ওয়েবডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপে বড়ো দলগুলির দিকে নজর রয়েছে সবারই। নতুন করে কিছু বলার নেই তাদের প্রথম রাউন্ডে পারফরমেন্স কেমন। কিন্তু এই বড়ো টিমগুলি ছাড়াও নজর রাখতেই হবে ধারে-ভারে পিছিয়ে থাকা বাকিদের ওপরও। কোন দল যে কখন ম্যাচ ঘুরিয়ে দেবে তা আমরা কেউ বলতে পারি না। বিশেষ করে যারা প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলছে কিংবা বহু দিন পর বিশ্বকাপে ফিরে এসেছে। তাদের ওপর সবারই একটা আশা রয়েছে ভালো ফুটবল উপহার দেওয়ার। সে রকমই একটি দল দক্ষিণ আমেরিকার পেরু।
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে তারা। যোগ্যতা অর্জন পর্বে পারাগুয়ে, চিলের মতো দলকে পিছনে ফেলে মূল পর্বে তারা নিজেদের স্থান পাকা করে নিয়েছে। কিন্তু সে তো বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেকার কথা। বিশ্বকাপ চলাকালীন ফের শিরোনামে পেরু। তবে এ বার অন্য কারণে। না, প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে হেরে গিয়ে নয়।
২৪ বছর বয়সি মিগুয়েল এফ, এই মুহূর্তে বিশ্বকাপে সব থেকে চর্চিত মুখ। পেরুর রাজধানী লিমার বাসিন্দা এই ভদ্রলোক ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাকি সমর্থকদের কিন্তু রীতিমতো টেক্কা দিয়েছেন। বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার জন্য তিন মাস ধরে তিনি শরীরের ওজন বাড়িয়েছেন পেরুর এই ‘পাগল’ সমর্থক। ভাবছেন এ আবার কী পাগলামো! কিন্তু সত্যিই তাই।
মিগুলের কথায়, “যখন টিকিট কাটতে গিয়েছিলাম তখন দেখি সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি বিশ্বকাপ মিস করতে চাইনি। কারণ পেরুর ফুটবল আমার জীবনের একমাত্র ভালোবাসা। যোগ্যতা অর্জন পর্বের সব ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম। তাই স্থির করেছিলাম বিশ্বকাপ দেখবই। যে টিকিটগুলি বাকি ছিল সেগুলো শুধু অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য। তাই সেই টিকিটগুলি পেতে কিছু একটা করার দরকার ছিল। যেমন হুইলচেয়্যার, মহিলাদের জন্য বিশেষ কিছু এবং বডি মাস ইন্ডেক্স ৩৫-য়ের বেশি থাকতে হবে। আমার ৩০ ছিল। অঙ্ক করলাম এবং আরও ২৫ বাড়িয়ে নিলাম”
শেষমেশ ফিফা তাঁর এই আবেদন মঞ্জুর করে দেয়। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখার পর।