রাষ্ট্রায়ত্ত বেঙ্গল কেমিক্যালসের বিক্রি রুখতে মমতার উদ্যোগ, আয় বাড়াতে বিপণি সম্প্রসারণ

0

কলকাতা: ‌রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যালসকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝে আয়ের রাস্তা সুগম করে পণ্যের প্রচারের কাজ সেরে ফেলার তাগিদে উত্তর শহরতলির বরানগরে নতুন বিপণি খুলল সংস্থা। বৃহস্পতিবার বিপণির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্মী-আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জনবহুল এলাকায় এ ধরনের বিপণি খোলার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থা।

বাংলার ঐতিহ্যবাহী ওষুধ প্রস্তুতকারক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যালস বিক্রির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে চলা মামলার নিষ্পত্তি না হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা বহুদিন ধরেই প্রকাশ্যে এসেছে। সংস্থাটিকে অলাভজনক আখ্যা দিয়ে বিক্রি করার মতো চরম সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের হাতে গড়া এই সংস্থাটিকে স্বমহিমায় বাঁচিয়ে রাখতে মমতা দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে চিঠি লিখে সংস্থা বিক্রির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানিয়েছেন। কারণ হিসাবে তুলে ধরেছেন কয়েকটি সঙ্গত যুক্তিকে।

প্রথমত, লোকসানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছে সংস্থা। গত দু’টি আর্থিক বছরেই লাভ করে চলেছে সংস্থা । তবে শেষ ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে সংস্থার লাভের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা। ওই বছর মুনাফাবৃদ্ধির হার প্রায় ৯৭.৫ শতাংশ। দ্বিতীয়ত, কলকাতা হাইকোর্টও মন্তব্য করেছে, এই সংস্থা ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রস্তুত করায় এটিকে লো প্রায়োরিটি এন্টারপ্রাইজের তালিকায় ফেলা যায় না।

এরই মধ্যে সংস্থার তরফে বিভিন্ন জায়গায় বিপণি খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বড়ো শহরে একাধিক বিপণি থাকলেও সংস্থার নতুন এই পরিকল্পনায় বাজারে নিজস্ব পণ্যের সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের কাজটিও সেরে ফেলা যাবে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওযুধ এবং ঘর পরিষ্কার রাখার নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর খুচরো বিক্রির রাস্তা ধরে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র এই ধরনের বিপণি খোলার ভাবনা সংস্থার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ভাবে কেন্দ্রের কাছে সুনির্দিষ্ট বার্তাও দেওয়া যাবে বলে মনে করেন সংস্থার আধিকারিকরা।

বিজ্ঞাপন