খবর অনলাইন: মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী ও টিহরি জেলা বিপর্যস্ত। ঘানশালি ও উত্তরকাশীতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৫০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে পথ সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকার দরুন কোথাও কোথাও তীর্থযাত্রীরা আটকে পড়েছেন। তবে চার ধাম যাত্রা বন্ধ হয়নি। চার ধামগামী রাস্তাগুলোতে ধস দ্রুত পরিষ্কার করে খোলা রাখার ব্যবস্থা করছে এসডিআরএফ। আবহাওয়া দফতর সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে তীর্থযাত্রীদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে।
গঙ্গোত্রী থেকে যে রাস্তা উত্তরকাশী হয়ে কেদারনাথ গিয়েছে, সেই রাস্তাটিই সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ধস নেমেছে বেশি চিনিয়ালিসরের কাছে। ফলে কেদারনাথের শ’ দেড়েক তীর্থযাত্রী লাম্বগাঁও, কোটালগাঁও আর চামিলায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
আবহাওয়া খারাপ হওয়া সত্ত্বেও চার ধাম যাত্রায় ভাটা পড়েনি। হৃষীকেশের উপ জেলা অধিকর্তা বিনীত তোমর জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত তীর্থযাত্রীবোঝাই ১৪৫টি বাস হৃষীকেশ থেকে চার ধামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ত্রিলোক সিকিউরিটি সিস্টেমের হৃষীকেশ কেন্দ্রে তিন হাজার তীর্থযাত্রী পঞ্জিকরণ হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন চামোলি, উত্তরকাশী ও টিহরি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অবিরাম যোগাযোগ রেখে চলেছে। সব জায়গাতেই যাত্রাপথ খোলা আছে। সিকিউরিটি এজেন্সির সুপারভাইজার প্রেম অনন্ত জানান, এই মরশুমে চার ধাম যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৭০ হাজার তীর্থযাত্রী পঞ্জিকরণ করেছেন।
সোমবার আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা বিক্রম সিং জানিয়েছেন, রাজ্যের চম্পাবত, আলমোড়া, নৈনিতাল, টিহরি এবং পৌড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দেরাদুন ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়ও ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। কয়েকটি জায়গায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে, কোথাও কোথাও শিলাপাত হতে পারে। সাড়ে তিন হাজার মিটারের বেশি উঁচু জায়গায় তুষারপাত হতে পারে।
ঝড়বৃষ্টি সময়ে চার ধাম যাত্রীদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে, আবহাওয়া অধিকর্তা। তিনি বলেছেন, ঝড়বৃষ্টি বেশি ক্ষণ ধরে চলবে না। সুতরাং ওই সময়টুকু তীর্থযাত্রীরা রাস্তায় না থেকে কোথাও যেন আশ্রয় নেন। আর ওই ঝড়বৃষ্টির সময়ে কোনও আশ্রয়স্থলে থাকলে সেখান থেকে যেন না বেরোন।
সৌজন্যে দৈনিক জাগরণ ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।