প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের তরফ থেকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্যাকেজ ট্যুর কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ আর উত্তরবঙ্গ ভিত্তিক। এই বছরের সুবিধা হল অনলাইনেই এই প্যাকেজ ট্যুর বুক করতে পারবেন ইচ্ছুক পর্যটকরা।
কলকাতাভিত্তিক প্যাকেজগুলি হল:
তর্পণ প্যাকেজ, ৩০ সেপ্টেম্বর, মহালয়া। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টে। বাবুঘাটে তর্পণ দেখিয়ে গঙ্গাবক্ষে ক্রুজের ব্যবস্থা রয়েছে। দেখানো হবে দক্ষিণেশ্বর আর বেলুড় মঠ এবং কুমোরটুলিতে প্রতিমা গড়া।
উদ্বোধনী প্যাকেজ, ৫, ৬ আর ৭ অক্টোবর। রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা। রাত জেগে ঠাকুর দেখার প্যাকেজ। কলকাতার বিখ্যাত কিছু পুজো দেখানো হবে।
সনাতনী প্যাকেজ, ৮, ৯ আর ১০ অক্টোবর। কলকাতা শহরের বিখ্যাত কিছু বনেদি পুজো। এসি এবং নন-এসি বাস, দু’রকম ব্যবস্থাই থাকছে এই প্যাকেজে। সকাল আর বিকেলের জন্য দু’টি আলাদা প্যাকেজ। সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা, দুপুর ২টো থেকে সন্ধে ৬টা।
এ ছাড়াও জলবিহার প্যাকেজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
গঙ্গাবক্ষে দুর্গাপুজো। ৮, ৯, ১০ এবং ১১ অক্টোবর। দিনে দু’টি করে প্যাকেজ। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা এবং সন্ধে ৬টা থেকে রাত ৯টা।
গঙ্গাবক্ষে বিসর্জন, ১৩ অক্টোবর। দু’টি প্যাকেজ। সন্ধে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা আর রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা।
দক্ষিণবঙ্গের জন্য প্যাকেজগুলি হল:
হুগলি সফর, ৮, ৯ আর ১০ অক্টোবর। সকাল ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা। দেখানো হবে হুগলি জেলার বিখ্যাত কিছু বনেদি পুজো।
রাঢ়বঙ্গের পুজো (১), ৮ ও ৯ অক্টোবর। সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা। আমদপুর, পাহাড়হাটি আর বরশুলের বনেদি পুজো দেখানো হবে।
রাঢ়বঙ্গের পুজো (২), ৮ ও ১০ অক্টোবর। সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা। দেখানো হবে গুসকরার কিছু বনেদি পুজো আর বর্ধমানের ১০৮ শিবমন্দির।
সুরুল রাজবাড়ি, ৯ ও ১০ অক্টোবর। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা। এই প্যাকেজে থাকছে সুরুল রাজবাড়ির পুজো, সঙ্গে শান্তিনিকেতন।
কাশিমবাজার রাজবাড়ি প্যাকেজ, ৯ থেকে ১০ অক্টোবর। এক রাত দুই দিনের এই প্যাকেজে নিয়ে যাওয়া হবে কাশিমবাজার রাজবাড়ি। ঘোরানো হবে মুর্শিদাবাদ। রাত্রিবাস বহরমপুর টুরিস্ট লজে।
বিজয়া প্যকেজ, ১১ থেকে ১৩ অক্টোবর। ২ রাত ৩ দিনের এই প্যাকেজে বিষ্ণুপুর, কামারপুকুর, জয়রামবাটি এবং মুকুটমণিপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। রাত্রিবাস বিষ্ণুপুর টুরিস্ট লজে।
এই সব প্যাকেজগুলিতেই এসি বাসে ঘোরানো হবে।
উত্তরবঙ্গের প্যাকেজগুলি হল:
৮ আর ১০ অক্টোবর। শিলিগুড়ির মৈনাক পর্যটক আবাস থেকে রওনা হয়ে নিয়ে শিলিগুড়ি শহরের কিছু পুজো দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মালবাজার আর মেধলা ওয়াচ টাওয়ার।
৮ অক্টোবর। সকাল ৮টা থেকে সন্ধে ৭টা। জলপাইগুড়ির তিস্তা পর্যটক আবাস থেকে রওনা হয়ে নিয়ে যাওয়া হবে জলদাপাড়া, চিলাপাতা জঙ্গল আর কোচবিহার রাজবাড়ি। সেই সঙ্গে থাকছে স্থানীয় কিছু পুজো দেখা।
১০ অক্টোবর। সকাল ৮টা থেকে সন্ধে ৭টা। জলপাইগুড়ির তিস্তা পর্যটক আবাস থেকে রওনা হয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মালবাজার, মেধলা ওয়াচ টাওয়ার। সঙ্গে থাকছে স্থানীয় কিছু পুজো দেখা।
প্যাকেজের ব্যাপারে আরও বিশদে জানতে এবং অনলাইনে প্যাকেজগুলি বুক করতে লগ ইন করুন: www.wbtdc.gov.in
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।