Home শিল্প-বাণিজ্য ‘মাত্র ৫-৭% মানুষের হাতে আনুষ্ঠানিক চাকরি’, ভারতের কর্মসংস্থান সংকট নিয়ে সতর্কবার্তা!

‘মাত্র ৫-৭% মানুষের হাতে আনুষ্ঠানিক চাকরি’, ভারতের কর্মসংস্থান সংকট নিয়ে সতর্কবার্তা!

ভারতের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। দেশের মাত্র ৫-৭% মানুষের হাতে রয়েছে আনুষ্ঠানিক চাকরি, এবং তারও ৪০% সরকারি বা সরকারি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। Trust Mutual Fund-এর CIO মিহির ভোরা জানাচ্ছেন, দেশে বেসরকারি খাতের বিকাশকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই এই সমস্যা তীব্র হয়েছে।

অর্থনৈতিক সমীক্ষায় কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ

অর্থ মন্ত্রকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার (CEA) তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত হওয়া অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-২৫ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৭.৮৫ মিলিয়ন অ-কৃষি কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। নাহলে, ভারতের যুব জনসংখ্যার কর্মসংস্থান সঙ্কট তীব্র আকার নিতে পারে।

ভারতের ২৬% মানুষ ১০-২৪ বছর বয়সী, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ যুবশক্তি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক নীতি প্রণয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি না হলে, এই “ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড” (জনমিতিক সুবিধা) বদলে “ডেমোগ্রাফিক ডিজাস্টারে” (জনমিতিক বিপর্যয়) রূপ নিতে পারে

বেসরকারি খাতের বিকাশ জরুরি

মিহির ভোরা সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “শুধু কারখানা, পরিকাঠামো ও বাস্তব সম্পদ তৈরি করলেই নতুন কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু এ জন্য বেসরকারি খাতের অগ্রগতি এবং সহজ ব্যবসার পরিবেশ জরুরি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রম আইন সংস্কার, ব্যবসায়িক বিধিনিষেধ শিথিলকরণ, এবং নীতিগত স্থিরতা ছাড়া বড় শিল্পগুলোর প্রসার সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে দেশের বেকারত্ব কমেছে ও শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার বেড়েছে, কিন্তু এগুলোর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আগামী দিনে কি পরিবর্তন আসবে?

বিশ্লেষকদের মতে, সরকার যদি দ্রুত নীতিগত পরিবর্তন না আনে, তাহলে চাকরির বাজারে আরও সংকট দেখা দিতে পারে। নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য সহজ ব্যবসার পরিবেশ তৈরি, স্টার্টআপগুলিকে সহায়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হলে দেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version