ভারতীয় রেলকে বলা হয় দেশের লাইফলাইন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছোতে মানুষ ভরসা করে ট্রেনযাত্রাকেই। দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে বেড়ানোকেই এখনও অনেকেই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখেন। অনেকেই আরামদায়ক বেড়ানোর জন্য দূরপাল্লার ট্রেনের এসি কামরায় চেপে যাতায়াত করা পছন্দ করেন। এসি কামরায় কম্বল ও চাদর দেওয়া হয় রেলের তরফে। রেলমন্ত্রকের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে রেলযাত্রায় যাত্রীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য নিয়ে বড়োসড়ো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের তরফে আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইনে করা প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিবার ব্যবহারের পর বিছানার চাদর কাচা হলেও লজিস্টিক অ্যারেঞ্জমেন্ট ও ক্যাপাসিটি অনুযায়ী উলের কম্বল মাসে একবার বা দু’ মাস ছাড়া ছাড়া একবার করে কাচাধোয়া হয়ে থাকে।
রেলে কর্মরত হাউজকিপিং স্টাফরা জানান, বিছানার চাদরও অনেক সময় শুধু দাগ থাকলে সাবান ব্যবহার করে কাচাধোয়া হয়। না হলে ইস্ত্রি করে পাট করে নেওয়া হয়। রেলের তরফে আরটিআই-এর এই জবাব দিয়েছেন রেল মন্ত্রকের এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হাউজকিপিং ম্যানেজমেন্ট দফতরের সেকশন অফিসার রিশু গুপ্তা।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে একই চাদর বা কম্বল না কেচে, না ধুয়ে ব্যবহার করলে তাতে জীবাণু ছড়াতে পারে। একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। উল ফেব্রিক হিসাবে খসখসে তাই উলের কম্বল পরিষ্কার না করলে তাতে পোকামাকড়, ধুলো জমা হয়। অ্যালার্জি, হাঁচিকাশি, ত্বকের সমস্যা, চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, অ্যাজমার সমস্যা দেখা যায়। অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন উলের কম্বল ও চাদরে ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস, ভাইরাস জন্মাতে পারে। তার থেকে নানান সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।