
১৯৫৪ সালে সুইজারল্য়ান্ডের বার্নের ওয়াঙ্কডরফ স্টেডিয়ামে বসেছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালের আসর। দিনটা ছিল ৪ জুলাই। মুখোমুখি হয়েছিল হাঙ্গেরি ও জার্মানি। জার্মানি সে বার চ্যাম্পিয়ন হয় ৩-২ গোলে। এতটা খুবই চেনা কিছু তথ্য। কিন্তু যদি বলা হয়, সে বার ফাইনাল ম্যাচে কত দর্শক হয়েছিল?
পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিসংখ্যান না পাওয়া গেলেও টিকিট বিক্রির হিসাব থেকে জানা গিয়েছিল, ১৯৫৪-র বিশ্বকাপ ফাইনালে দর্শকের সংখ্যা ছিল ৬০ হাজারের সামান্য বেশি। কিন্তু ঠিক তার পরের বছর সুইডেনের মাটিতে বিশ্বকাপ ফাইনালের আসরে দর্শক সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। সুইডেনের স্টকহোমের রাসুন্দা স্টেডিয়ামে সে দিন হাজির ছিলেন মাত্র ৪৯,৭৩৭ জন দর্শক। অর্থাৎ, আগের বিশ্বকাপ ফাইনালগুলোর থেকে অনেকটাই কম।
স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ সংখ্য়া, ফুটবলপ্রেমী মানুষের সংখ্যা ইত্য়াদি কারণ থাকলেও কমে যাওয়া দর্শক সংখ্যার মাঝে সে বার ফাইনালে অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন ফুটবলের রাজা।
সুইডেনে গিয়ে আঘাতজনিত কারণে প্রথমেই নামানো হয়নি পেলেকে। গ্রুপের ফাইনাল পর্বে তিন নম্বর ম্যাচে তাঁকে প্রথম দেখা যায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ব্রাজিল জেতে ২-০ গোলে। তবে সব থেকে বেশি বিস্ময় অপেক্ষা করেছিল সেমি-ফাইনাল ম্যাচের জন্য। ওই ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে পেলে হ্যাট্রিক করেন। এমনকী ফাইনালে ব্রাজিল সুইডেনের বিরুদ্ধে ব্রাজিল জেতে ৫-২ গোলে। পেলে দু-গোল করে দর্শকের মনে প্রত্যাশা জাগালেও স্টেডিয়ামে ঝাঁপ পড়তেই হতাশ হলেন ব্রাজিলিয়ানরা। সেমি-ফাইনালের মতো তিনি আর একটা গোল করলেই যে হ্যাট্রিক করে ফেলতেন।
কিন্তু কী আর করবেন, পেলের দ্বিতীয় গোলটা যে একেবারে ৯০ মিনিটের মাথায়।