বুধবার ২০২৩-২০২৪ আর্থিক বছরের বাজেটে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে এটাই নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এ ছাড়াও চলতি বছরে রয়েছে ন’টি রাজ্যে বিধানসভার ভোট। সেই ভোটের দিকে তাকিয়েই যে কেন্দ্র বাজেট সাজিয়েছে, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। দেখে নেওয়া যাক, কী বলছে শিল্প মহল?
গোপীচাঁদ পি হিন্দুজা, কো-চেয়ারম্যান, হিন্দুজা গ্রুপ লিমিটেড
মন্দার মুখোমুখি বিশ্ব। এমন একটা সময়ে ভারতই একমাত্র উজ্জ্বল নক্ষত্র। রয়েছে রাজস্ব ঘাটতি হ্রাসের পরিকল্পনা। একই সঙ্গে জিডিপির ৪.৫ শতাংশের বিশাল মূলধন বিনিয়োগের সঙ্গে একটি নিখুঁত বৃদ্ধি-ভিত্তিক বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এ বারের বাজেটে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে পরিকাঠামো এবং সক্ষমতা তৈরির প্রতিটা ক্ষেত্রকে বিশেষ নজরে নিয়ে আসা।
জর্জ আলেকজান্ডার মুথুট, এমডি, মুথুট ফাইন্যান্স
এ বারের বাজেট অর্থনীতির সমস্ত সঠিক ধারাকে স্পর্শ করার চেষ্টা স্পষ্ট। মূলধন ব্যয়, পরিকাঠামো, আবাসন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বৃদ্ধি অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ১০ লক্ষ কোটি টাকার ব্যয়ের পরিমাপ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ ৬৬ শতাংশ বেড়ে ৭৯,০০০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। যা ভারতের আবাসন ক্ষেত্র, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং আধা-শহর এলাকায় বৃদ্ধি পাবে।
অতুল চতুর্বেদী, নির্বাহী চেয়ারম্যান, শ্রী রেণুকা সুগারস লিমিটেড
প্রতাশিত ভাবেই আয়কর দাতাদের জন্য বড়োসড়ো স্বস্তির বাজেট। কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। এটা আমাদের ক্ষেত্রে খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। তবে জাতীয় তৈলবীজ মিশনের জন্য কোনো রোড ম্যাপ ঘোষণা না করা উদ্ভিজ্জ তেল ক্ষেত্রের জন্য কিছুটা নেতিবাচক। কারণ আমাদের ভোজ্য তেল সুরক্ষা অব্যাহত রয়েছে। ভোজ্যতেল ক্ষেত্রের জন্য এই বাজেট তেমন কিছু বলা হয়নি। ভোজ্য তেল পরিশোধন শিল্প প্রধানমন্ত্রীর মেক ইন ইন্ডিয়া আহ্বানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরিশোধিত পামোলিয়ান আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার দাবি করছিল। সে বিষয়ে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি।
চন্দ্রশেখর ঘোষ, এমডি ও সিইও, বন্ধন ব্যাঙ্ক
২০২৩-২৪ কেন্দ্রীয় বাজেট একটি সুসংহত প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট। খরচ বাড়ানো এবং অন্তর্ভুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারগুলিতে ফোকাস করা আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য স্বাগত জানাতেই হয়। সরকার মূলধন বিনিয়োগের উপর জোর দিয়েছে যা খরচ বাড়াবে এবং উৎপাদন বাড়াবে। বিশেষ করে মহামারির পরে কর্মসংস্থানের জন্য এটা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাজেট বরাদ্দ আবাসন ক্ষেত্রকে আরও উৎসাহিত করবে। ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সম্প্রসারণে এমএসএমই সেক্টর স্বস্তি পাবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৩: আয়কর ব্যাপক স্বস্তি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানে বড়ো পদক্ষেপ কেন্দ্রের