Home শিল্প-বাণিজ্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়াল বম্বে হাইকোর্ট, কারা সুবিধা পাবেন

আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়াল বম্বে হাইকোর্ট, কারা সুবিধা পাবেন

0

সংশোধিত এবং বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন (আইটিআর) দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, সেটাই বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই সময়সীমা বাড়ানোর মূল উদ্দেশ্য হল, ধারা ৮৭এ-এর অধীনে করদাতাদের জন্য প্রাপ্ত সুবিধাগুলি নিশ্চিত করা।

কী বলল হাইকোর্ট?

‘দ্য চেম্বার অফ ট্যাক্স কনসালট্যান্টস বনাম ডিরেক্টর জেনারেল অফ ইনকাম ট্যাক্স (সিস্টেমস)’-এর মামলায় বম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, “কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ডকে (CBDT) অবিলম্বে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ধারা ১১৯-এর অধীনে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত নির্ধারিত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এই বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে করদাতাদের ধারা ৮৭এ-এর অধীনে প্রাপ্ত অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করতে এবং তাঁদের প্রক্রিয়াগত সমস্যাগুলি দূর করতে হবে।”

ধারা ৮৭এ-র সমস্যা কী?

ধারা ৮৭এ অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের পরিমাণ নির্দিষ্ট সীমার নিচে, তাঁদের করের দায় শূন্য হয়ে যায়।

  • নতুন কর ব্যবস্থা: আয় সীমা ৭ লক্ষ টাকা।
  • পুরনো কর ব্যবস্থা: আয় সীমা ৫ লক্ষ টাকা।

যদি কোনও ব্যক্তির আয় এই সীমার মধ্যে থাকে, তাহলে তিনি ধারা ৮৭এ-এর অধীনে কর ছাড় পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আয়করের পরিমাণ বা ২৫,০০০ টাকার মধ্যে যে পরিমাণ কম, সেটিই হবে।

ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, ৫ জুলাই ২০২৪-এর পর আয়কর দফতরের সফটওয়্যারে পরিবর্তন আনার ফলে করদাতারা ধারা ৮৭এ-এর অধীনে ছাড়ের সুবিধা নিতে পারছেন না। সফটওয়্যার সমস্যার কারণে ৫ জুলাই ২০২৪-এর পরে জমা দেওয়া রিটার্নগুলিতে এই ছাড়ের সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে।

কেন সময়সীমা বাড়ানো হল?

সমস্যাগুলির সমাধান এবং ধারা ৮৭এ-র অধীনে কর ছাড় সুনিশ্চিত করতেই বম্বে হাইকোর্ট আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৫ দিন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। করদাতাদের স্বার্থ রক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়ায় খুশি প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।

মনে রাখবেন

আয়কর আইনের অধীনে বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হলেও, এতে কিছু বাড়তি খরচ হয়। প্রথমত, বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল করার সময় আইটি আইনের ২৩৪ এফ ধারায় ৫,০০০ টাকা লেট ফি ধার্য করা হবে। মোট আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হলে লেট ফাইলিং ফি কমে হবে ১০০০ টাকা। তবে আয় করযোগ্য সীমার চেয়ে কম হলে কোনো লেট ফি আদায় করা হবে না। প্রসঙ্গত, নির্ধারিত সময়সীমার পরে কোনও করদাতা রিটার্ন জমা দিলে বিলম্বে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য জরিমানার পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও, ধারা ২৩৪এ-র অধীনে, সময়সীমার পরে প্রতি মাসের জন্য প্রতি মাসে ১ শতাংশ হারে সরল সুদ নেওয়া হবে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version