ওয়েবডেস্ক: মহম্মদ সালাহ বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, তা নিয়ে ফের মুখ খুলল সে দেশের ফুটবল সংস্থা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে কাঁধে চোট পান লিভারপুল ও মিশরের এই ফুটবল তারকা। তাঁর কাঁধের ওপর চাপ দিয়ে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন রেয়াল মাদ্রিদের রামোস। ফুটবল মহলের অনেকেরই ধারণা, সালাহকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তাঁকে অমন বিপজ্জনক ভাবে ফাউল করেছিলেন রামোস। সেই ভাবে অনুশীলনও করেছিলেন।
ঘটনা যাই হোক, ওই চোটের পরই সালাহের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। যদিও ঘটনার পরদিনই টুইট করে সালাহ জানিয়েছিলেন তিনি একজন ফাইটার এবং তিনি আশাবাদী। এছাড়াও লিভারপুল দলের ফিজিও তাঁর সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে ছেন সালাহের ফিট হতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে।
এবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন মিশরের জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক এবং সে দেশের ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট হানি আবু রিদা। তাঁরা দেখা করার পর মিশরের ফুটবল সংস্থা জানিয়েছে, ‘সালাহের সুস্থ হতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না’। অর্থাৎ তিনি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কিন্তু শুরু থেকেই পারবেন কিনা, তা অনিশ্চিত।
বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগে মিশরের প্রথম ম্যাচ ১৫ জুন উরুগুয়ের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ম্যাচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৯ জুন এবং শেষ ম্যাচ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ২৫ জুন। অর্থাৎ সালাহ তিন সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হলেও প্রথম ম্যাচে মাঠে নামা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
আবার অনেকের মতে সালাহ কবে থেকে বিশ্বকাপে মাঠে নামবেন, তা ঠিক হয়েই আছে। কিন্তু স্পনসরদের আগ্রহে অনিশ্চয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। যাতে নিয়মিত সংবাদের শিরোনামে থাকেন তিনি। মানুষের তাঁকে নিয়ে আগ্রহ যাতে আরও বাড়ে।