বড় অংকের নগদ লেনদেনের উপর আয়কর বিভাগ বিশেষ নজর রাখে। তাই এমন লেনদেনে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। নগদ লেনদেনের জন্য আয়কর আইনের ২৬৯এসটি ধারায় নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যা লঙ্ঘন করলে জরিমানা বা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
আয়কর আইনের ২৬৯এসটি অনুযায়ী, এক দিনে ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। যদি তা একক লেনদেন বা সম্পর্কিত একাধিক লেনদেনে হয়। এটি ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এই সীমা লঙ্ঘন করলে জরিমানা হতে পারে, যা লেনদেনের সমপরিমাণ হতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যদি আপনি এক দিনে ৫ লক্ষ টাকা নগদ লেনদেন করেন এবং তা আয়কর বিভাগের নজরে আসে, তবে জরিমানার পরিমাণ ৫ লক্ষ হতে পারে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, “যারা এই বিধান লঙ্ঘন করে দুই লক্ষের বেশি নগদ গ্রহণ করেন, তাঁরা প্রাপ্ত নগদ অর্থের সমান অর্থদণ্ডের শিকার হতে পারেন। এটি লক্ষ্যণীয় যে এই বিধানগুলির অধীনে প্রদানকারীর দায়দায়িত্ব নেই”।
আরও স্পষ্ট করে বললে, এই নিয়ম মেনে চলার দায়িত্ব নগদ গ্রহণকারী-র উপর বর্তায়, প্রদানকারী নয়। তাই, নগদ লেনদেনের সময় এই সীমা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। নগদ লেনদেন কমানোর জন্য এবং কর ফাঁকি রোধে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ উচ্চমূল্যের নগদ লেনদেন নজরে রেখে করদাতাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে।
বড় অঙ্কের লেনদেনের জন্য নগদ ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যাংক ট্রান্সফার, চেক, বা ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে সহজেই আয়কর নোটিশের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্টে এক দিনে সবচেয়ে বেশি কত টাকা জমা করা যায়? জানুন বিশদ নিয়মাবলি