উত্তরবঙ্গ থেকে সমুদ্রসৈকত দিঘা—পর্যটনের এই নতুন রুটে বিপুল সাড়া পেল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (NBSTC)। মাত্র এক সপ্তাহে দিঘাগামী বাস পরিষেবা থেকে নিগম আয় করেছে ৬ লক্ষাধিক টাকা। যাত্রী চাহিদা মাথায় রেখে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাসভাড়ায় ছাড় চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এখনই নয়, পুজোর মরশুমে এই আয় দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলেই আশা নিগমের। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহর—শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদহ ও রায়গঞ্জ থেকে দীঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনে যাওয়ার বাস চালু হওয়ার পরেই এই রেকর্ড আয় হয়েছে বলে দাবি এনবিএসটিসি চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়ের।
তিনি জানান, “শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার থেকে প্রতি ট্রিপে (যাওয়া-আসা) লক্ষাধিক টাকা আয় হচ্ছে। মালদহ ও রায়গঞ্জ থেকে প্রতি ট্রিপে গড়ে ৮০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য খতিয়ে দেখতে আমি নিজে বাসে করে দিঘা গিয়েছিলাম। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি, নতুন টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখেছি।”
নতুন এই পরিষেবা কেবল উত্তরবঙ্গ নয়, পূর্ব মেদিনীপুরবাসীর কাছেও আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। তাঁরা সরাসরি পাহাড় ও ডুয়ার্স ঘুরতে যেতে পারছেন। ফলে পর্যটনে উত্তর ও দক্ষিণ বাংলার মধ্যে তৈরি হয়েছে এক সেতুবন্ধ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দিঘায় গড়ে ওঠা জগন্নাথ মন্দির বর্তমানে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন গন্তব্য। কিন্তু এতদিন উত্তরবঙ্গ থেকে সেভাবে সংযোগ না থাকায় অনেকেই যেতে পারতেন না। একটি মাত্র সাপ্তাহিক ট্রেন থাকলেও তাতে টিকিট পাওয়া দুষ্কর ছিল। সেই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চালু হয় ৬টি এসি ভলভো বাস, যা কার্যত বিপ্লব এনেছে।
পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শীঘ্রই আরও ৬টি অত্যাধুনিক এসি স্লিপার বাসও নামানো হবে উত্তরবঙ্গ থেকে দীঘার পথে। আগামী দিনে পরিষেবা আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করছে এনবিএসটিসি।