বর্ষার মরসুমে সেবক হয়ে সিকিম যাওয়ার মূল রাস্তা, অর্থাৎ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বারবার ধস নামার ফলে সমস্যা হয় সিকিমের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগে। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিকল্প সড়ককে আরও উন্নত ও যানচলাচলের উপযোগী করে তুলতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরী জানিয়েছেন, গরুবাথান, রিশপ হয়ে সিকিমে যাতায়াতের বিকল্প পথ অর্থাৎ ৭১৭এ জাতীয় সড়কের কিছু অংশকে প্রশস্ত করে দুই লেনের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৭০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা এবং ইতিমধ্যেই সেই অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গডকরী।
এই প্রকল্পে লাভা মোড় থেকে পেডং বাইপাস পর্যন্ত ১৮.৪২ কিলোমিটার এবং রেশি থেকে রেনক পর্যন্ত ৫.২ কিলোমিটার রাস্তা চওড়া করা হবে। বর্ষাকালে যখন মূল জাতীয় সড়কে ধস নামে এবং যান চলাচলে বাধা আসে, তখন এই পথটিই হয়ে উঠবে বিকল্প যোগাযোগের মাধ্যম।
দার্জিলিং জেলার করোনেশন সেতু বা বাঘপুল থেকে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পর্যন্ত যোগাযোগের লাইফলাইন হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বর্ষায় এই রাস্তায় ধসের ঘটনা এতটাই ঘন ঘন ঘটে যে, পাহাড়ি রাজ্যের সঙ্গে সমতলের সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে বিকল্প রাস্তা উন্নত হলে, সিকিমের পর্যটন ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।
সম্প্রতি সংসদে সিকিমের সাংসদ ইন্দ্রহাং সুব্বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গডকরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই বৈঠকেও সিকিমের সঙ্গে সংযুক্ত সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।