খবর অনলাইন: ‘হেরিটেজ’ তকমায় ভারতের মুকুটে আরেকটা পালক। বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বলে শুক্রবার ঘোষণা করল ইউনেস্কো। এই নিয়ে বিহারের দ্বিতীয় পর্যটনস্থল ‘হেরিটেজ’ তকমা পেল। এর আগে বোধগয়ার মহাবোধি মন্দির ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। বিশ্বের সব প্রান্তের পর্যটকরা এ ব্যাপারে একমত হবেন যে ভারত হেরিটেজ-গন্তব্য হিসাবে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ।
ইউনেস্কো তার ওয়েবসাইটে বলেছে, “নালন্দা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। টানা ৮০০ বছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল। এর ঐতিহাসিক বিকাশ বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার এবং আশ্রমিক ও শিক্ষাগত ঐতিহ্যের শ্রীবৃদ্ধির সাক্ষ্য দেয়।”
মগধের গুপ্ত রাজাদের রাজত্বকালে রাজধানী পটনা থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরের নালন্দায় গড়ে উঠেছিল এক মহাবিহার তথা বৌদ্ধ মঠ। কালক্রমে সেখানে গড়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয় আনুমানিক ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকেছিল। ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি সেনাপতি বখতিয়ার খিলজির আক্রমণে নালন্দা ধ্বংস হয়।
তা হলে একটা ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসা যাক নালন্দা। পারলে এক যাত্রায় অতীতের মগধ তথা আজকের পটনা, জরাসন্ধের রাজধানী রাজগির, আচার্য শীলভদ্রের পদধূলিধন্য নালন্দা, মহাবীর জৈনের প্রয়াণস্থল পাওয়াপুরী এবং বুদ্ধের বোধিলাভের স্থল গয়া। নালন্দার কাছাকাছি বিমানবন্দর পটনা। পটনা ছাড়া কাছাকাছি বড়ো রেলস্টেশন গয়া (৯৫ কিমি)। তবে নালন্দার সব চেয়ে কাছের স্টেশন রাজগির (১২ কিমি)। নালন্দার সঙ্গে রাজগির (১২ কিমি), পটনা (৯৫ কিমি), গয়া (৯৫ কিমি) এবং পাওয়াপুরী (২৬ কিমি) ভালো সড়কপথে যুক্ত। থাকার জন্য বেসরকারি হোটেল ছাড়াও পটনা, বোধগয়া এবং রাজগিরে বিহার স্টেট ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের টুরিস্ট বাংলো আছে। অনলাইন বুকিং bstdc.bih.nic.in।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।