহী স্থানের মর্যাদা প্রদান করেছে। চরাইদেও এলাকার মৈদাম সমাধিক্ষেত্রগুলিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঐতিহাসিক ঘোষণাটি অসমের পর্যটনকে নতুন মাত্রা এনে দেবে।

ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় এখনও পর্যন্ত ১৬৮ দেশের ১,১৯৯টি স্থান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ভারতের ৪৪টি স্থান রয়েছে। ‘অসমের পিরামিড’ নামে পরিচিত মৈদাম অহোম রাজত্বের সময়কালে নির্মিত হয়েছিল। ১৩ থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত এই রাজত্বে ৩৮৬টি মৈদাম আবিষ্কৃত হয়েছে, যার মধ্যে ৯০টির রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। অহোম রাজাদের মৃত্যুর পর তাঁদের প্রিয় জিনিসপত্রসহ মিশরের পিরামিডের ধাঁচে সমাধিস্থ করা হত, আর সেই সমাধির উপরে তৈরি হত মাটি ও পাথরের গম্বুজাকৃতি ঢিপি।

অচেনা গোয়াকে চেনাতে গোয়া পর্যটনের উদ্যোগ ‘গোয়া বেয়ন্ড বিচেস’

গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার ইউনেসকোর কাছে মৈদামকে বিশ্ব ঐতিহ‌্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’র অধিবেশনে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী এই উপলক্ষে ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই খবরে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে মৈদামের অন্তর্ভুক্তি ভারতের জন্য খুবই গর্বের। আশা করি, অহোম রাজত্ব ও তাঁদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও বেশি মানুষ জানতে পারবে।”

মৈদাম এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘোষণা অসমের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version